আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৪১৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি জানতে চায়, ফজরের নামাজে আগে ২রাকাত সুন্নত না পড়ে ফরজ নামাজ পড়া যাবে কিনা?,

২৫ অক্টোবর, ২০২২

Ghagra

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে এবং পরে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াক্তভেদে ২ বা ৪ রাকাআত করে নামাজ আদায় করেছেন। যার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের ২ রাকাআত ফরজ নামাজের আগে ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজের অনেক গুরুত্বারোপ করেছেন। এ নামাজের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করেছেন। ফজরের ২ রাকআত সুন্নাত আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো-

>> হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের আগে ৪ রাকাআত এবং ফজরের আগে ২ রাকাআত (সুন্নাত) নামাজ কখনো ছেড়ে দিতেন না। (বুখারি)

এ সুন্নাত নামাজ আদায়ের ফজিলত হলো নামাজ আদায়কারীর জন্য জান্নাতে ঘর বানানো হয়। হাদিসে এসেছে-

>> হজরত উম্মে হাবিবাহ বিনতে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে মুসলমানই প্রতিদিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বার রাকাআত (নফল) নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর বানাবেন অথবা তার জন্য জান্নাতে ঘর বানানো হয়। (মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিসে ১২ রাকাআত (নফল) নামাজের মধ্যে ফজরের ফরজ আগের ২ রাকাআতও অন্তর্ভূক্ত। এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে, ‘রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের ২ (রাকাআত) সুন্নাতের মোকাবেলায় অন্য কোনো নফলের উদ্যোগ গ্রহণ করতেন না। (বুখারি ও মুসলিম)

আল্লাহর বিধান পালনে ফরজ নামাজ আদায়ের পর ফজরের সুন্নাতের গুরুত্ব অত্যাধিক হওয়ায় প্রিয়নবি ২ রাকাআত সুন্নাত নামাজের গুরুত্বের পাশাপাশি অসামান্য ফজিলতও তুলে ধরেছেন। যা উম্মাহাতুল মুমিনিন হজরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদিসে বর্ণনা করেছেন।

রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাআত সুন্নাত নামাজ দুনিয়া এবং এর মধ্যকার সব কিছুর চেয়েও উত্তম। (মুসলিম)
ফিকাহবিদগন বলেন যদি কোন ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে দেখে যে ইমাম সাহেব ফজরের জামাতের দাঁড়িয়ে গেছে তাহলেও সে সুন্নত পড়ে তারপর জামাতে শরিক হবে আর যদি এমন হয় যে সুন্নত পড়ে আর জামাতে শরীক হতে পারবে না তাহলে সুন্নত না পড়েই জামাতে শরীক হবে এবং পরবর্তীতে সূর্য উদিত হবার পর কাযা করে নিবে।

যদি কখনো এমন হয় যে সুন্নত পড়তে পড়তে ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে তাহলে সুন্নত না পড়ে ফরজ পড়ে নিবে অতঃপর সূর্য উদিত হবার পর সুন্নতের কাযা করে নিবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮১৭৯৯

অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?


২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০৩৪৪

‘‘এক বলেই আউট হয়ে যাবে’’ ‘‘নিশ্চিত আজকে ওরা হারবে’’ এধরণের বাক্য বলার দ্বারা কি শিরক হয়?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

CG৩X+VQ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৫৭৪৫

ইল্লাল্লাহ জিকির করার বিধান


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

কালিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭৭১৪৪

নবীর কাছে উম্মতের গুনাহ পেশ করা হয়?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

HHMC+F৪৭ - Old Umm Al Quwain - Umm Al Quawain - সংযুক্ত আরব আমিরাত (AE)

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy