و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের মূলনীতি হল, নাবালেগকে যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে তার পিতার আর্থিক অবস্থার দিকে খেয়াল করতে হবে।
পিতা-নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে তার নাবালক সন্তানকে যাকাত দেয়া যাবে না। আর পিতা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক না হলে তার পুত্রকে গরীব হিসেবে যাকাত দেয়া যাবে। মোটকথা, নাবালক যদি গরীব হয়ে বুঝমান হয়, সম্পদ বুঝে নেয়ার মতো বুদ্ধিসম্পন্ন হয় তাহলে তাকে যাকাত দেয়ার তিন সূরত হতে পারে।
১. তার বাবা দরিদ্র
২. নাবালেগ পিতাহারা এতীম
৩. তার বাবা সামর্থবান, কিন্তু তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব আদায় করে না।
এই তিন সূরতে দরিদ্র নাবালেগকে যাকাত দেয়া যাবে।
সুতরাং কোনো নাবালেগ বাচ্চার ভরণ পোষণের যিম্মাদারী তার বাবা আদায় না করলে ঐ নাবালেগ দরিদ্র হিসেবে গণ্য হবে। তাকে যাকাত দেওয়া জায়েয হবে।
তবে এই ক্ষেত্রে প্রশাসন ও সামাজিক ভাবে বল প্রয়োগ করে ঐ পিতাকে বাধ্য করা হবে যেন সে তার সন্তানের ভরণপোষণ দেয়।

সূত্র:
(ﻗﻮﻟﻪ: ﻭﻻ ﺇﻟﻰ ﻃﻔﻠﻪ) ﺃﻱ اﻟﻐﻨﻲ ﻓﻴﺼﺮﻑ ﺇﻟﻰ اﻟﺒﺎﻟﻎ ﻭﻟﻮ ﺫﻛﺮا ﺻﺤﻴﺤﺎ ﻗﻬﺴﺘﺎﻧﻲ، ﻓﺄﻓﺎﺩ ﺃﻥ اﻟﻤﺮاﺩ ﺑاﻟﻄﻔﻞ ﻏﻴﺮ اﻟﺒﺎﻟﻎ ﺫﻛﺮا ﻛﺎﻥ ﺃﻭ ﺃﻧﺜﻰ ﻓﻲ ﻋﻴﺎﻝ ﺃﺑﻴﻪ ﺃﻭﻻ ﻋﻠﻰ اﻷﺻﺢ ﻟﻤﺎ ﻋﻨﺪﻩ ﺃﻧﻪ ﻳﻌﺪ ﻏﻨﻴﺎ ﺑﻐﻨﺎﻩ ﻧﻬﺮ
(رد المحتار المعروف بفتاوى شامى)

اگر طلبہ نابالغ ہے اور والدین مالدار ہیں لیکن والدین بچہ کا خرچہ نہیں دیتے تو اس صورت میں نابالغ طلبہ کو زکوٰۃ دینے کی اجازت ہوگی
(زکوٰۃ کے مسائل کا انسائیکلو پیڈیا ص:٤٦٤)

نابالغ غریب بچہ کو تین صورتوں میں زکوٰۃ دی جاسکتی ہے بشرطیکہ بچہ سمجھدار اور عقلمند ہو ،مال پر قبضہ اور ملکیت کو سمجھتا ہو
١, بچہ کا والد فقیر ہو ٢, بچہ یتیم ہو ٣, بچہ کا والد اس کے نفقہ کا بالکل ادا نہ کرتا ہو
(فتوی بنوری ٹاؤن کراچی)

والله اعلم بالصواب