আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মুরিদ হওয়া এবং মাযহাব মানা প্রসঙ্গে

প্রশ্নঃ ১১৮৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কারো কাছে মুরিদ হওয়া কি ফরজ? এবং মাযহাব মানা কি ফরয?

৫ জুলাই, ২০২৪
নামবিহীন রাস্তা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মানুষ শারীরিকভাবে যেভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে,  ঠিক তেমনিভাবে আধ্যাত্মিকভাবেও মানুষ অসুস্থ হয়ে থাকে, শারীরিক অসুস্থ হওয়ার কারণে যেভাবে মানুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়, ঠিক তেমনি ভাবে আধ্যাত্মিক অসুস্থতার কারণেও মানুষ এমন কোন ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে হয় যার মাধ্যমে সে তার রুহানি চিকিৎসা করে নিতে পারেন,  শারীরিক অসুস্থতা যেমন: জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা, কাশি ইত্যাদ, ঠিক তেমনিভাবে অন্তরে ব্যাধি হলো: হিংসা, অহংকার, লৌকিকতা, বদমেজাজি ইত্যাদি! শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে মানুষ যেভাবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে তার চিকিৎসা করে,  ঠিক তেমনি ভাবে আধ্যাত্মিক রোগের কারণেও কোন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির শরণাপন্ন হয়ে তার অন্তরের চিকিৎসা করায়,  আর এটাকেই তাসাউফ বা তাজকিয়াকিয়া বলা হয়! মানুষের অবস্থাভেদে এর গুরুত্বপূর্ণও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে!  শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য যেমন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী, তবে সুস্থ ব্যক্তির জন্য জরুরী নয়! ঠিক তেমনি ভাবে আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্যও তার রুহানি চিকিৎসা করার জন্য কোন আল্লাহ তাআলার কাছে গিয়ে তার নিজের অবস্থা তুলে ধরে তার নিজের সংশোধনের জন্য চিকিৎসা নিতে হয়, আর এটা জরুরিও বটে, অপরদিকে কোন ব্যক্তির অন্তর যদি আধ্যাত্মিক ব্যাধিসমূহ থেকে সুস্থ থাকে তার জন্য চিকিৎসা করানো বা বায়াত হওয়া জরুরি নয়, তবে আল্লাহ ওয়ালাদের সহবত ও তাদের সাহচর্যের বিকল্প নেই! তাই কোন ব্যক্তি নিজের সংশোধনের জন্য বায়াত হওয়া জরুরী এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য বায়াত হওয়া উত্তম! তবে বর্তমানে আমাদের দেশে পীর মুরিদীর নামে যে ব্যবসা চলছে এগুলো মূলত পীর-মুরিদী নয় এবং এদের কাছে বায়াত হওয়া জায়েজ হবে না!


  ঐ সমস্ত ব্যক্তিবর্গ যারা কোরান হাদিস থেকে সরাসরি তার বিধিবিধানগুলো উদঘাটন করতে পারে না তাদের জন্য মাযহাব মানা জরুরি, আর কারো যদি এমন যোগ্যতা থাকে যে সে নিজেই কোরআনের নাসেখ-মানসুখ সহ কোরআনের সকল বিধিবিধানগুলো সম্পর্কে জ্ঞাত হাদীসসমূহ সকল হাদিস সম্পর্কে জ্ঞাত এবং কোরান হাদিস থেকে সঠিকভাবে মাসালা উদঘাটন করতে সক্ষম তার জন্য মাযহাব মানা জরুরী নয়!


والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৪৫২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
কেমন আছেন?
পুরো লেখাটুকু পড়ার অনুরোধ থাকলো, অনেক আশা নিয়ে পুরো টুকু লিখছি...
আমি একজন সাধারন ছাত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আল্ল-হ তায়ালা আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ আমাকে ছাত্র শিবির এর মাধমে হেদায়েত দেন এবং আমি আল্লাহর সকল মেনে চলার চেষ্টা করি ছাত্র শিবির সংগঠন করার মাধমে। শিবির এ থেকে আমি ভালো সংগ পাই যা অন্য কোথাও পাইনা, এদের সাথে মেশার মাধমে সবসময় আল্লাহর কথা মনে হয়,আল্লাহর ভয় জন্মে। কিন্তু, আমার পরিবার বাধা দেয়, তারা আমাকে বলে এইসব রাজনিতি না করতে, হক কথা বলা থেকে বিরত থাকতে ইত্যাদি, এমনকি তারা আমাকে অনেক বড় বড় গুনাহ (ফুফাত, খালাত বোনদের সাথে দেখা সাক্ষাত করা, হাসি তামাশা) করতে বলে,,তারা বলে এইদুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এইগুলা একটু করতে হবে- সামাজিকতা বজায় রাখতে হবে ।অথচ,আমি একজন সাধারন লাইনের ছাত্র বিধায় জানি আজ তরুণ এর কি অবস্থা, তারা সবাই গেম, যেনা নিয়ে ব্যাস্ত, কারন আমি একসময় এই পথে ছিলাম। তাই আমার ইচ্ছা, শিবির এ থেকে আমি মানুষ কে হেদায়াতের পথে আনার চেষ্টা করতে চায়। আল্লাহর কছম, আমার কোন রাজনিতি বা ক্ষমতার লোভ দুনিয়াবি কারনে নেই, আছে শুধু ন্যায়বিচার-ইন্সাফ প্রতিষ্ঠার জন্য।
{> আমি ১ বছর যাবত জামায়াত-শিবির নিয়ে অনেক ঘাটছি, ভালো খারাপ দুওটাই আছে, তারা এমন একটি লক্ষে কাজ করে - যে বড় কোন ভুল ভাংগার জন্য ছোট খাট ভুল হলে সমস্যা নাই---(1)
আমার প্রশ্ন=[১] আমি আমার পরিবারের কথা মানলে ভাল কোন সংগি পায় না, নিজেকে সংযত রাখার ব্যাপার অনেক কঠিন, তাহলে কি আমি সংগঠন ছেড়ে দিব?
[২]৷ (1) এর আলোকে সংগঠন সম্পর্কে কি ধারনা?
[৩] সাধারন ভাবে সংগঠন সম্পর্কে ভালো ও খারাপ দিক কি কি আপনার?
[৪] আমাদের উপর ইস্লামের দাওয়াত দেওয়াকে ফরজ করা হয়েছে, হক কথা বলা ফরজ,,তাই আমি সংগঠনে থাকলে আল্লাহর রহমতে বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে পারি, অনেক দ্রুত দাওয়াতি কাজ করতে পারি,,, আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছা আমি পড়াশোনা করে সমাজে ভালো পর্যায়ে যাব, কিন্তু আগে আমি আব্বু আম্মুর এই কথা শুনতাম না, অবাধ্য ছিলাম,, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে শিবির এর ভাইদের সাথে থাকার তাওফিক দিছেন, যারা পড়াশোনা সম্পর্কে অনেক উতসাহ দেই এমনকি তাদের একপর্যায় এ গেলে,- ৫ঃ৩০ ঘন্টা পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক। উপরোক্ত ও এই কারনে আমার শিবির ভালো লাগে, তাই আমিও এদের মধ্যে থেকে অন্যদের আলোরপথে ফেরাতে চায়, আমার এই সিদ্ধান্ত কি ভুল? যদি হয় তাহলে কেন ভুল?( আমি সুধারাতে চাই ও অন্যদের এ ভুল ধারনা ভাংতে চেষ্টা করতে চাই)
★স্যার, আমু শুধু ভালো পথে থাকতে চাই, হোক শিবির হোক অন্য কিছু
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৮ মার্চ, ২০২২
ফুলতলা