আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০৩৭০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অনেক অনেক শুকরিয়া আমরা পূর্ববর্তী প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য। আল্লাহ আপনাদের টই নেক কাজের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন, আমিন।আমার এখন ছোট ছোট বেশ কিছু প্রশ্ন আছে, আশা করি ইসলামিক আলোকে এর যথাযথ উত্তর পাবো, ইন শা আল্লাহ। ১) শাইখ আমি কি কুরআনের কোন সুরা বা কুরআন বা হাদিসের কোন দুয়া কে আমার মোবাইলের রিংটোন করে রাখতে পারব?২) যখন আমি বাড়িতে নামাজ পড়ি তখন কি ইউটিউব থেকে মোবাইলে কোন কুরআানের সুরা বা ইসলামিক নাসিদ বা নাত বা আল্লাহর জিকির চালিয়ে নামাজ পড়তে পারব? সুরা না চালাতে পারলে নাসিদ গুলো কি চালিয়ে নামাজ পড়তে পারব?৩) ইউটিউবে অনেক নাসিদ বা জিকিরের ভিডিও আছে, অনেক আল্লাহর নামের জিকিরও পাওয়া যায়, তো আমি কি ওই নাসিদ বা জিকির গুলো মোবাইলে চালিয়ে বাড়িতে নামাজের আগে জাইনামাজে বসে জিকির করতে পারব? ৪) নামাজ ব্যাতিত সময়ে যে কোন ফাঁকা সময়ে সুয়ে বা বসে আমি মোবাইলে জিকির গুলো প্লে করে মনে মনে বা জোরে জোরে জিকির করি, তো সুয়ে বা বসে ইউটিউব জিকির করা কি ভুল হবে? ৫) ইউটিউবে অনেক সময় আমি কুরআন শুনি, আমি কুরআন ভালভাবে পড়তে পারি না, কিন্তু কুরআন শুনতে শুনতে এমন ভাব আসে যে কুরআনের অডিওটা শুনে শুনে আমিও গলা ছেড়ে তাল মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু ভুলভাল হয়ে যায়, এটা করা কি আমার ভুল হচ্ছে? ( আমি কুরআন শেখার চেষ্টায় আছি, মুসলিম বাংলা এ্যপ থেকে) ততদিন কি এমন ভাবে দু একবার কুরআন পড়ার চেষ্টা করে ভুল উচ্চারিত হলে আমার গুনাহ হবে?আশাকরি দ্বীনি আলোকে দ্রুত উত্তর পাবো, জাজাক আল্লাক খইরান।,

১৩ নভেম্বর, ২০২১

West Bengal 742227

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

মুহতারাম, আযান বা হাদিসের কোন দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।যদিও নিয়তটি অবশ্যই ভালো। কিন্তু এ কাজটি ঠিক নয়। কুরআন আল্লাহর কালাম। কুরআন তিলাওয়াত অনেক বড় সওয়াব ও ফযীলতের আমল। কুরআন তিলাওয়াত শোনাও অনেক সওয়াবের কাজ। তেমনি আযান আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও তাসবীহ সম্বলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি, যা শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক তথা ‘শিআর’; এগুলো নিজেদের কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। মোবাইলে কল এসেছে- এ খবর দেওয়ার জন্য আল্লাহর পবিত্র কালাম-ওহী বা আযান-এর ব্যবহারের দ্বারা আল্লাহর কালামকে নিজের কাজে ব্যবহার করা হয়, যা আল্লাহর কালামের সাথে বেআদবী ও নিন্দনীয় কাজ। তাছাড়া রিং আসলে মানুষ কল ধরা নিয়েই ব্যস্ত হয়- তিলাওয়াতের দিকে মনোযোগই দেয় না। আর মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশের পর ফোন এলে অপবিত্র স্থানে আল্লাহর নাম, তাসবীহ বা আল্লাহর কালামের ধ্বনি বেজে ওঠে। এতে যে চরমভাবে এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়- এ কথা কে না বুঝে। সুতরাং রিংটোন হিসেবে এগুলোর ব্যবহার থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

প্রসঙ্গসমূহ: