আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কিশোরী টিকা গ্রহন করা কি জায়েজ?

প্রশ্নঃ ১২১৭৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কিশোরী টিকা সম্পর্কে শরীয়তের বিধান কি? এই টিকা দেওয়া কি জায়েজ না নাজায়েজ? এই টিকা গ্রহণ করলে কি শরীরের উপকার না ক্ষতি হয়? বিস্তারিত জানতে চায়?,

১৭ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


রোগ-ব্যাধির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য অগ্রিম ভ্যাক্সিন/টিকা গ্রহণ করা জায়েয। ব্যাপারে ইসলামে কোন বাধা নেই।

তবে হ্যাঁ, যদি বিশেষ কোন ওষুধ বা ভ্যাক্সিন সম্পর্কে সঠিক তথ্য-উপাত্ত, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সেটা ক্ষতিকারক তাহলে তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কেননা, জেনে-বুঝে ক্ষয়-ক্ষতি ও ধ্বংস ডেকে আনা ইসলামে নিষিদ্ধ।

যে কোনো টিকার শরঈ বিশ্লেষণের শুরুতেই যে বিষয়টি বিবেচনায় আসে তা হচ্ছে, ‘টিকা’ কোনো ঔষধ নয়, বরং তা প্রতিষেধক। ঔষধ প্রয়োগ করা হয় রোগ মুক্তির জন্য, পক্ষান্তরে টিকা দেয়া হয় রোগাক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। অর্থাৎ টিকা গ্রহণের উদ্দেশ্য সতর্কতা অবলম্বন; রোগমুক্তি নয়। তাই এটিকে সে অর্থে চিকিৎসাও বলা যায় না। এজন্যেই জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা বিষয়ক শরীয়তের ছাড়গুলোর সবক’টি টিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। সাধারণত একটি সমাজে টিকা গ্রহণ না করা লোকের সংখ্যা থাকে অসংখ্য। কিন্তু তাদের সিংহভাগই সে রোগে আক্রান্ত হয় না। তাই এটি সতর্কতাই বটে।

যারা জান বাঁচানো ফরয এধরনের অজুহাত তুলে এককথায় বাছ-বিচার ছাড়াই টিকা নেয়ার ফতোয়া জারি করেন তারা সে বিষয়টি লক্ষ করেন কি না জানি না। তবে একথাও জেনে রাখা দরকার, রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও হালাল-হারাম বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণের যে মত রয়েছে সেটিও বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষ। আর আগেই বলা হয়েছে যে, টিকা চিকিৎসা নয়; বরং সতর্কতা অবলম্বনস্বরূপ প্রতিষেধক নেয়া।

এবার মূলকথায় আসা যাক। আলোচিত টিকার শরঈ বিশ্লেষণে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া দরকার তার মধ্যে রয়েছে।

১. এর উপাদানগুলোতে শরীয়ত-নিষিদ্ধ কিছু রয়েছে কি না।

২. এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

৩. কী উদ্দেশ্যে টিকা নেয়া হবে ইত্যাদি।

প্রথমেই আসা যাক উপাদান প্রসঙ্গে। আমাদের দেশে ব্যবহৃত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপাদান সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য আমরা সরাসরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রোডাক্ট ইনফরমেশন লিফলেটটি পড়েছি। এরপর এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহলের সাথে কথা বলেছি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরীয়ার দৃষ্টিতে এ টিকার উপাদানগুলোর কয়েকটি নিয়ে ভাববার অবকাশ রয়েছে। যেমন : ১. এডিনোভাইরাস (Adenovirus) ২. পলিসরবেট ৮০ (Polysorbate 80) (ই৪৩৩) ৩. ইথানল

এডিনোভাইরাস (Adenovirus)

আলোচিত টিকার ‘এডিনোভাইরাস’ উপাদানটির গোড়ায় রয়েছে একটি মানবদেহের অংশবিশেষের ইতিহাস। জানা গেছে, এতে গত শতাব্দীর আশির দশকের শুরুর দিকে এই ভাইরাস প্রস্তুত করতে গিয়ে একটি গর্ভপাত হওয়া শিশুর কিডনির সেল/কালচার ব্যবহৃত হয়েছে। এর প্রথম ব্যবহারকারীদের দাবি, সেটি ছিল একটি আইনগত বৈধ গর্ভপাত। সে থেকে ঐ ভাইরাসের গ্রো (বংশবৃদ্ধি) করে তা অসংখ্য পরিমাণে উৎপাদিত হয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তাদের দাবি হচ্ছে, এত বছর উৎপাদনের পর এখনকার এডিনোভাইরাসে আর মানবদেহের কোনো অংশ পাওয়া যাবে না। হয়ত কথাটি যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু এডিনোভাইরাসের সঙ্গে যে একটি মৃত বা গর্ভপাত হওয়া মানব দেহের অংশবিশেষের যোগসূত্র রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ভালো হত যদি টিকায় এ উপাদানটি ব্যবহার না করে অন্য কোনো পদার্থ দ্বারা এ উদ্দেশ্য হাসিল করা হত। যদিও অর্ধশতাব্দী ধরে ঐ সেল থেকে ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন পরিমাণে ভাইরাস গ্রো করার পর এখন আর সরাসরি একথা বলা যাচ্ছে না যে, এখনকার এডিনোভাইরাসে মানবাংশ রয়েছে। আর সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকায় এডিনোভাইরাসের কারণে এ টিকা ব্যবহার হারামও বলা হচ্ছে না। তবে মুসলিম দেশগুলোর অবশ্যই দাবি তোলা উচিত, যেন ভবিষ্যতের অন্যান্য টিকায় এর উপাদানের উত্তম বিকল্প ব্যবহার করা হয়, যেন মানুষের মনে কোনো সন্দেহের উদ্রেক না ঘটে এবং শরীয়ার দিক থেকে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়।

