আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তিন তাকবির দিয়ে জানাজা পড়ে মাইয়্যেত দাফন করলে করণীয় কি?

প্রশ্নঃ ৩০০২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জানাযার নামাজ ৩ তাকবির শেষ করে মাউথ দাপন করে দিয়েছে,এখন নামাজ হয়ে যাবে,না কি, আবার পরতে হবে।,

৪ মার্চ, ২০২৩

সীতাকুন্ড

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


জানাযার নামাযে চার তাকবীর বলা ফরজ। আর এই চার তাকবীর চার রাকাতের সমতুল্য, তাই ইমাম যদি জানাযার নামাযে চারটির পরিবর্তে তিন তাকবীর বলেন, তাহলে জানাযা হয়নি, এবং আবার জানাযার নামায পড়া আবশ্যক ছিল ।

এ ক্ষেত্রে করণীয় হলো, দাফনের পর যদি মনে পড়ে যে তিনটি তাকবীর বলা হয়েছে, তাহলে লাশ পঁচে গলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পুনরায় জানাজা পড়া আবশ্যক।
কতদিনের লাশ পঁচে গলে যায় সেটা সুনিশ্চিত করে বলা যায় না। এলাকা, মৃত ব্যাক্তির দৈহিক অবস্থা এবং মৌসুমভেদে তা পার্থক্য হয়ে থাকে।

তবে কোনো কোনো ফোকাহায়ে কেরাম তার সময়সীমা তিনদিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনদিন পর লাশ পঁচা শুরু হয়। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তিন দিনের মধ্যে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পুনরায় জানাজা পড়ে নিতে হবে। তিনদিনের মধ্যে পড়তে না পারলে তারপর আর পড়া যাবে না।


نمازِ جنازہ میں چار تکبیریں کہنا فرض ہے، اور یہ چار تکبیریں چار رکعات کے قائم مقام ہیں، لہٰذا اگر نمازِ جنازہ میں امام صاحب نے چار کے بجائے تین تکبیریں کہہ کر سلام پھیر دیا تو نمازِ جنازہ نہیں ہوئی، اس نمازِ جنازہ کا اعادہ لازم تھا، اگر دفن کرنے کے بعد یاد آیا کہ تین تکبیرات کہی گئی تھیں تو قبر پر اس وقت تک جنازہ کی نماز پڑھنا لازم ہے جب تک میت کے سڑنے اور پھٹنے کا غالب گمان نہ ہو، اور میت کے گلنے سڑنے کی مدت حتمی طور پر متعین نہیں ہے، موسم کے گرم و سرد ہونے، میت کی جسامت اور زمین کی ساخت کے اعتبار سے مختلف علاقوں میں اس کی مدت مختلف ہوسکتی ہے، بعض فقہاء نے اس کی تحدید تین دن سے کی ہے، یعنی تین دن بعد میت گلنا اور سڑنا شروع ہوتی ہے، لہٰذا دفن کے وقت سے تین دن بعد تک بھی اگر قبر پر جنازہ کی نماز نہیں پڑھی جاسکی تو پھر اس کے بعد نہیں پڑھنی چاہیے۔

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 209):

"(وركنها) شيئان (التكبيرات) الأربع، فالأولى ركن أيضاً لا شرط، فلذا لم يجز بناء أخرى عليها (والقيام) فلم تجز قاعدا بلا عذر".

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 224):

"(وإن دفن) وأهيل عليه التراب (بغير صلاة) أو بها بلا غسل أو ممن لا ولاية له (صلي على قبره) استحساناً (ما لم يغلب على الظن تفسخه) من غير تقدير، هو الأصح. وظاهره أنه لو شك في تفسخه صلي عليه، لكن في النهر عن محمد لا كأنه تقديماً للمانع.

(قوله: صلي على قبره) أي افتراضاً في الأوليين وجوازاً في الثالثة؛ لأنها لحق الولي أفاده ح. أقول: وليس هذا من استعمال المشترك في معنييه كما وهم؛ لأن حقيقة الصلاة في المسائل الثلاث واحدة، وإنما الاختلاف في الوصف وهو الحكم، فهو كإطلاق الإنسان على ما يشمل الأبيض والأسود فافهم (قوله: هو الأصح) لأنه يختلف باختلاف الأوقات حراً وبرداً والميت سمناً وهزالاً والأمكنة، بحر، وقيل: يقدر بثلاثة أيام، وقيل: عشرة، وقيل: شهر ط عن الحموي".
فتوی نمبر : 144010200873
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৮১৮৬

জানাজার পর সম্মিলিত মুনাজাত


২৮ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা ১২১৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪৬৮৪৯

মৃত ব্যাক্তির নখ কেটে দেওয়া


২৫ নভেম্বর, ২০২৩

কুমিল্লা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy