আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রাতে কেন খাবার পাত্র ঢেকে রাখতে হয়?

প্রশ্নঃ ১০১৮১০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন খাবার রাতে ঢেকে রাখতে ভুলে গেলে, ওই খাবার কি আর খাওয়া যাবে? শুনেছি ওই ঢেকে না রাখা খাবার খবিস জিন চেটে থাকে আর তাই এই খাবার খাওয়া আর ঠিক না।,

৪ মে, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
খবিস জীন চেটে খাওয়া সংক্রান্ত যেই কথা আপনি উল্লেখ করেছেন আপনার শোনা কথাটি যথার্থ নয়। বরং রাতে পাত্র/হাঁড়ি ঢেকে রাখার যে বিধান দেওয়া হয়েছে এটা মূলত নসিহাত এবং উম্মতের কল্যাণার্থে। অথবা এটিকে মুস্তাহাব মনে করা দেওয়া হয়েছে।

ইমাম কুরতুবী রাহ. বলেন: وقال القرطبي: جمیع أوامر ھذا الباب من باب الإرشاد إلی المصلحة ویحتمل أن تکون للذب (مرقاة: ج۸ ص۲۳۱، امدادیہ پاکستان)
এই অধ্যায়ের সমস্ত আদেশ হেদায়েতের পথনির্দেশস্বরূপ অথবা মুস্তাহাব হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

হাদিসে এসেছে
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: قَالَ: «غَطُّوا الْإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِي السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لَا يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٌ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلَّا نَزَلَ فِيهِ من ذَلِك الوباء»
মুসলিমের আরেক বর্ণনায় আছে, নবী (ছাঃ) বলিয়াছেন খাদ্য-পাত্র ঢাকিয়া রাখ এবং মশক বন্ধ রাখ। কেননা, বৎসরে এমন এক রাত্র আছে, যেই রাত্রে বিভিন্ন প্রকারের বালা-মুছীবত নাযিল হয়। উক্ত বালার গতিবিধি এমন সব পাত্রের দিকে হয় যাহা ঢাকা নহে এবং এমন পান পাত্রের দিকে হয় যাহার মুখ বন্ধ নহে, তাহার মধ্যে প্রবেশ করে।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ) (মিশকাতুল মাসাবীহ)
হাদীস নং: ৪২৯৮ https://muslimbangla.com/hadith/39243

উপরোক্ত বর্ণনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, পাত্র না ঢাকার কারণে তার ভেতরে থাকা খাবার-বস্তু হারাম হয়ে যায় না। কাজেই যদি কেউ চায় তাহলে সেটাও খেতে পারে। আর যদি তার মনে না চায় কিংবা রুচিতে না যায় তাহলে কোনো পশু পাখিকে খাইয়ে দিবে। ফেলে নষ্ট করবে না।

رات کو برتن ڈھکنے کا جو حکم ہے وہ از قبیل ارشاد اور شفقتاً علی الامة ہے، یا استحبابی ہے وقال القرطبي: جمیع أوامر ھذا الباب من باب الإرشاد إلی المصلحة ویحتمل أن تکون للذب (مرقاة: ج۸ ص۲۳۱، امدادیہ پاکستان) ایک حدیث میں ہے برتنوں کو ڈھکاکرو اور مشکیزہ کو باندھا کرو کیونکہ سال میں ایک رات ایسی بھی ہوتی ہے جس میں وباء نازل ہوتی ہے اور جو برتن ڈھکے ہوئے نہیں ہوتے ہیں، یا جو مشکیزے بندھے ہوئے نہیں ہوتے ہیں اس میں وہ وبا سرایت کرتی ہے وفي رویت قال: غطوا الإناء وأوکوا السقاء فإن في السنة لیلة ینزل فیھا وباء لا یمر بإناء لیس علیہ غطاء أو سقاء لیس علیہ وکاء إلا نزل فیہ من ذلک الوباء (مشکوٰة: ج۱ ص۳۷۲) اس لیے آدمی کو برتین وغیرہ ڈھک کر سوناچاہیے لیکن اگر کوئی شخص نادانستہ ڈھکنا بھول جائے تو اس پر کوئی گناہ نہیں ہے۔

(۲) اوپر کے ذکر سے پتہ چلا کہ برتنوں کو نہ ڈھکنے کی وجہ سے وہ چیزیں جو اس کے اندر ہیں حرام نہیں ہوتیں اس لیے اگر کوئی ان اشیاء کو کھانا چاہے تو کھاسکتا ہے اور اگر دل نہ کرے تو جانوروں کو کھلادے، پھینک کر ضائع نہ کرے۔
ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ: https://darulifta-deoband.com/home/ur/food-drinks/3488

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯১৩৬৩

তলাবায়ে কেরাম যেন নিজের ‘শুরু’ না ভোলেন


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভৈরব

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৪০৯৩৩

রাসূলুল্লাহ সা. কি সম্পর্কে ওয়ারাকা ইবনে নওফিলের ভাতিজা ছিলেন?


১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গোবিন্দগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৫২৯০৬

ছেলের শাশুড়িকে বিয়ে করার বিধান


২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৬৬৪৩৬

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে ফেললে!


৪ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy