আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ফজরের পর নামাজের স্থান ছেড়ে মসজিদের ভেতরেই আমলে মশগুল থেকে ইশরাক পড়লে কি একটি হজ্জ ও উমরা পালনের সাওয়াব হবে?

প্রশ্নঃ ২৭২৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের মসজিদে এশার নামাজের পর আমরা মাশওয়ারা এবং ফজরের নামাজের পর তালিম করি। মসজিদের ইমাম সাহেব প্রায় আমাদের ফজরের পরে এক জায়গায় বসে থেকে এশরাক নামাজ পড়লে কি লাভ হয় তা বলে। এ নিয়ে সাথীদের সাথে আমরা বারবার পরামর্শ করি তাতে বেশীরভাগ সাথী ফজরের পরে তালিমেরই খেয়াল দেয়। অন্য সময় সবাই কাজে ব্যস্ত থাকে। এমতাবস্থায় আমার প্রশ্ন হলো ফজরের পরে তালিমের আমলটা কি এক জায়গায় বসে এশরাক নামাজের চেয়ে কম ফায়দা??? অনেক নতুন সাথী তালিমের বসে যারা নিয়মিত এশরাক পড়ে না। এক্ষেত্রে হুজুরের কাছে আমাদের সন্তোষজনক কি জবাব হতে পারে???,

১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

Building

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
ইশরাকের নামাযের ‘বিশেষ ফজিলত’ যাকে হজ ও ওমরার সমান বলা হয়েছে তাহলো সাহাবী হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন,
من صلى الغداة في جماعة ثم قعد يذكر الله حتى تطلع الشمس، ثم صلى ركعتين كانت له كأجر حجة وعمرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تامة تامة تامة
যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের নামায আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর যিক্‌র করবে এবং এরপর দু’রাকআত নামায আদায় করবে, তার জন্য একটি হজ্জ ও উমরা পালনের সাওয়াব হবে। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্জ ও উমরার পরিপূর্ণ সাওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সাওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সাওয়াব হবে। .
https://muslimbangla.com/hadith/17775
হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসীনে কেরাম এই কথা বলেছেন যে, এখানে নামাজের স্থান বলতে কেবল নামাজের স্থান বা জায়নামাজই উদ্দেশ্য নয়। বরং পুরো মসজিদই এর অন্তর্ভূক্ত। কাজেই কেউ যদি মসজিদ থেকে বের না হয়ে মসজিদের ভেতরেই অবস্থান করে ইবাদতে মশগুল থাকে তাহলে সেও একটি হজ্জ ও উমরা পালনের সাওয়াব পাবে বলে আশা করা যায়।

والذي يظهر أن هذا الثواب لا يشترط لحصوله بقاء المصلي في المكان الذي صلى فيه ، فما دام في المسجد يذكر الله تعالى فإنه يرجى له حصول هذا الثواب ، ويدل على ذلك : إطلاق الحديث : ( مَنْ صَلَّى الغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ، ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ) ، فلم يشترط النبي صلى الله عليه وسلم بقاءه في المكان الذي صلى فيه ، فلو انتقل إلى مكان آخر داخل المسجد ، وجلس يذكر الله تعالى ، شمله الحديث ، وقد نص على ذلك بعض أهل العلم .
قال ابن رجب رحمه الله في "فتح الباري" (4/56) :
" ورد في فضل من جلس في مصلاه بعد الصبح حتى تطلع الشمس ، وبعد العصر حتى تغرب الشمس أحاديث متعددة .
وهل المراد بـ ( مُصلاه ) نفس الموضع الَّذِي صلى فِيهِ ، أو المسجد الَّذِي صلى فِيهِ كله مصلى لَهُ ؟ هَذَا فِيهِ تردد .
وفي صحيح مُسْلِم عَن جابر بن سمرة ، أن النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إذا صلى الفجر جلس فِي مصلاه حَتَّى تطلع الشمس حسناء .
وفي رِوَايَة لَهُ : كَانَ النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم لا يقوم من مُصلاه الَّذِي يصلي فِيهِ الصبح أو الغداة حَتَّى تطلع الشمس ، فإذا طلعت الشمس قام .
ومعلوم أَنَّهُ صلى الله عليه وسلم لَمْ يكن جلوسه فِي الموضع الَّذِي صلى فِيهِ ؛ لأنه كَانَ ينفتل إلى أصحابه عقب الصلاة ويقبل عليهم بوجهه .
وخرجه الطبراني ، وعنده : كَانَ إذا صلى الصبح جلس يذكر الله حَتَّى تطلع الشمس .
ولفظة : ( الذكر ) غريبة .
وفي تمام حَدِيْث جابر بْن سمرة الَّذِي خرجه مُسْلِم : وكانوا يتحدثون فيأخذون فِي أمر الجَاهِلِيَّة، فيضحكون ويتبسم .
فهذا الحديث يدل على أن المراد بـ (مصلاه الذي يجلس فيه) : المسجد كله .
وإلى هذا ذهب طائفة من العلماء ، منهم : ابن بطة من أصحابنا وغيره " انتهى

ইমাম ইবনে আবিদীন শামী রহ. তার ফতোয়া শামীতে পুরো মসজিদকে একই স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ﻓﺈﻥ اﻟﻤﺴﺠﺪ ﻣﻜﺎﻥ ﻭاﺣﺪ، ﻭﻟﺬا ﻟﻢ ﻳﻌﺘﺒﺮ ﻓﻴﻪ اﻟﻔﺼﻞ ﺑﺎﻟﺨﻼء. ج:2، ص:233، ط: زکریا (( ﻗﻮﻟﻪ ﻛﻤﺴﺠﺪ ﻭﺑﻴﺖ

প্রিয় দ্বিনি ভাই!
এখানে মূল বিষয় হলো জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি নামাজের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত অন্য কোনো দুনিয়াবি কাজে নিয়োজিত না মসজিদে থেকেই ইশরাকের অপেক্ষা করা। আর দ্বিনি বিষয়ে মাশওয়ারা করাও অনেক বড় ইবাদত। তাই যতক্ষণ মাশওয়ারায় থাকবেন ততক্ষণ ইবাদতে আছেন বলেই গণ্য করা হবে।
কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনারা মসজিদের ভেতরেই অন্য স্থানে তালিম শেষ করে ইশরাক পড়লেও ইনশাআল্লাহ হজ্জ ও উমরা পালনের সাওয়াব পাবেন। তবে হাদিসের বাহ্যিকরূপ যেহেতু নামাজ আদায়ের পর আপন স্থানে বসে থাকার সাথে সংশ্লিষ্ট তাই ইমাম সাহেব আপনাদের সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। এখন আপনাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকবে, যথাযথ আদব ও সম্মান বজায় রেখে ইমাম সাহেবের সাথে বিষয়টি আলোচনা করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মাঝে জোড় মিল মুহাব্বত কায়েম করে দিন। আমিন।

واضح رہے کہ اشراق کی نماز کی "مخصوص فضیلت" جس کا ثواب ایک حج و عمرہ کے برابر بتایا گیا ہے، اس فضیلت کو حاصل کرنے کے لیے حدیث میں فجر کی نماز پڑھنے کے بعد سے لے کر اشراق پڑھنے تک اسی جگہ بیٹھنے کا جو ذکر ہے، اس سے مراد فجر کی نماز کے بعد سے اشراق کی نماز کے انتظار میں بیٹھے رہنا ہے، یعنی نمازی کو چاہیے کہ وہ فجر کی نماز کے بعد سے لے کر سورج نکلنے تک کسی اور کام میں مصروف نہ رہے، بلکہ وہیں بیٹھ کر اشراق کا انتظار کرے، اور اس دوران ذکر وعبادت میں مشغول رہے، اور یہ انتظار مسجد میں کہیں بھی کیا جا سکتا ہے، کیونکہ پوری مسجد ایک جگہ کے حکم میں ہے
ماخذ :دار الافتاء الاخلاص کراچی
فتوی نمبر :8283

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১১৯৩০

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুনতাখাব হাদিস দ্বারা কি তালিম করা যাবে?اَنْتَقْرَهُوْاকোন সিগাহ?

২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৪৮৫৯

মহিলারা দাওয়াতের উদ্দশ্যে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবে কি?


১৯ নভেম্বর, ২০২২

কর্ণফুলী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy