و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার ভাই যেহেতু আপনার স্ত্রীর মাহরাম নয় তাই তাদের সাথে আপনার মায়ের সফর জায়েজ হলেও আপনার স্ত্রীর সফর করা জায়েজ নাই। কেননা মাহরাম ছাড়া নারীর সফর জায়েজ নাই। আর প্রয়োজনের খাতিরে এর কি শরঈ কোনো ব্যাখ্যা আছে? না কি নিজেদের বানানো প্রয়োজনকে ‘প্রয়োজন বলে চালিয়ে দেওয়া?” নিজেদের বানানো প্রয়োজনকে শরীয়ত প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করে না।
হাদীস শরীফে মহিলাদেরকে মাহরাম ব্যতীত হজের সফরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

لاَ يَخْلُوَنّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ، وَلاَ تُسَافِرَنّ امْرَأَةٌ إِلّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا، وَخَرَجَت امْرَأَتِي حَاجَّةً، قَالَ : اذْهَبْ فَحُجّ مَعَ امْرَأَتِكَ.

কোনো পুরুষ যেন অপর মহিলার সঙ্গে একাকী অবস্থান না করে। আর কোনো মহিলা যেন তার মাহরাম ব্যতীত সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি। আর আমার স্ত্রী হজ¦যাত্রী। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজ¦ করতে যাও। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০০৬) অপর এক হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

لَا تَحُجّنّ امْرَأَةٌ إِلّا وَمَعَهَا ذُو محْرمٍ.
কোনো মহিলা যেন মাহরাম ব্যতীত হজ¦ না করে। (সুনানে দারাকুতনী, হাদীস ২৪৪০)

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
যেখানে হজের মত গুরুত্বপূর্ণ বিধানে মাহরাম ছাড়া যাওয়া জায়েজ নাই সেখানে মাহরাম ছাড়া নিজেদের বানানো প্রয়োজনের খাতিরে মাহরাম ছাড়া যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। কাজেই আপনার স্ত্রী মাহরাম ছাড়া (আপনার মায়ের সাথে হলেও) যেতে পারবে না। সফরসম দূরত্বে হলে অবশ্যই আপনি নিজে কিংবা আপনার বাবা অথবা তার বাবা,ভাই, মামা চাচা,কেউ থাকতে হবে।

২. ব্যবহৃত বস্তু দিয়েও যাকাত দেওয়া যাবে। তবে যেই বস্তু দিয়ে যাকাত আদায় করছেন সেটা ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে। এমন যেন না হয় যে, আপনি এখন আর সেটা ব্যবহার করতে পারছেন না, তাই সেটার একটা সম্ভাব্য মূল্য নির্ধারণ করে যাকাত হিসেবে দিয়ে দিলেন!! যদি তা হলে তাহলে সেটা বড়ই জুলুম হবে। আর যাকাতের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয় যে, যাকাত গ্রহিতার কোনো বস্তুতে উপকার বেশী হবে। সেটা বিবেচনা করে যাকাত দেওয়া উচিত। সেই হিসেবে ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে টাকা দিয়ে যাকাত দেওয়াই সর্বোত্তম। কেননা এটা দিয়ে মানুষ তার চাহিদামাফিক যাবতীয় জরুরত পূর্ণ করতে পারে।

البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري (2/ 217)
ولهذا ذكر الولوالجي وغيره أنه لو عال يتيما فجعل يكسوه ويطعمه وجعله من زكاة ماله فالكسوة تجوز لوجود ركنه، وهو التمليك، وأما الإطعام إن دفع الطعام إليه بيده يجوز أيضا لهذه العلة.
الدر المختار شرح تنوير الأبصار وجامع البحار (ص: 126)
فلو أطعم يتيما ناويا الزكاة لا يجزيه إلا إذا دفع إليه المطعوم، كما لو كساه بشرط أن يعقل القبض إلا إذا حكم عليه بنفقتهم.
الدر المختار شرح تنوير الأبصار وجامع البحار (ص: 130)
(وجاز دفع القيمةفي زكاة وعشر وخراج وفطرة ونذر وكفارة غين الاعتاق) وتعتبر القيمة يوم الوجوب، وقالا يوم الاداء.
الجوهرة النيرة على مختصر القدوري (1/ 134)
فإن قلت فما الأفضل إخراج القيمة أو عين المنصوص قلت ذكر في الفتاوى أن أداء القيمة أفضل وعليه الفتوى لأنه أدفع لحاجة الفقير.
الفتاوى الهندية (1/ 192)
وذكر في الفتاوى أن أداء القيمة أفضل من عين المنصوص عليه وعليه الفتوى كذا في الجوهرة النيرة.

والله اعلم بالصواب