আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৬০১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১-ওযু করার সময় কী আযান‌ এর জবাব দেওয়া যাবে।২-মেয়ে বা মহিলা মানুষকে কি সালাম দেওয়া যাবে?৩-কোনো মেয়ে বা মহিলা মানুষ সালাম দিলে কি‌ করব?-মেয়ে বা মহিলা মানুষের সালামের উত্তর দেওয়া গেলে উত্তর আস্তে দিব নাকি জোরে দিব?৪-ইকামদ এর‌ উত্তর কি দিতে হবে? ৫-তাহাজ্জুত সালাতে সূরা কি‌ জোরে পড়া‌ যাবে?,

৫ এপ্রিল, ২০২২

পঞ্চগড়

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





১, যাবে। বরং আজানের জবাব দেওয়াই উত্তম।
২+৩
وَأَمَّا سَلاَمُ الرَّجُل عَلَى الْمَرْأَةِ؛ فَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ زَوْجَةً أَوْ أَمَةً أَوْ مِنَ الْمَحَارِمِ فَسَلاَمُهُ عَلَيْهَا سُنَّةٌ، وَرَدُّ السَّلاَمِ مِنْهَا عَلَيْهِ وَاجِبٌ، بَل يُسَنُّ أَنْ يُسَلِّمَ الرَّجُل عَلَى أَهْل بَيْتِهِ وَمَحَارِمِهِ، وَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ أَجْنَبِيَّةً فَإِنْ كَانَتْ عَجُوزًا أَوِ امْرَأَةً لاَ تُشْتَهَى فَالسَّلاَمُ عَلَيْهَا سُنَّةٌ وَرَدُّ السَّلاَمِ مِنْهَا عَلَى مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهَا لَفْظًا وَاجِبٌ.
পুরুষ কর্তৃক মহিলাকে সালামের বিধান।
পুরুষ যে মহিলাকে সালাম করবে,ঐ মহিলা যদি তার স্ত্রী বা বাদী অথবা মাহরাম কেউ হয়,তাহলে এমতাবস্থায় ঐ মহিলাকে সালাম করা সুন্নত।এবং মহিলা কর্তৃক সালামের জবাব প্রদাণ ওয়াজিব।এমনকি পুরুষের জন্য সুন্নত হচ্ছে যে,সে তার পরিবারবর্গ ও মাহরাম মহিলাদেরকে সালাম করবে।আর যদি ঐ মহিলা গায়রে মাহরাম হয়,তবে ঐ মহিলা বৃদ্ধা বা এমন যার প্রতি পুরুষের আগ্রহ নেই।তাহলে এমতাবস্থায়ও মহিলাকে সালাম করা সুন্নত।এবং শাব্দিকভাবে সালামের জবাব প্রদানও তখন মহিলার উপর ওয়াজিব।
وَأَمَّا إِنْ كَانَتْ تِلْكَ الْمَرْأَةُ شَابَّةً يُخْشَى الاِفْتِتَانُ بِهَا، أَوْ يُخْشَى افْتِتَانُهَا هِيَ أَيْضًا بِمَنْ سَلَّمَ عَلَيْهَا فَالسَّلاَمُ عَلَيْهَا وَجَوَابُ السَّلاَمِ مِنْهَا حُكْمُهُ الْكَرَاهَةُ عِنْدَ الْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ، وَذَكَرَ الْحَنَفِيَّةُ أَنَّ الرَّجُل يَرُدُّ عَلَى سَلاَمِ الْمَرْأَةِ فِي نَفْسِهِ إِنْ سَلَّمَتْ هِيَ عَلَيْهِ، وَتَرُدُّ هِيَ أَيْضًا فِي نَفْسِهَا إِنْ سَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا، وَصَرَّحَ الشَّافِعِيَّةُ بِحُرْمَةِ رَدِّهَا عَلَيْهِ.
তবে যদি মহিলা যুবতী হয়,যার ব্যাপারে ফিতনার ভয় থাকে,তাহলে ঐ মহিলাকে সালাম দেয়া এবং ঐ মহিলার জন্য সালামের জবাব দেয়া শা'ফেয়ী হাম্বলী ও মালিকী মাযহাব মতে মাকরুহ।হানাফি উলামায়ে কেরাম বলেন,যদি যুবতী মহিলা সালাম দেয়,তাহলে পুরুষ মনে মনে সালামের জবাব দেবে।এবং যদি যুবক পুরুষ সালাম দেয়,তাহলে যুবতী মহিলা মনে মনে সালামের জবাব দেবে।শা'ফেয়ী উলামায়ে কেরাম যুবক-যুবতীর পরস্পর সালামের উত্তর প্রদান হারাম।
وَأَمَّا سَلاَمُ الرَّجُل عَلَى جَمَاعَةِ النِّسَاءِ فَجَائِزٌ، وَكَذَا سَلاَمُ الرِّجَال عَلَى الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ عِنْدَ أَمْنِ الْفِتْنَةِ. وَمِمَّا يَدُل عَلَى جَوَازِ سَلاَمِ الرَّجُل عَلَى جَمَاعَةِ النِّسَاءِ مَا رُوِيَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: مَرَّ عَلَيْنَا رَسُول اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي نِسْوَةٍ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا
কোনো পুরুষ কর্তৃক মহিলার একদল কে সালাম দেয়া জায়েয যদি ফিতনার আশংকা না থাকে।ঠিকতেমনিভাবে ফিতনার আশংকা না থাকলে পুরুষের এক জামাত কোনো এক মহিলাকে সালাম প্রদান করতে পারবে।একজন পুরুষ কর্তৃক একদল মহিলাকে লক্ষ্য করে সালাম প্রদান সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমরা একদল মহিলার সামন দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ অতিক্রম করলেন,তখন আমাদেরকে সালাম করলেন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৫/১৬৬)

৪. ইকামতের জবাব দেওয়া মুস্তাহাব।
৫. এতটুকু জোরে পড়া যাবে যার কারণে আশপাশের ঘুমন্ত মানুষের কষ্ট না হয়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৪৭০৭

উত্তম জীবনসঙ্গিনী পাওয়া যাবে কিভাবে


৩ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৫১২০১

ছোট জিহাদ-বড় জিহাদ


২১ জানুয়ারী, ২০২৪

Faridpur, ফরিদপুর জেলা, Dhaka, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৪২৩৪

পীরের মুরিদ হওয়া কি ফরজ?


১৫ নভেম্বর, ২০২২

Chattogram

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy