আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আসরের নামাজে দেরী করলে কি ওই দিনের আমল নষ্ট হয়ে যায়?

প্রশ্নঃ ১০৯৭৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসরের সালাত দেরি করে আদায় করলে ওই দিনের আমল নষ্ট হয়ে যায় এবং ইচ্ছে করে কাজা করলে সারা জীবনের আমল নষ্ট হয়ে যায় এটি কি সত্য?,

১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মুহতারাম, কথাটি এভাবে সঠিক নয়। সারা জীবনের আমল নষ্ট হওয়ার কথা কুরআন হাদীসে আসেনি।
যদিও আসরের নামাযের ব্যাপারে হাদীসে খুব বেশী গুরুত্তারোপ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে,

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ ".

আব্দুল্ললাহ্ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেল। (বুখারী ৫২৫)

আরো এসেছে,

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، قَالَ كُنَّا مَعَ بُرَيْدَةَ فِي غَزْوَةٍ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ فَقَالَ بَكِّرُوا بِصَلاَةِ الْعَصْرِ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ ".

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ ـ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّ أَبَا الْمَلِيحِ، حَدَّثَهُ قَالَ كُنَّا مَعَ بُرَيْدَةَ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ فَقَالَ بَكِّرُوا بِالصَّلاَةِ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ الْعَصْرِ حَبِطَ عَمَلُهُ ".

আবু মালীহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা বুরাইদা (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। দিনটি ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই বুরাইদা (রাযিঃ) বলেন, শীঘ্র আসরের নামায আদায় করে নাও। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের নামায ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। (বুখারী ৫৬৭,৫২৬)

হাদীসের ব্যাখ্যাঃ

হাদীসে আসরের নামায ছেড়ে দেওয়ার কারণে আমল বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কথাটি রাসূল (ﷺ) আসরের নামাযের প্রতি গুরুত্বারোপ করার জন্য বলেছেন। কেননা, ব্যবসায়ীরা কেনা-কাটার ও কৃষকরা তাড়াতাড়ি কাজ সেরে বাড়ি ফেরার চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আসরের নামায ছেড়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে বিরাট গুনাহ; কিন্তু একটি গুনাহের জন্য অন্যসব নেক আমল বিনষ্ট হয় না।

হাদীসে 'আমল বিনষ্ট হয়ে যায়' দ্বারা ধমকবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে, এমন নয় যে, সত্যই আপনার সকল আমল বিনষ্ট হয়ে গেছে।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ্‌ বলেন,

وَاللَّهُ مَعَكُمْ وَلَن يَتِرَكُمْ أَعْمَالَكُمْ

অর্থঃ আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্মফল বিনষ্ট করবেন না। (সুরা ফাত্‌হঃ৩৫)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯১১৩০

এক মসজিদের নিচ তলা ও দোতলায় একাধিক তারাবীহ আদায় করা যাবে কী?


২ মার্চ, ২০২৫

বগুড়া ৫৮০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০৭৩৭

ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মনাইর কান্দি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

৯০৪৯৮

ইমামের সাথে একজন /দুইজন মুকতাদী কিভাবে দাড়াবে?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Bethua

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯১৪৮৫

এক নামাজে দুইবার সেজদায়ে সাহু দিলে নামাজ হবে?


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy