আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৬৪৩৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমার প্রশ্ন কসম ভাঙ্গা এবং এর কাফফারা নিয়ে।

আমি অনেকের কাছে জেনেছি ও শুনেছি এর কাফফারা সম্পর্কে। আমার জন্য কাফফারার বিধান পেয়েছি ৩টি।

১। ১০ জন মিসকিনকে ২ বেলা খাওয়ানো।
২। ফিতরার সমপরিমাণ টাকা দিয়ে দেয়া।
৩। ১০ জন মিসকিন কে কাপড় প্রদান করা।

এখন আমি কি এর যেকোন একটাই করলে হবে নাকি আমাকে শুধু প্রথমটাই করতে হবে, যেহেতু কোরানের যে আয়াতে আমি এই সমাধান দেখেছি সেখানে শুধু ১ম টাই উল্লেখ আছে। আমি চাচ্ছি আমার এই কাফফারা সম্পর্কে আমি ছাড়া আর কেউ না জানুক, তাই আমার জন্য ২য় পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভাল হয়।

আশা করি উত্তরটি দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন।

জাযাকাল্লাহু খইরান।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
২ জুন, ২০২১
ঢাকা ১২৩০
#২৯৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার ভগ্নিপতি খুব রাগী মানুষ। সন্তানরা সামান্য কথা মানতে না পারলেই রেগে যায় এমনকি মারধরও শুরু করে দেয়। আমাদের কথাও মানে না। আমরা তাকে একজন আলেমের কাছে নিয়ে যাই। এরপর থেকেই তার মাঝে পরিবর্তন আসতে থাকে। সে সন্তানদেরকে মারধর করা ছেড়ে দেয় আর ভবিষ্যতে না মারার শপথও করে। কিছুদিন আগে পাশের বাড়ির লোকদের সাথে একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে সে তাদেরকে লাঠি নিয়ে মারতে যায়। আমার ভাগিনা ঝগড়া থামাতে গেলে ভুলে তার মাথায় আঘাত পড়ে এবং সে আহত হয়। ভগ্নিপতির তাকে মারার উদ্দেশ্য ছিল না; বরং অন্যরা সরে যাওয়ায় তার মাথায় পড়েছে। জানার বিষয় হল, ভাগিনার গায়ে এভাবে আঘাত লাগার কারণে কি তার পিতার শপথ ভেঙ্গে গেছে? এখন তার করণীয় কী? জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#৩৩৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একবার আমি শপথ করে বলেছিলাম, আমার স্ত্রীর রান্না আর খাব না। পরে এই শপথ ভঙ্গ হয়ে যায় এবং আমি তার হাতের রান্না খাই। এর কাফফারা আদায়ের জন্য আমি দরিদ্র দশ জনকে দাওয়াত করি। তারা এসে দুপুরে আমার বাসায় খানা খায়। খানার পর তাদেরকে পরের দিন দুপুরে আবার আসার জন্য বলে দিই। সে হিসেবে তারা পরের দিনও এসে খানা খায়। কিন্তু তাদের মধ্যে দুইজন এমন ছিল, যারা আগের দিন আসেনি। এখন গ্রামের এক আলেম বলছেন, কাফফারা আদায়ের জন্য প্রথম দিন যারা এসেছিল তাদেরকেই খাওয়াতে হবে। অন্য দুই জনকে খাওয়ালে কাফফারা আদায় হবে না।

মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে আসলেই কি প্রথম দশ জনকে খাওয়াতে হবে?

নাকি যে কোনো দশজনকে খাওয়ালে হবে? যদি না হয় তাহলে এখন আমার করণীয় কী? এখন কি পুনরায় দশজনকে দু’বেলা খাওয়াতে হবে? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#১৩২৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করি। একদিন এক দরিদ্র লোক এসে চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা চাইল। খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার বাড়ি ভোলা। এবং সে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। আর এদিকে আমি ইতিপূর্বে একটি কসম করে ভঙ্গ করেছি। তাই ভাবলাম, আমাকে তো দশজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে বা এর মূল্য দিতে হবেই তাহলে এই ব্যক্তিকে দুই বেলার মূল্য ১০০ টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু আমার কাছে মাত্র পঞ্চাশ টাকা ছিল। তাই এক বেলার নিয়তে দিয়ে দেই। পরে জনৈক আলেম বিষয়টি জানতে পেরে বললেন, এভাবে কাফফারা আদায় হবে না। একজনকে পূর্ণ দুই বেলার মূল্যই দিতে হবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ আলেম কি ঠিক বলেছেন?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০