و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

বিড়াল লালন পালন করা জায়েয আছে। তবে তা লালন পালন করা সুন্নাত নয়। বিভিন্ন হাদীসে বিড়ালের লালন পালনের অনুমোদনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু তা পালতে উৎসাহিত করা হয়নি। সুতরাং তাকে সুন্নত বলা যাবে না। নিম্নে বিড়াল লালন পালনের ইঙ্গিতের কিছু বর্ণনা উল্লেখ করা হলো।
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ﻳﺎ ﺃﻧﺲ , ﺇﻥ اﻟﻬﺮ ﻣﻦ ﻣﺘﺎﻉ اﻟﺒﻴﺖ , ﻟﻦ ﻳﻘﺬﺭ ﺷﻴﺌﺎ , ﻭﻟﻦ ﻳﻨﺠﺴﻪ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আনাস! নিশ্চয়ই বিড়াল ঘরের আসবাবের মতো। তা কোনো জিনিসকে ময়লা করে না। নাপাক‌ও করে না। (তবরানী, ৬৩৪)
এ হাদীসে বিড়ালকে ঘরের সব জিনিসের মতো বলা হয়েছে। তাই তা ঘরে রাখা জায়েয আছে। আল্লামা ইবনে হাজার রহ. বলেন, কেউ যদি বিড়ালকে ঠিকঠাক মতো খাবার দেয়, তাহলে বিড়াল পালন করাতে কোনো দোষ নেই। ফাতহুল বারী: ৬/৩৫৮

আর সেটি পালন করা নাজায়েজ হলে রাসুল সাহাবীদেরকে বারণ করতেন। কিন্তু কখনো রাসূল নিষেধ করেননি। বরং আবু হুরায়রা রা. বিড়াল পালতেন বলেই তার নাম আবু হুরায়রা হয়েছে।
في مرقاة المفاتيح ج1ص69
ﺳﺒﺐ ﺗﻠﻘﻴﺒﻪ ﺑﺬﻟﻚ ﻣﺎ ﺭﻭاﻩ اﺑﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﺒﺮ ﻋﻨﻪ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ: ﻛﻨﺖ ﺃﺣﻤﻞ ﻳﻮﻣﺎ ﻫﺮﺓ ﻓﻲ ﻛﻤﻲ، ﻓﺮﺁﻧﻲ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻓﻘﺎﻝ: (ﻣﺎ ﻫﺬﻩ؟) : ﻓﻘﻠﺖ: ﻫﺮﺓ، ﻓﻘﺎﻝ: (ﻳﺎ ﺃﺑﺎ ﻫﺮﻳﺮﺓ) .
বিড়ালের গোশত খাওয়া হারাম। যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম, সেগুলোর ঝুটাও নাপাক। কিন্তু বিড়ালের ঝুটা পুরো নাপাক নয়। আমাদের ঘরে বিড়ালের অধিক আনাগোনার কারণে নবীজী তার ঝুটা নাজাসাতে গলীযার কঠোরতা বাকী রাখেনি। কিন্তু কুকুরের ঝুটাও নাপাক, তা পালন করাও নাজায়েজ। এখানেও বিড়াল লালন পালনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু রাসূল উৎসাহিত করেননি বলে তা সুন্নত বলা যাবে না। নিম্নে ঝুটার হাদীসটি উল্লেখ করা হলো:

عن كبشة بنت كعب بن مالك، وكانت، عند ابن أبي قتادة أن أبا قتادة، دخل عليها . قالت فسكبت له وضوءا قالت فجاءت هرة تشرب فأصغى لها الإناء حتى شربت قالت كبشة فرآني أنظر إليه فقال أتعجبين يا بنت أخي فقلت نعم . قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " إنها ليست بنجس إنما هي من الطوافين عليكم أو الطوافات
কাবশা বিনতে কা‘ব ইবনে মালিক থেকে বর্ণিত আছে যে, আবু কাতাদা (রাযিঃ) একবার তার কাছে এলেন। কাবশা বলেনঃ আমি তাঁর উযুর পানি ঢেলে দিলাম। তিনি আরো বলেনঃ এমন সময় একটি বিড়াল এসে পানি পান করতে শুরু করল। আবু কাতাদা বিড়ালটির জন্য পানির পাত্রটি কাত করে ধরলেন। বিড়ালটি পরিতৃপ্ত হয়ে পানি পান করল। তিনি আমাকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেনঃ হে ভ্রাতুষ্পুত্র, তুমি এতে বিস্ময় প্রকাশ করছ! বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়। কারণ বিড়াল তো তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে।—জামে' তিরমিযী, ইফা নং ৯২

তবে বিড়াল লালন পালন করলে ঘরে জিন প্রবেশ করতে না পারার কথাটা সঠিক নয়।

والله اعلم بالصواب