আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

পীরের মুরিদ হওয়া কি ফরজ?

প্রশ্নঃ ২৪২৩৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,পীরের মুরিদ হওয়া কি ফরজ?

১৫ নভেম্বর, ২০২২
Chattogram

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় ভাই, মূল জরুরি বিষয় হল, নিজের আত্মাকে যাবতীয় গুনাহর চিন্তা থেকে পরিশুদ্ধ করে নেক আমলের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। নিজেকে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচিয়ে রেখে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। (সূরা আশ শামস ৯, ১০)
অন্যত্র তিনি বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা ২০৮)
আর উক্ত বিষয়টা একজন হক্কানি পীরের দিকনির্দেশনা পেলে সহজ হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা সুন্নাত। মুহাদ্দিস আবদূল হক্ব মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ. তার ‘কওলুল জামিল’ কিতাবে লিখেন, বায়আত গ্রহণ করা তথা হক্কানি পীরের মুরিদ হওয়া সুন্নাত।
সুতরাং পীরের মুরিদ হওয়া ফরজ; এজাতীয় কথা বলা বাড়াবাড়ি। অনুরূপভাবে ‘পীরের প্রয়োজন নেই’ একথা বলাও উচিত নয়। আমাদের উচিত সকল বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ি থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তাওফীকদাতা।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৪৫২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
কেমন আছেন?
পুরো লেখাটুকু পড়ার অনুরোধ থাকলো, অনেক আশা নিয়ে পুরো টুকু লিখছি...
আমি একজন সাধারন ছাত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আল্ল-হ তায়ালা আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ আমাকে ছাত্র শিবির এর মাধমে হেদায়েত দেন এবং আমি আল্লাহর সকল মেনে চলার চেষ্টা করি ছাত্র শিবির সংগঠন করার মাধমে। শিবির এ থেকে আমি ভালো সংগ পাই যা অন্য কোথাও পাইনা, এদের সাথে মেশার মাধমে সবসময় আল্লাহর কথা মনে হয়,আল্লাহর ভয় জন্মে। কিন্তু, আমার পরিবার বাধা দেয়, তারা আমাকে বলে এইসব রাজনিতি না করতে, হক কথা বলা থেকে বিরত থাকতে ইত্যাদি, এমনকি তারা আমাকে অনেক বড় বড় গুনাহ (ফুফাত, খালাত বোনদের সাথে দেখা সাক্ষাত করা, হাসি তামাশা) করতে বলে,,তারা বলে এইদুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এইগুলা একটু করতে হবে- সামাজিকতা বজায় রাখতে হবে ।অথচ,আমি একজন সাধারন লাইনের ছাত্র বিধায় জানি আজ তরুণ এর কি অবস্থা, তারা সবাই গেম, যেনা নিয়ে ব্যাস্ত, কারন আমি একসময় এই পথে ছিলাম। তাই আমার ইচ্ছা, শিবির এ থেকে আমি মানুষ কে হেদায়াতের পথে আনার চেষ্টা করতে চায়। আল্লাহর কছম, আমার কোন রাজনিতি বা ক্ষমতার লোভ দুনিয়াবি কারনে নেই, আছে শুধু ন্যায়বিচার-ইন্সাফ প্রতিষ্ঠার জন্য।
{> আমি ১ বছর যাবত জামায়াত-শিবির নিয়ে অনেক ঘাটছি, ভালো খারাপ দুওটাই আছে, তারা এমন একটি লক্ষে কাজ করে - যে বড় কোন ভুল ভাংগার জন্য ছোট খাট ভুল হলে সমস্যা নাই---(1)
আমার প্রশ্ন=[১] আমি আমার পরিবারের কথা মানলে ভাল কোন সংগি পায় না, নিজেকে সংযত রাখার ব্যাপার অনেক কঠিন, তাহলে কি আমি সংগঠন ছেড়ে দিব?
[২]৷ (1) এর আলোকে সংগঠন সম্পর্কে কি ধারনা?
[৩] সাধারন ভাবে সংগঠন সম্পর্কে ভালো ও খারাপ দিক কি কি আপনার?
[৪] আমাদের উপর ইস্লামের দাওয়াত দেওয়াকে ফরজ করা হয়েছে, হক কথা বলা ফরজ,,তাই আমি সংগঠনে থাকলে আল্লাহর রহমতে বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে পারি, অনেক দ্রুত দাওয়াতি কাজ করতে পারি,,, আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছা আমি পড়াশোনা করে সমাজে ভালো পর্যায়ে যাব, কিন্তু আগে আমি আব্বু আম্মুর এই কথা শুনতাম না, অবাধ্য ছিলাম,, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে শিবির এর ভাইদের সাথে থাকার তাওফিক দিছেন, যারা পড়াশোনা সম্পর্কে অনেক উতসাহ দেই এমনকি তাদের একপর্যায় এ গেলে,- ৫ঃ৩০ ঘন্টা পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক। উপরোক্ত ও এই কারনে আমার শিবির ভালো লাগে, তাই আমিও এদের মধ্যে থেকে অন্যদের আলোরপথে ফেরাতে চায়, আমার এই সিদ্ধান্ত কি ভুল? যদি হয় তাহলে কেন ভুল?( আমি সুধারাতে চাই ও অন্যদের এ ভুল ধারনা ভাংতে চেষ্টা করতে চাই)
★স্যার, আমু শুধু ভালো পথে থাকতে চাই, হোক শিবির হোক অন্য কিছু
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৮ মার্চ, ২০২২
ফুলতলা