আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৪৮৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত ফাতেমা রা.-এরইন্তিকালের পর হযরত আবু যর গিফারী রা. ফাতেমা রা.-এর কবরে নেমে বললেন, হে কবর! তুমি কি জান, আজ তোমার মাঝে কাকে রাখা হবে? তিনি হলেন খাতুনে জান্নাত, হাসান-হুসাইনের মা, নবীজীর কলিজার টুকরা। তিনি তিন বার এ কথাগুলো বললেন। পরে কবর আওয়াজ দিল, আমি এগুলো কিছুই চিনি না। আমল যদি ভালো হয় তাহলে আমি তার জন্য প্রশস্ত হয়ে যাব। আর আমল যদি খারাপ হয় তাহলে তাকে এমনভাবে চাপ দিব ...। এই ধরনের কোনো রেওয়ায়েত সহীহ কি না এবং তা কোথায় পাওয়া যাবে?

২৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


উক্ত রেওয়ায়েত সম্বন্ধে মাসিক আলকাউসার, মার্চ ২০০৭ ঈ. সংখ্যায় প্রচলিত ভুল বিভাগে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার সারসংক্ষেপ হল, এটি একটি ভিত্তিহীন কেচ্ছা। বাস্তবতার সাথে এর দূরবর্তী সম্পর্কও নেই। আমাদের জানামতে কোনো নির্ভরযোগ্য হাদীস বা ইতিহাস গ্রন্থে এর কোনো সনদ উল্লেখ নেই। সাহাবায়ে কেরাম তো অনেক উর্ধ্বে, সাধারণ মুসলমানও কাউকে দাফন করার সময় এ ধরনের কথা বলতে পারে না। কেননা, আখিরাতে হিসাব-কিতাবের বিষয়টি যে ঈমান ও আমলের ভিত্তিতেই হবে তা দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা। এছাড়া রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায়ই প্রিয়তম কন্যা ফাতেমা রা.কে বলে গেছেন-

يا فاطمة! أنقذي نفسك من النار، فإني لا أملك ضرا ولا نفعا.

হে ফাতিমা! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কেননা, আমি উপকার-অপকারের মালিক নই। (সহীহ মুসলিম ২/১১৪)

অতএব রেওয়ায়েতটি যেহেতু সহীহ নয় তাই তা বর্ণনা করা যাবে না। 


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন