আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪২৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন মসজিদ এ যদি সাধারণ মানষকে ঢুকতে না দেয়া হয় ঐ এলাকার বাসিন্দা ছাড়া, যেমনঃ কলনি। ওখানে কি জুমার নামাজ হবে?,

২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




নিরাপত্তাজনিত কারণে বা শত্রুর ভয়ে যদি সাধারণ মানুষকে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাহলে জুমআর নামাজ সহীহ হবে

এ সম্পর্কে ফাতওয়ার কিতাবে বলা হয়েছে–
اما اذا كان لمنع عدو يخشي دخوله وهو في الصلاة فالظاهر وجوب الغلق –
“কিন্তু যদি জুমু‘আর নামাযে আসতে বাধা দেয়া কোন শত্রুর কারণে হয়–নামায পড়া অবস্থায় যার প্রবেশের আশংকা হয়, তখন অনায়াসেই গেট লক করার হুকুম দেয়া আবশ্যক হবে।”

(দ্রষ্টব্য : হালাবী [হাশিয়াতুত তাহতাভী আলাদ দুররিল মুখতার, ১ম খণ্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠা])

তেমনি অপর কিতাবে এ সংক্রান্ত ফাতওয়ার ব্যাখ্যায় রয়েছে–
قوله ”لم تنعقد“ يحمل علي ما اذا منع الناس لا ما اذا كان لمنع عدو او لقديم عادة وقد مر
“তার কথা : ‘ইযনে ‘আম না থাকলে জুমু‘আ সহীহ হবে না’ এটা ঐ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যখন মানুষকে জুমু‘আয় শরীক হতে বাধা দেয়া হবে। কিন্তু যদি শত্রুকে বাধাগ্রস্ত করতে অথবা সেখানকার নিরাপত্তার পূর্বনিয়ম হিসেবে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়, তা জুমু‘আ কায়েমে প্রতিবন্ধক হবে না। এ সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।”

(দ্রষ্টব্য : হালাবী [হাশিয়াহ : আত-তাহতাবী আলাদ দুররিল মুখতার, ১ম খণ্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠা])

অনুরূপভাবে ইমদাদুল ফাতাওয়া কিতাবে রয়েছে–
اذن عام ہونا بهي منجمله شرائط صحت جمعه ہے – جس کے معني یہ ہیں کہ خود نماز پڑھنے والے كو روكنا وہان مقصود نہ ہو – باقي اگر روک ٹوک كسي اور ضرورت سے ہو وه اذن عام مين مخل نہیں –
“ইযনে ‘আম বিদ্যমান থাকাও জুুমু‘আ সহীহ হওয়ার শর্তাবলির অন্তর্ভুক্ত। যার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো–স্বয়ং নামায আদায়কারীগণকে যেন বাধা দেয়া সেখানে উদ্দেশ্য না হয়। তবে যদি অন্য কোন প্রয়োজনে বাধা দেয়া হয়, তা ইযনে আম-এর মধ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টিকারী গণ্য হবে না।”

(দ্রষ্টব্য : ইমদাদুল ফাতাওয়া, ১ম খণ্ড, ২১৪ পৃষ্ঠা])

তেমনি ইমদাদুল আহকাম কিতাবে বলা হয়েছে–
اگر چھاؤنی يا قلعہ ميں جمعہ ادا كيا جائے تو جائز ہے – گو چھاؤنی اور قلعہ ميں دوسرے لوگ نہ آ سكتے ہو – كيوں کہ مقصود نماز سے روكنا نہیں ہے , بلكه انتظام مقصود ہے –
“যদি সেনা ছাউনি বা কিল্লার মধ্যে জুমু‘আ আদায় করা হয়, তাহলে তা জায়িয হবে। যদিও সেনা ছাউনি ও কিল্লায় অন্য লোকজন আসতে পারেন না। কেননা, সেখানে তাদেরকে প্রবেশ করতে না দেয়া নামায থেকে বাধা দেয়ার জন্য নয়, বরং তাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা উদ্দেশ্য।”

(দ্রষ্টব্য : ইমদাদুল আহকাম, ১ম খণ্ড, ৭৫২ পৃষ্ঠা)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০২৩৩

তোমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় ঘরে আটকিয়ে রাখ এবং কিছু সময়ের পর ছেড়ে দিও এটা কোরান বা হাদীসের কোথাও কি আছে?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৯০৪৪৭

কবরস্থানে গিয়েই কি কবর যিয়ারত করতে হবে?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০০৫৫

হিফজের ছাত্রীদের পিরিয়ড অবস্থায় তেলাওয়াত


১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮২৫৮৯

টুপির ওপর সেজদা করার বিধান


২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

West Bengal ৭২১৬৫৮

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy