আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#২৯০১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার আব্বা আমার ফুফা থেকে বিশ ডিসিম জমি ক্রয় করেছিলেন। তবে তা রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। নিকটাত্মীয় ও বিশ্বস্ত মনে করে টাকা দিয়েছেন এবং এর সাক্ষীও রয়েছে অনেক। জমিটি প্রায় ১৫ বছর ধরে আব্বার দখলে আছে। কিন্তু  পরে ফুফা তা  বিক্রির কথা অস্বীকার করেন। আর টাকা নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন। কিছুদিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর ওয়ারিশগণ কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি।

 

তার জানাযায় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলে যে, অমুক ব্যক্তির (আমার পিতা) নিকট মৃত ব্যক্তি কিছু জমি পাবে বলে আমাকে ওসিয়ত করে গেছে। সন্তানদেরকে তা নেয়ার জন্য বলে। ফলে তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ সৃষ্টি হয়। 

এখন আমার প্রশ্ন, শরীয়তের দৃষ্টিতে তার সঠিক সমাধান কী? দয়া করে তা অবগত করলে কৃতজ্ঞ হব।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৯ অক্টোবর, ২০২০
#
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আমি আনোয়ারা বেগম। আমার মোট পাঁচ সন্তান। ২ জন ছেলে, ৩ জন মেয়ে। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। অন্য ছেলে পরিবার নিয়ে ভিন্ন থাকে। সে আমাদের ভরণ-পোষণ দেয় না। আমার স্বামী (ক্যানসারের রোগী ছিলেন) অসুস্থ হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল খেদমত আমার ছোট মেয়ে করেছে এবং আমার ও আমার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সমস্ত দায়-দায়িত্ব মৃত্যু পর্যন্ত আমার ছোট মেয়ে বহন করবে। এই দায়-দায়িত্ব বহন করার শর্তে আমি তার নামে আমার বসত-বাড়ীর ৩১ শতাংশ জমি হেবা দলীল করে দিয়েছি। এছাড়া আমার আরো (১৪৪ শতাংশ ১৮ গণ্ডা) জমি আছে, যাতে আমার মৃত্যুর পর পাঁচ সন্তান মিরাছের ভিত্তিতে শরীক হবে। মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল :

১. মৃত্যু পর্যন্ত আমার ও আমার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সকল দায়-দায়িত্ব বহন করার শর্তে আমার ছোট মেয়ের নামে বসত-বাড়ীর ৩১ শতাংশ দলীল করে দেওয়া শরীয়তসম্মত হয়েছে কি না?

২. আরো জানতে চাই, আমি আমার (১৪৪ শতাংশ ১৮ গণ্ডা) জমির আয় আমার ছোট মেয়েকে দিচ্ছি। উক্ত আয় এককভাবে তাকে দেওয়া বৈধ হচ্ছে কি না? নাকি আমার সকল সন্তানের মাঝে তা বণ্টন করে দিতে হবে?

৩. আরো জানতে চাই, আমার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পেছনে ছোট মেয়ের ব্যয়ের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে আমার ছেলে মিরাছসূত্রে যে সম্পদ পাবে, তা থেকে কর্তন করা যাবে কি না? নাকি ব্যয় বেশি হলেও তা ছোট মেয়েকেই বহন করতে হবে?

৪. আরো জানতে চাই, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ওয়ারিশসূত্রে যে জমি পাবে, তার মৃত্যুর পর ঐ জমির মালিক কে হবে? যেহেতু তার স্ত্রী-সন্তান নেই। যেহেতু ছোট মেয়ে তার দায়-দায়িত্ব নিয়েছে, সুতরাং উক্ত সম্পদ ছোট মেয়ে পাবে, নাকি সকল ওয়ারিশই পাবে?

উপরোক্ত সব বিষয়ে দয়া করে সমাধান জানিয়ে আমাদের অস্থিরতা দূর করবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রশ্নে কেবলমাত্র আমার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#৩৩০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

সম্মানিত মুফতী সাহেব, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। বিনীত নিবেদন এই যে, আমার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানালে খুব উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনার মঙ্গল করবেন।

ক. আমার পিতা সরকারি চাকরি করতেন। তিনি গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। চাকরির কাগজপত্রে আমার মাকে নমিনি করা আছে। এখন প্রশ্ন হল, সরকার থেকে প্রাপ্ত সকল টাকা-পয়সার মালিক আমার আম্মা হবেন কি না?

যদি না হন তবে এসব টাকা-পয়সা কিভাবে বণ্টিত হবে? উল্লেখ্য, আমরা তিন বোন এক ভাই। তিন বোন সাবালিকা এবং বিবাহিতা। ভাইটি নাবালেগ (বয়স তিন বছর)।

আমার পিতার বাড়ি দাশপুকুরে। বাড়ি এবং বাড়ির জিনিসপত্র বণ্টন করার নিয়ম কী?

৪৮৬১ খ. বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা রেখে মাসে মাসে পেনশন আকারে উঠালে জায়েয হবে কি না?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#৫৪২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাবা রাষ্ট্রীয় একটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বাবার ইন্তেকালের পর আমরা তার থেকে একটি বাড়ি ও উক্ত বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে পেনশনের টাকা মীরাস হিসাবে পাই। তারা আমাদেরকে পেনশনের ৫০% একত্রে দেয়। আর বাকী ৫০% প্রতি মাসে সাড়ে আঠার হাজার টাকা করে দেয়। আমাদের বাড়িটি নির্মাণে মোট ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তার মধ্যে ৫০ লাখ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত টাকা। আর বাকি টাকার বেশির ভাগই বৈধভাবে উপার্জিত। বর্তমানে আমরা বাড়ি ভাড়া আর মাসিক পেনশনের টাকা দিয়ে চলি। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো আয় নেই। তবে আমাদের পরিবারে দুজন সদস্য কর্মক্ষম।

জানতে চাই, বাবার ওয়ারিসদের জন্য এ বাড়ীতে থাকা ও তার ভাড়া এবং পেনশনের টাকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে? নাজায়েয হলে করণীয় কী? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#৮২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা ছয় ভাই দুই বোন। বোনদের বিবাহ হয়ে গেছে। তিন ভাইয়ের আলাদা সংসারও আছে। আমরা দুই ভাই আলেম ও হাফেজ। আমরা তিন ভাই আব্বা-আম্মার সাথে আছি। আমাদের মধ্যে বড় ভাইয়ের আমল ভাল। তাই আব্বা-আম্মা তাকে নিয়ে হজে¦ গেছেন। আর তাকে ও ভাবিকে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। আমাদের ভাইদের আবদারে আব্বা হজ¦ থেকে এসে আমাদের ৬ ভাইয়ের জন্য জমি ক্রয় করেছেন। তাতেও বড় ভাইকে অন্যদের থেকে বেশি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এগুলো ওয়ারিস সম্পত্তি হিসেবে নয়, যা মৃত্যুর পর সন্তানরা পায়। এখন জানার বিষয় হল, আব্বার শুধু বড় ভাইকে নিয়ে হজে¦ যাওয়া এবং তারা স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা ও বিষয়-সম্পত্তি বেশি দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না?

নতুন জমিতে আমাদের বোনেরা অংশিদার হবে কি না? যদি হয় তাহলে কীভাবে হবে? অনুগ্রহ করে শরয়ী সমাধান দিয়ে উপকৃত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#৮২৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাবা মৃত্যুর পূর্বে তিন মাস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সে সময় তার ব্যবহারের মোটরসাইকেলটি তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী আযাদ আংকেলের জন্য অসিয়ত করেন। ইতিমধ্যে আযাদ আংকেল হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন। এর কিছুদিন পর আমার বাবাও ইন্তেকাল করেছেন। এখন আযাদ আংকেলের ছেলেরা সেই মোটরসাইকেলটি দাবি করছে। কিন্তু আমার বড় ভাই বলছেন, বাবা তো মোটরসাইকেলটি আযাদ আংকেলের জন্য অসিয়ত করেছিলেন, তার ছেলেদের জন্য নয়। আর আযাদ আংকেল তো বাবার আগেই ইন্তেকাল করেছেন। তাই তার ছেলেদের এটা পাওয়ার কথা না। জানতে চাচ্ছি, এখন এটি কাদের প্রাপ্য? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০