পলিসরবেট ৮০ (Polysorbate 80)

অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকায় ব্যবহৃত এ উপাদানটি ফ্যাট তথা চর্বিবিশেষ। এটি ই কোড ৪৩৩ হিসাবেও পরিচিত। এটি সাধারণত দুটি উৎস থেকে সংগৃহীত হয়Ñ ১. প্রাণিজ চর্বি ২. উদ্ভিদ। উদ্ভিদ থেকে নেয়া হলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু যদি প্রাণিজ উৎস থেকে নেয়া হয় তখন আবার প্রশ্ন দাঁড়াবে প্রাণীটি কী? সেটি শূকর নয় তো? অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় জেলাটিন না থাকায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু পলিসরবেট ৮০-ও যেহেতু এনিমেল তথা প্রাণিজ উৎস থেকে নেওয়ার সম্ভবনা থাকে তাই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার ছিল। খোঁজা-খুঁজির পর যে তথ্যগুলো পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ইউকে গভর্ণমেন্টের ওয়েবসাইটে ‘রেগুলেটরি এপরোভাল অব কোভিড-১৯ অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র ডিটেইলসে বলা হয়েছে, এ টিকায় এনিমেল তথা প্রাণীর কোনো উপাদান নেই। সম্ভবত এর উপর ভিত্তি করেই ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিক্যাল এসোসিয়েশন টিকাটির বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে। এছাড়া ভারতের বিজনেস টুডে পত্রিকার ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ঈ. সংখ্যায় অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ কয়েকটি কোম্পানির টিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রস্তুতকারকগণ জানিয়েছেন যে, এসবে শূকরের কোনো মিশ্রণ নেই। বিষয়টি যদি এমনি হয় তবে ধরে নেওয়া যায় যে, ‘পলিসরবেট ৮০’ উদ্ভিদ বা সিনথেটিক থেকে সংগৃহিত। সে দৃষ্টিতে এতে সমস্যা থাকছে না।

ইথানল (Ethanol)

অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকায় সামান্য পরিমাণ ইথানল রয়েছে। এটি এলকোহল তথা মদ। মুসলমানদের জন্য খাদ্য ও পানীয়তে অতি সামান্য পরিমাণ এলকোহল ব্যবহারও অবৈধ। সেটির উপাদান যাই হোক। আঙ্গুর, খেজুর, যব, লতা-পাতা তথা উদ্ভিদ অথবা সিনথেটিকÑ যা দিয়েই প্রস্তুত করা হোক খাবার বা পানীয়তে এলকোহল মেশানোর সুযোগ নেই। হাদীসে সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ রয়েছেÑ

ما أسكر كثيره فقليله حرام

অর্থাৎ মাদক সামান্য পরিমাণও হারাম। Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ১৮৬৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৬৮১

এ তো গেল খাবার বা পান করার মাসআলা।

এলকোহলের আরেকটি মাসআলা হল সেটি নাপাক তথা অপবিত্র। তবে এক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর একটি বক্তব্য অনুযায়ী আঙ্গুর, খেজুর ও যবের দ্বারা উৎপাদিত মদ নাপাক; অন্যান্য মদ নাপাক নয়। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ এলকোহল ভেজিটেবল বা সিনথেটিক উপাদান দ্বারা তৈরি বলে বলা হয়।

আর করোনার টিকা খাবার বা পানীয় হিসেবে প্রয়োগ করা হয় না; বরং তা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এছাড়া টিকাটিতে যতগুলো উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ইথানলের পরিমাণ খুবই সামান্য। এসব বিবেচনায় টিকাটি গ্রহণ করা হারাম হবে বলে মনে হয় না।

টিকায় অন্যান্য যে উপাদানগুলো রয়েছে যেমন, সোডিয়াম জাতীয় দ্রব্যগুলো সেগুলোতে শরঈ কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা থেকে একথা বলা যায় যে, উপাদানগত দিক থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার শরীয়তে বাধা নেই।

স্বাস্থ্যগত দিক
ইসলাম মানুষকে এমন কিছু ব্যবহারের অনুমোদন দেয় না, যা তার জন্য প্রাণহানীকর অথবা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর কারণ। সে দৃষ্টিতে কোনো টিকা নেওয়ার পূর্বেই তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া দরকার এবং ব্যবহারকারীর জন্য স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উপযুক্ত কি না তা জেনে নেওয়া আবশ্যক। যদিও দীর্ঘমেয়াদি করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ টিকাগুলো প্রয়োগই শুরু হয়েছে মাত্র মাস দুয়েক আগে। অন্যদিকে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের মধ্যে অল্প কিছু লোক ছাড়া অন্যদের মধ্যে এখনও জটিল কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি বলে বলা হচ্ছে। তথাপি টিকা ব্যবহারের পূর্বে স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো জেনে-বুঝে নেওয়া দরকার।

নিয়ত বা উদ্দেশ্য
আগেই বলা হয়েছে, টিকা রোগের ঔষধ নয়; বরং রোগাক্রান্ত না হওয়ার জন্য অগ্রিম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এখন প্রশ্ন হল, এ বিশ্বাসে কি টিকা গ্রহণ করা যাবে যে, এটি নিলে কোনোক্রমেই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না অথবা এ টিকার এমন নিজস্ব শক্তি রয়েছে যে, তা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে রোগ থেকে বাঁচাতে সক্ষম। না, কোনো মুসলমান এমন নিয়ত বা এ ধরনের বিশ্বাস ধারণ করতে পারে না; বরং তাকে এ বিশ্বাস ও ঈমান রাখতে হবে যে, ভালো-মন্দ, রোগাক্রান্ত হওয়া বা রোগমুক্ত থাকা সবকিছুর মূল শক্তি আল্লাহর হাতে। আল্লাহ না চাইলে তার ক্ষেত্রে টিকা কার্যকর হবে না। টিকা কাজ করলে তা আল্লাহর ইচ্ছাতে এবং তাঁর অনুগ্রহেই করেছে।

উপরোক্ত কথা থেকে এটিও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সঠিক নিয়তে ব্যবহার করলে টিকা ‘তাওয়াক্কুল’ পরিপন্থী নয়। কারণ টিকা গ্রহণকারী তা ব্যবহারই করবে ওসিলা হিসেবে। তার বিশ্বাস, মূল কার্যক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার।

উপসংহার
উপরে যা বলা হয়েছে তা দ্বারা একথা বোঝানো হয়েছে যে, করোনার টিকাটি গ্রহণ করা মুবাহ তথা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। কিন্তু এটি নেয়া আবশ্যক বা উত্তমÑ এমন কিছুই নয়। তাই কেউ না নিতে চাইলে তাতে শরীয়তের দৃষ্টিতে সমস্যা নেই। তবে যে নেবে সে নিয়ত ও উদ্দেশ্য সহীহ করে নেবে; যেভাবে উপরে বলা হয়েছে।

পরিশেষে এ বিষয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন আমরা তাদের সকলের শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ সকলকে উত্তম জাযা দান করুন।

আরেকটি কথা বলে শেষ করছি, তা হল, মুসলমানদের একটি দেশ, যাতে কোটি কোটি লোকদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তা আমদানির সিদ্ধান্তের পূর্বে যদি নির্ভরযোগ্য আলেমদের মাধ্যমে আগেই এর শরীয়া বিষয়গুলো নিশ্চিত করে নেয়া হত তাহলে তা কতই না ভাল হত।

শুরুতেই এ কাজটি করতে পারত। বিভিন্ন সময়ে এবং দরকারে ধর্মের প্রতি ক্ষমতাসীনরা তাদের আগ্রহের কথা বড় করে তুলে ধরতে ভোলেন না, কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তার আমল দেখা যায় না সাধারণত।

ইন্দোনিশিয়া আমাদের মতই একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। তাদের সরকার সে দেশে করোনার টিকা শুরুতে ঢোকাতে দেয়নি। তারা বলেছে, আগে নিশ্চিত হতে হবে এটিতে হারাম উপাদান নেই; এরপর আমরা তা গ্রহণ করব। ইন্দোনেশিয়া তার দ্বীনী পরিচয়ের স্বাক্ষর রাখতে পারল বিশ্ব দরবারে আর আমরা!

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯১৩৮৬

প্রজেক্টর বা ডিজিটাল পর্দার মাধ্যমে বক্তাকে দেখা মহিলাদের কতটুকু শরীয়তসম্মত?


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নওগাঁ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ আল কাউসার

৯০২৩৩

তোমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় ঘরে আটকিয়ে রাখ এবং কিছু সময়ের পর ছেড়ে দিও এটা কোরান বা হাদীসের কোথাও কি আছে?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৯০৪৪৭

কবরস্থানে গিয়েই কি কবর যিয়ারত করতে হবে?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৭৭৭৮৭

জিমেইল ফেসবুক আইডি বিক্রি প্রসঙ্গ


২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

গাজীপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy