আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪০৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, আমি একবার এক বছরের রমজান মাসে টিভির একটি অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। প্রতিযোগিতাটি একটি রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে পুরো রমজান মাসে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের রান্না করে দেখানো হতো এবং প্রতিদিন একটি করে প্রশ্ন করা হতো,প্রশ্নটি সাধারণত সেদিন যে রান্না দেখানো হতো তাকে কেন্দ্র করে করা হতো যেমন: কোন উপকরণটি কি পরিমানে দেয়া হয়েছে, কি কি দেওয়া হয়েছে বা কয়টি দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। রমজান মাসের প্রতিদিন অনুষ্ঠানের শেষের দিকে এরূপ ধরনের একটি করে প্রশ্ন দেয়া হতো যার সঠিক উত্তরদাতা কে পুরস্কার দেয়া হতো। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য শুধু প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি মেসেজের মাধ্যমে তাদের নাম্বারে পাঠাতে হতো এবং যে ব্যক্তি প্রথমে সঠিক উত্তর দিতে পারত বা সঠিক উত্তর দিতে পারতো তাকে পুরস্কৃত করা হতো। আমিও একদিন এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি এবং আমিও সঠিক উত্তর দাতা হিসেবে পুরস্কার হিসেবে মোবাইল পাই। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে এই অনুষ্ঠানে বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা আমার জন্য জায়েজ হয়েছে কিনা এবং উপহার হিসেবে বা পুরস্কার হিসেবে মোবাইল ফোনটি গ্রহণ করা হালাল হয়েছে কিনা? আর যদি হালাল না হয়ে থাকে বা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা আমার জন্য জায়েজ না হয়ে থাকে তাহলে আমার এখন করনীয় কি?

২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





১. এজাতীয় অনুষ্ঠানে সাধারণত শরীয়তের মৌলিক বিধান-পর্দা রক্ষা করা হয় না। শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া পর্দা লঙ্ঘিত হয় এমন কোনো কাজে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নাই।

২. প্রশ্নের ধরণ থেকে বুঝা যায় ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কোনো লটারী কিনতে হয় না বা কোনো ধরণের আর্থিক লেনদেন করতে হয়না। বরং অনুষ্ঠান দেখে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই পরবর্তী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে ইনভাইটেশন এবং পুরস্কার পাওয়া যায়।
এজাতীয় অনুষ্ঠানে যদি শরীয়ত নিষিদ্ধ অন্য কোনো বিষয় না থাকে তাহলে তাতে অংশগ্রহণ করা এবং পুরস্কার গ্রহন করার অবকাশ আছে।
(তবে বাস্তবতা হলো পর্দা লঙ্ঘন, নাচগান, অহেতুক ক্রিয়াকলাপ ছাড়া এজাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা বা জমানো সম্ভব নয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা আবশ্যক। )

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন