আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতী সাহেব, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। বিনীত নিবেদন এই যে, আমার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানালে খুব উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনার মঙ্গল করবেন। ক. আমার পিতা সরকারি চাকরি করতেন। তিনি গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। চাকরির কাগজপত্রে আমার মাকে নমিনি করা আছে। এখন প্রশ্ন হল, সরকার থেকে প্রাপ্ত সকল টাকা-পয়সার মালিক আমার আম্মা হবেন কি না? যদি না হন তবে এসব টাকা-পয়সা কিভাবে বণ্টিত হবে? উল্লেখ্য, আমরা তিন বোন এক ভাই। তিন বোন সাবালিকা এবং বিবাহিতা। ভাইটি নাবালেগ (বয়স তিন বছর)। আমার পিতার বাড়ি দাশপুকুরে। বাড়ি এবং বাড়ির জিনিসপত্র বণ্টন করার নিয়ম কী? ৪৮৬১ খ. বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা রেখে মাসে মাসে পেনশন আকারে উঠালে জায়েয হবে কি না?,

৯ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ক. ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনার মরহুম পিতার চাকরির সুবাদে সরকার থেকে প্রাপ্ত এককালীন টাকা তার অন্যান্য সম্পদের মতো সকল ওয়ারিসের মাঝে মীরাসনীতি অনুসারে বণ্টিত হবে। নমিনি হিসাবে আপনার মা এককভাবে মালিক হবেন না। নমিনি হলেন একজন প্রতিনিধি মাত্র, যিনি নিজ দায়িত্বে টাকাগুলো গ্রহণ করে যার যার হিস্যা তাকে দিয়ে দিবেন। কাউকে নমিনি করার দ্বারা তিনি ঐ টাকার মালিক হয়ে যান না।

প্রাপ্ত ঐ টাকা এবং আপনার পিতার অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার পিতার কোনো ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে। এরপর তার বৈধ কোনো ওসিয়ত থাকলে অবশিষ্ট সম্পদের একতৃতীয়াংশ থেকে তা আদায় করতে হবে। এরপর আপনার পিতার অবশিষ্ট সকল সম্পত্তি (বাড়ী-আসবাবপত্রসহ) আপনাদের মাঝে নিম্নোক্ত শতকরা হারে বণ্টিত হবে।

মরহুমের স্ত্রী= ১২.৫%

এক ছেলে = ৩৫%

তিন মেয়ের প্রত্যেকে ১৭.৫% করে মোট ৫২.৫%

মোট = ১০০

উল্লেখ্য যে, মাইয়েতের সম্পত্তিগুলো যদি সমমূল্যের না হয়, তাহলে সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে নিয়ে পূর্বোক্ত শতকরা হারে বণ্টন করতে হবে। -ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যাহ ৪/৩৫০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৬২১; মাজমূআতুল ফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ১০/২৯২; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দা ১১৪৯

খ. আপনার এ প্রশ্নটি অস্পষ্ট। যদি ব্যাংকে টাকা রেখে তাদের থেকে প্রাপ্ত সুদ গ্রহণের কথা জিজ্ঞেস করে থাকেন তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে এমনটি করার সুযোগ নেই। ইসলামে সুদ গ্রহণ ও প্রদান করা সুস্পষ্টভাবে হারাম ও মারাত্মক কবীরা গুনাহ।


والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মাসিক আলকাউসার

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy