আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সম্মিলিত মুনাজাত প্রসঙ্গে

প্রশ্নঃ ২৫২৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,আমি জানতে চাই ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিত মোনাজাত করা কি ঠিক?রেফারেন্স দেবেন,

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Sikkim ৭৩৭১৩২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, মূলত আমাদের সমাজে জামাতে নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত করার বিষয়ে দু’ধরণের প্রান্তিকতা রয়েছে। কেউ একে নামাযের অংশ মনে করেন। আর কেউ একে নাজায়িয ও বেদআত বলেন। অথচ উভয় ধারণাই ভুল। প্রকৃত সত্য হল, এটা কেবল মুস্তাহাব আমল, তবে তা নামাযের অংশ নয়। সুতরাং বাড়াবাড়ি একেবারে অনুচিত।
এবিষয়ে কিছু হাদিস:
১. হযরত সালমান ফারসী রাযি. হতে বর্ণিত,
إنَّ اللَّهَ حيِىٌّ كريمٌ يستحي إذا رفعَ الرَّجلُ إليْهِ يديْهِ أن يردَّهما صفرًا خائبتينِ
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ তাআলা দয়ালু, দাতা। যখন বান্দা তাঁর সামনে প্রার্থনার হাত প্রসারিত করে তখন তা শূন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জ্বাবোধ করেন। (জামি’ তিরমিযী ৩৫৫৬)
২. আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া রহ. বলেন,
رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ ﷺ لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাযি. একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
৩. হযরত সালমান রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ما رفع قوم اکفھم الی اللہ عز و جل یسئلونہ شیئا الا کان حقا علی اللہ ان یضع فی ایدیھم الذی سئلوا۔
যখন কিছু মানুষ হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তখন অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রার্থিত বিষয় দান করেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
৪. হযরত আবূ উমামাহ রাযি. হতে বর্ণিত,
قِيلَ يا رسولَ اللهِ ﷺ : أيُّ الدعاءِ أسمَعُ قال جَوفَ الليلِ الآخِرِ ودُبُرَ الصلواتِ المكتوباتِ
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী ৩৪৯৯)
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, প্রথম হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে, হাত তুলে মুনাজাত করলে তা কবূলের সম্ভাবনা বেশি।
দ্বিতীয় হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺনামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করতেন।
তৃতীয় হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করেন তখন তা কবূল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।
চতুর্থ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, নামায শেষে মুনাজাত কবূল হয়।
সুতরাং প্রতীয়মান হল, নামাযের পর সকলে মিলে মুনাজাত করা যাবে। তবে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেও কাম্য নয়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৬৪৩৬

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে ফেললে!


৪ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৮৮৪৩৯

ভাড়াটিয়ার দায়


৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ফুলতলা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯৫৩১৪

সালামের জবাবে পাল্টা সালাম দেয়া কি ঠিক?


১২ মার্চ, ২০২৫

মুরাদনগর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩৭৩২৯

গীবত


৩১ জুলাই, ২০২৩

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy