সালাতুল মাজুর
প্রশ্নঃ ৮২৩৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমার একটা রোগ আছে সেটা হলো , কয়েকদিন আগে আমার প্রস্রাব করার সময় লজ্জাস্থান-এ খুব ব্যাথা করে, প্রস্রাবের শেষের দিকে রক্ত যায় এবং প্রস্রাবের ফোঁটা পড়তে থাকে। এমনকি গত শুক্রবার পুরা দিন আমার পাঁচ মিনিট সময়ও অবসর যায়নি যে, আমি অযূ করে পবিত্র অবস্থায় ফরয নামায আদায় করবো। এরপর আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ ঔষধ খাওয়ার পর রক্ত ও ব্যথা অনুভব ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু প্রস্রাবের ফোঁটা পড়া বন্ধ হয়নি। আমি অযূ করে নাপাক লুঙ্গি পরিবর্তন করে নামাযে দাঁড়িয়ে যায় । কিন্তু নামাযের দুই এক রাকাত পড়া অবস্থায় আমার প্রস্রাবের ফোঁটা চলে আসে এবং নামায অবস্থায় তা কাপড়ে লেগে যায় । এরকম প্রত্যেক নামাযের সময় হয়ে থাকেন। এখন আমার জানার বিষয় হলো, ১, আমি কিভাবে নামায আদায় করবো? শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি জানতে চাই। ২, বিগত কয়েকদিন আমি এভাবে যে নামাযগুলো পড়েছি এগুলো আদায় হবে কী, না কাযা আদায় করতে হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। ( আমার চিকিৎসা চলমান ),
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
কুতুবদিয়া
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যে ব্যক্তির অনবরত বায়ু নির্গত হয়, শরীরের কোনো স্থান থেকে অনবরত রক্ত ঝরে বা প্রশ্রাব ঝরে, কিংবা এ জাতীয় কোন রোগে আক্রান্ত যার কারণে তিনি এতটুকু সময় পাক থাকতে পারেন না যাতে তিনি সেই সময়ের ফরজ নামাযটুকুও আদায় করতে পারেন; শরীয়তের পরিভাষায় এজাতীয় ব্যক্তিকে মাজুর বলে। এই রকম মাজুর ব্যক্তির হুকুম হল, নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তিনি অজু করে নিবেন এবং এই অজু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতসহ যাবতীয় নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। এমনিভাবে কুরআন তেলওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদতও করতে পারবেন। নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ার সাথে সাথে তার অজুও শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে।
কেননা, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, لًَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব অর্পণ করেন না। সুরা বাকারা: ২৮৬
সহিহ বুখারী শরীফে হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন
, جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَةُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ، إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَيْسَ بِحَيْضٍ، فَإِذَا أَقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ". قَالَ وَقَالَ أَبِي " ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ ".
ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ রা. নবী সা. এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার এত বেশী রক্তস্রাব হয় যে, আর পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি নামায ছেড়ে দেব? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, এ তো ধমনি থেকে নির্গত রক্ত। এটা হায়েজ নয়। তাই যখন তোমার হায়েজ আসবে তখন নামাজ ছেড়ে দিও। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে। তারপর নামাজয আদায় করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার পিতা বলেছেন, তারপর এভাবে আরেক হায়জ না আসা পর্যন্ত প্রত্যেক নামাযের জন্য উযু করবে। -সহীহ বুখারী হাদীস নং: ২২৮
কিন্তু কারো সমস্যা যদি সেই পর্যায়ের না হয় বরং পেশাবের পর, বা অন্য কোনো সময় পেশাব ঝরে আবার পরে বন্ধ হয়ে যায়, এমনিভাবে কিছুক্ষণ পরপর বায়ূ নির্গত হয়, আবার কিছু সময় বন্ধ থাকে এজাতীয় ব্যক্তি মাজুর হিসেবে গণ্য হবে না। বরং তার জন্য করণীয় হলো, তিনি ওই সময়ে অপেক্ষায় থাকবেন যখন তার পেশাব/রক্ত ঝরা/বাতাস নির্গত হওয়া বন্ধ হবে। বন্ধ হলে নামাজ শুরু করবেন। তারপর যদি নামাজ চলাকালে আবার পেশাব ঝরে/রক্ত বের হয় বা বায়ূ নির্গত হয় তাহলে তিনি পুণরায় অজু করে নামাজ আদায় করবেন।
فى حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-وتتوضأ المستحاضة ومن به عذر كسلس بول واستطلاق بطن لوقت كل فرض ويصلون به ما شاءوا من الفرائض والنوافل
ويبطل وضوء المعذورين بخروج الوقت فقط متى يثبت العذر
ولا يصير معذورا حتى يستوعبه العذر وقتا كاملا ليس فيه انقطاع بقدر الوضوء والصلاة وهذا شرط ثبوته
وشرط دوامه وجوده في كل وقت بعد ذلك ولو مرة
وشرط انقطاعه وخروج صابحه عن كونه معذورا خلو وقت كامل عنه
(حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ، كتاب الطهارة، باب الحيض والنفاس والاستحاضة-148-151
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অজু করে কাপড় পরিবর্তন করে নামাজ আদায় করবেন। আশা করছি আপনার উত্তরটি পেয়েছেন।
والله اعلم بالصواب
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৭৭৭৮৭
জিমেইল ফেসবুক আইডি বিক্রি প্রসঙ্গ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
গাজীপুর

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৮২৫৮৯
টুপির ওপর সেজদা করার বিধান
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
West Bengal ৭২১৬৫৮

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৮১৭৯৯
অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
নামবিহীন রাস্তা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে