আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নন-মাহরামের ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট দেওয়া

প্রশ্নঃ ২১৮০৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, স্কুল,কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে পড়লে অনেক সময় ছেলে-মেয়ে সবাইকে ম্যাসেনজার গ্রুপে অ্যাড থাকতে হয়। ক্লাস রুটিন,ক্লাস সিডিউল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকসময় ম্যাসেনজার গ্রুপে শেয়ার করা হয়। কিন্তু মারাত্মক জরুরত ছাড়া হরহামেশা নন-মাহরামের ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট দেওয়া রিপ্লাই দেওয়া,মেনশন দিয়ে কথা বলা কতটুকু জায়েজ কিংবা কতটুকু তাক্বওয়ার পরিচায়ক?? ✓কোনো ছেলে হেল্প চেয়ে গ্রুপে কিছু জানতে চাইলে তথ্য দিয়ে কিংবা অন্য উপায়ে প্রয়োজনীয় হেল্প করার জন্য অনেক ছেলে আছে যারা হেল্প করতে পারে।✓আবার কোনো মেয়ে হেল্প চাইলে বা কিছু জানতে চাইলে হেল্প করার মত অনেক মেয়েই আছে। একেবারেই মারাত্মক জরুরত(যেটা তাৎক্ষণিক হেল্প না করলে বিপদে পড়তে পারে) ছাড়া, ছেলে হয়ে মেয়েদেরকে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলেদেরকে ম্যাসেজে রিপ্লাই দেওয়া, মেনশন দেওয়া কতটুকু জায়েজ কিংবা তাক্বওয়ার পরিচায়ক?? আবার নন মাহরাম মেয়েদের,নন মাহরাম ছেলেদের ম্যাসেজে,পোস্টে,কমেন্টে রিঅ্যাক্ট(লাভ রিঅ্যাক্ট কিংবা হাহা রিঅ্যাক্ট বা অন্য রিঅ্যাক্ট) দেওয়া কতটুকু জরুরত এবং ইসলামি শারি'আহ'র দৃষ্টিভঙ্গি কি? জায়েজ আছে কি?? বিদ্র: এভাবে কমেন্ট করা,ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট,রিপ্লাই, মেনশন দেওয়াটা ব্যক্তিমনে কিছুটা হলেও ভালোলাগা কাজ করে।একেবারে জরুরতে যদি কিছু জিজ্ঞেস করতেই হয় পড়াশুনা রিলেটেড যে কোনো ছেলে(ছেলেদের ক্ষেত্র) বা (মেয়েদের ক্ষেত্রে) মেয়ে নাই হেল্প করার,তখন সেটা হয়ত ভিন্ন বিষয়।কিন্তু হরহামেশা এরকম কার্যকলাপকে ইসলাম কিভাবে দেখে? দয়া করে জানাবেন।

১৯ আগস্ট, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনার প্রশ্নের ধরণ দেখেই মনে হচ্ছে প্রশ্নের উত্তর কি হতে পারে সেটা আপনারও কিছুটা উপলব্ধি আছে। আলহামদুল্লিাহ। আল্লাহ তায়ালা আপানকে সিরাতে মুসতাকিমের ওপর পরিচালিত করুন।
আসলে এভাবেই সমাজে গুনাহের দরজা উন্মুক্ত হতে শুরু করে। শরিয়তে ইসলামীতে কিছুতেই একান্ত ও অনন্যোপায় অবস্থা ছাড়া নন মাহরামের সাথে কথা বলার অনুমতি দেয়নি। ম্যাসেজ, রিয়েক্ট ইত্যাদীও নিশ্চয়ই কথারই প্রতিনিধিত্ব করা তাই নয় কি? তাছাড়া ইমুজিগুলোও মনের ভাব প্রকাশ করে। কাজেই এজাতীয় ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কারো পোস্টে কমেন্ট করা, রিয়েক্ট দেওয়া ইত্যাদী করা জায়েজ হবে না। একান্ত প্রয়োজন হয়ে কোনো প্রকারের ইমুজি ব্যবহার না করে শুধু মূল বিষয়টি উল্লেখ করে দিয়েই ক্ষান্ত থাকা আবশ্যক।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন