হাদিয়ার কুরবানীর মাংস টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের খাওয়ানো!
প্রশ্নঃ ১১২৬৫৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাদরাসায় কুরবানির গোশত দান করা হয়। মাদরাসা তা সংরক্ষণ করে সারা বছর ছাত্রদের খাওয়ায়, অথচ ছাত্ররা মাসিক হারে খাবারের টাকা দেয়। এ অবস্থায় কুরবানির গোশত খাওয়ানো ও পূর্ণ টাকা নেওয়া শরীয়তসম্মত কি? দলিলসহ জানতে চাই।
২৮ জুলাই, ২০২৫
মাওনা ইউনিয়ন
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আমাদের দেশে যেসকল মাদরাসায় কুরবানীর গোশত দেওয়া হয় সাধারণত সেগুলো এতিমখানা বা লিল্লাহ বোর্ডিংসম্বলিত মাদরাসা। এই মাদরাসাগুলোতে যারা পড়েন-থাকেন-খাবার গ্রহন করেন তাদের একটা বড় অংশই বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া-পড়াশোনা করেন।
আর আরেকটা শ্রেণী আছে যারা আংশিক খরচ দিয়ে মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। উপরোক্ত উভয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের আংশিক ব্যয়ভার তাদের নিজেদের দেওয়া টাকায় হয় এবং অবশিষ্ট খরচ জনসাধারণের দেওয়া দান, সদাকা, কুরবানীর চামড়া বিক্রিলব্ধ টাকা থেকে হয়। মাদ্রাসায় এই দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ৮০ শতাংশ। বাস্তব সংখ্যা এরচেয়েও বেশী হবে। কাজেই এখানে যারা টাকা দিয়ে খাবার খায় তারা বাস্তব খরচ থেকে অনেক কম দিয়েই খেয়ে থাকে। এবং কর্তৃপক্ষও এজন্য কম রাখতে পারে যেহেতু তাদের খরচের অবশিষ্ট অংশ জনসাধারণ থেকে আসে। কাজেই তাদের কুরবনীর মাংস খাওয়ালে সেটা বিক্রি হিসেবে গণ্য হবে না। কেননা তারা যেই টাকা দিচ্ছে সেই টাকাও তো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়!! সেখানে তাদের কাছে কুরবানীর মাংস বিক্রির প্রশ্নও আসে না। তাই কুরবানীর গোশতের কারণে তাদের খাবারের মূল্য থেকে কোনো কিছু হ্রাস করা আবশ্যক নয়।
তৃতীয়ত আরেক শ্রেণীর মাদরাসা আছে যারা জনসাধারণের দান, সদাকা, কুরবানীর চামড়া-গোশত ইত্যাদী গ্রহন করেন না। যেটা সম্পূর্ণই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। সেগুলো সম্পূর্ণই ছাত্রদের দেওয়া টাকায় চলে। পুরো মাসের খরচের পর আয়ব্যায় ওই মাদরাসার উদ্যোক্তার থাকে।
এজাতীয় মাদরাসায় সাধারণত কেউ কুরবানীর গোশত দান করে না। যদি কেউ করে তাহলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের জন্য আবশ্যক হলো যেই বেলার খাবারে ওই গোশত খাওয়াবে সেই বেলায় গোশতের মূল্য পরিমাণ টাকা হ্রাস করে নিবে।
ہدایہ :
"قال: "ويتصدق بجلدها" لأنه جزء منها "أو يعمل منه آلة تستعمل في البيت" كالنطع والجراب والغربال ونحوها، لأن الانتفاع به غير محرم "ولا بأس بأن يشتري به ما ينتفع بعينه في البيت مع بقائه" استحسانا، وذلك مثل ما ذكرنا لأن للبدل حكم المبدل، "ولا يشتري به ما لا ينتفع به إلا بعد استهلاكه كالخل والأبازير" اعتبارا بالبيع بالدراهم. والمعنى فيه أنه تصرف على قصد التمول، واللحم بمنزلة الجلد في الصحيح، فلو باع الجلد أو اللحم بالدراهم أو بما لا ينتفع به إلا بعد استهلاكه تصدق بثمنه، لأن القربة انتقلت إلى بدله، وقوله عليه الصلاة والسلام: "من باع جلد أضحيته فلا أضحية له" يفيد كراهة البيع".
(کتاب الاضحیۃ،ج:4، ص: 360، ط: دار الاحیاء)
موسوعہ فقہیہ کویتیہ :
"متى ذبح لم يجز له البيع ولا الإبدال. وهذا بالنسبة لصاحبها.
وأما الذي أهدي إليه شيء منها، أو تصدق عليه به، فيجوز له البيع والإبدال".
(تحت اللفظ: الأضحية،ج: 5 ، ص: 105، ط : ادارة الأوقاف)
چونکہ لوگ مدرسہ میں قربانی کا گوشت طلبہ کے لیے بھیجتے ہیں ،اس لیے طلبہ سےقربانی کے گوشت کی قیمت لیناجائز نہیں ،لہذا جن دنوں میں مدرسہ میں قربانی کا گوشت بنتا ہے، اس دن کی فیس کو روٹی اور کھانے کے دوسرے اخراجات مثلاً مصالحہ جات اور پکوائی وغیرہ کے اخراجات کے بقدر وصول کیا جاسکتا ہے۔
فقط والله اعلم
فتوی نمبر : 144411102681
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
والله اعلم بالصواب
সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা ওয়াল হাদিস,
জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১