দু’আ

মোট দু’আ - ৬২৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা আল আনকাবুত ( আয়াত নং - ২৪ )

share dua
details icon

{فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (24)} [العنكبوت: 24]

উচ্চারণঃ ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহী-ইল্লা-আন ক্বালুকতুলুহু আও হাররিকুহু ফাআনজা-হুল্লাহু মিনান্না-রি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

অর্থঃ উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, ‘এটাকে হত্যা কর বা অগ্নিদগ্ধ কর।’ কিন্তু আল্লাহ্ তাকে অগ্নি হতে রক্ষা করলেন। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে।

.

সূরা ফাত্বির ( আয়াত নং ৩৬-৩৭ )

share dua
details icon

{وَالَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَى عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِنْ عَذَابِهَا كَذَلِكَ نَجْزِي كُلَّ كَفُورٍ (36) وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَاءَكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ نَصِيرٍ (37)} [فاطر: 36، 37]

উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীনা কাফারূ লাহুম না-রু জাহান্নামা লা-ইউকদা-‘আলাইহিম ফাইয়ামূতূ ওয়ালা-ইউখাফফাফু‘আনহুম মিন ‘আযা-বিহা- কাযা-লিকা নাজঝী কুল্লা কাফূর। ওয়া হুম ইয়াসতারিখূনা ফীহা- রাব্বানাআখরিজনা-না‘মাল সা-লিহান গাইরাল্লাযী কুন্না-না‘মালু আওয়ালাম নু‘আম্মির কুম মা-ইয়াতাযাক্কারু ফীহি মান তাযাক্কারা ওয়াজাআ কুমুন নাযীরু ফাযূকূফামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন নাসীর।

অর্থঃ কিন্তু যারা কুফরী করে তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের আগুন। এদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হবে না যে, এরা মরিবে এবং এদের হতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়ে থাকি। সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না।’ আল্লাহ্ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’

.

সূরা আছ ছাফ্‌ফাত - আয়াত নংঃ ৭-১০

share dua
details icon

{وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ (7) لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)} [الصافات: 7 - 10]

উচ্চারণঃ ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূ শিহা-বুন ছাকিব।

অর্থঃ এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

.

সূরা আদ-দুখান ( আয়াত নং ৪৩-৫০ )

share dua
details icon

{إِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّومِ (43) طَعَامُ الْأَثِيمِ (44) كَالْمُهْلِ يَغْلِي فِي الْبُطُونِ (45) كَغَلْيِ الْحَمِيمِ (46) خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَى سَوَاءِ الْجَحِيمِ (47) ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ (48) ذُقْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ (49) إِنَّ هَذَا مَا كُنْتُمْ بِهِ تَمْتَرُونَ (50)} [الدخان: 43 - 50]

উচ্চারণঃ ইন্না শাজারাতাঝঝাক্কূম। তা‘আ-মুল আছীম। কালমুহলি ইয়াগলী ফিলবুতূন। কাগালইল হামীম। খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা-ছাওয়াইল জাহীম। ছু ম্মা সুববূফাওকা রা’ছিহী মিন ‘আযা-বিল হামীম। যুক ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল কারীম। ইন্না হা-যা-মা-কুনতুম বিহী তামতারূন।

অর্থঃ নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ (সূরা ছাফফাতে এসম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে) বড় পাপীর (অর্থাৎ কাফিরের) খাদ্য হবে, যা ( দৃষ্টিকটু হওয়ার ব্যাপারে) তেলের তলানির মত হবে এবং ফুটন্ত পানির মত ফুটতে থাকবে। ফেরেশতাগণকে ( আদেশ করা হবে) একে ধর এবং টেনে জাহান্নামের মধ্যস্থলে নিয়ে যাও, অতপর এর মস্তকের উপরে যন্ত্রণাদায়ক ফুটন্ত পানি ঢল। (তাকে ঠাট্টাচ্ছলে বলা হবে এবার) স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো বড় সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত। (এটা তোমার সম্মান, যেমন তুমি দুনিয়াতে নিজেকে সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত মনে করে আমার আদেশ পালনে লজ্জা বোধ করতে। জাহান্নামীদেরকে বলা হবে.) এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ পোষণ (ও অস্বীকার করতে।

.

সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৫১-৫৫ )

share dua
details icon

ثُمَّ اِنَّكُمْ اَیُّہَا الضَّآلُّوۡنَ الْمُکَذِّبُوۡنَ ﴿ۙ۵۱﴾ لَاٰکِلُوۡنَ مِنۡ شَجَرٍ مِّنۡ زَقُّوۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾ فَمَالِـُٔوۡنَ مِنْہَا الْبُطُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾ فَشٰرِبُوۡنَ عَلَیۡہِ مِنَ الْحَمِیۡمِ ﴿ۚ۵۴﴾ فَشٰرِبُوۡنَ شُرْبَ الْہِیۡمِ ﴿ؕ۵۵﴾

উচ্চারণঃ ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।

অর্থঃ অতঃপর (অর্থাৎ একত্রিত হওয়ার পর ) হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যা রোপকারিগণ! তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। এর উপর পান করবে ফুটন্ত পানি। তোমরা পান করবে পিপাসার্ত উটের ন্যায়। (মোটকথা) কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।

.

সূরা মুল্‌ক ( আয়াত নং ৫-৯ )

share dua
details icon

وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلْنٰہَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ وَ اَعْتَدْنَا لَہُمْ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ﴿۵﴾ وَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمْ عَذَابُ جَہَنَّمَ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیۡرُ ﴿۶﴾ اِذَاۤ اُلْقُوۡا فِیۡہَا سَمِعُوۡا لَہَا شَہِیۡقًا وَّ ہِیَ تَفُوۡرُ ۙ﴿۷﴾ تَکَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الْغَیۡظِ ؕ كُلَّمَاۤ اُلْقِیَ فِیۡہَا فَوْجٌ سَاَلَہُمْ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمْ یَاۡتِكُمْ نَذِیۡرٌ ﴿۸﴾ قَالُوۡا بَلٰی قَدْ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبْنَا وَ قُلْنَا مَا نَزَّلَ اللہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنْ اَنۡتُمْ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾

উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর। ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর। ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর। তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর। কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর।

অর্থঃ আমার শক্তি-সামর্থ্যের প্রমাণ এই যে) আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজি) দ্বারা সুশোভিত করেছি, এগুলোকে (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজিকে ) শয়তানের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র করেছি (সূরা হাজরে এর স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে) এবং আমি তাঁদের (অর্থাৎ শয়তানদের) জন্য (দুনিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া পরকালে কুফরের কারণে ) জাহান্নামের শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। যারা তাদের পালনকর্তাকে (অর্থাৎ তাঁর তওহীদ) অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কত নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্লোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। (হয় আল্লাহ্ তার মধ্যে উপলব্ধি ও ক্রোধ সৃষ্টি করে দেবেন, ফলে সে-ও কাফিরদের প্রতি ক্রোধান্বিত হবে, না হয় দৃষ্টান্তস্বরূপ এ কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেমন কেউ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে যায়, তেমনি জাহান্নাম তীব্র উত্তেজনাবশত জোশ মারতে থাকবে)। যখনই তাতে কোন (কাফির) সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তাদেরকে তার রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করবে : তোমাদের কাছে কি কোন সন্তর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেনি? (যে তোমাদেরকে এই শান্তি সম্পর্কে সতর্ক করত এবং ফলে তোমরাও থেকে আত্মরক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করতে? এই প্রশ্ন শাসানোর উদ্দেশ্যে করা হবে। অর্থাৎ পয়গম্বর তো অবশ্যই আগমন করেছিল। প্রত্যেক নবাগত সম্প্রদায়কে এই প্রশ্ন করা হবে। কেননা,কুফরভেদে কাফিরদের সব সম্প্রদায় একের পর এক জাহান্নামে যাবে)। তারা (অপরাধ স্বীকার করে ) বলবে : হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেছিল। অতঃপর (দুর্ভাগ্য ক্রমে ) আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম আল্লাহ্ (বিধি-বিধান ও কিতাব ধরনের) কোন কিছু নাযিল করেন নি। তোমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।

.

সূরা আল জ্বিন ( আয়াত নং ৮-৯ )

share dua
details icon

وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰہَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیۡدًا وَّ شُہُبًا ۙ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْہَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنۡ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِہَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾

উচ্চারণঃ ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।

অর্থঃ ‘এবং আমরা চেয়েছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দিয়ে আকাশ পরিপূর্ণ ; ‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনবার জন্যে বসতাম কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে তার ওপর নিক্ষেপের জন্যে প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়।

.

সূরা আল বুরুজ ( আয়াত নং - ১০ )

share dua
details icon

اِنَّ الَّذِیۡنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِیۡنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ لَمْ یَتُوۡبُوۡا فَلَہُمْ عَذَابُ جَہنَّمَ وَ لَہُمْ عَذَابُ الْحَرِیۡقِ ﴿ؕ۱۰﴾

উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা ফাতানুলমু’মিনীন ওয়াল মু’মিনা-তি ছু ম্মা লাম ইয়াতূবূফালাহুম ‘আযা-বু জাহান্নামা ওয়া লাহুম ‘আযা-বুল হারীক।

অর্থঃ যারা বিশ্বাসী নরনারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তওবা করে নাই তাদের জন্যে তো আছে জাহান্নামের শাস্তি, আছে দহন যন্ত্রণা।

.

সূরা আল লাইল ( আয়াত নং ১৪-১৬ )

share dua
details icon

{فَأَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى (14) لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى (15) الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى (16)} [الليل: 14 - 16]

উচ্চারণঃ ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা-। লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা- আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।

অর্থঃ আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। এতে প্রবেশ করবে সে-ই, যে নিতান্ত হতভাগ্য, যে অস্বীকার করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।

১০.

সূরা আল ক্বারিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৮ - ১১ )

share dua
details icon

{وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ (8) فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ (9) وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ (10) نَارٌ حَامِيَةٌ (11)} [القارعة: 8 - 11]

উচ্চারণঃ ওয়া আম্মা-মান খাফফাত মাওয়াঝীনুহূ ফাউম্মুহূহা-বিইয়াহ। ওয়ামাআদরা-কা মা-হিয়াহ। না-রুন হা-মিয়াহ।

অর্থঃ এবং যার (ঈমানের) পাল্লা হালকা হবে (অর্থাৎ কাফির হবে) তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা (অর্থাৎ হাবিয়া) কি? (সেটা) এক প্রজ্বলিত অগ্নি।

১১.

সূরা আল হুমাযাহ ( আয়াত নং ৪ - ৯ )

share dua
details icon

کَلَّا لَیُنۡۢبَذَنَّ فِی الْحُطَمَۃِ ۫﴿ۖ۴﴾ وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا الْحُطَمَۃُ ؕ﴿۵﴾ نَارُ اللہِ الْمُوۡقَدَۃُ ۙ﴿۶﴾ الَّتِیۡ تَطَّلِعُ عَلَی الْاَفْـِٕدَۃِ ؕ﴿۷﴾ اِنَّہَا عَلَیۡہِمۡ مُّؤْصَدَۃٌ ۙ﴿۸﴾ فِیۡ عَمَدٍ مُّمَدَّدَۃٍ ٪﴿۹﴾

উচ্চারণঃ কাল্লা-লাইউমবাযান্না ফিল হুতামাহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। না-রুল্লা-হিল মূকাদাহ আল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ। ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ ।

অর্থঃ সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে এমন অগ্নিতে যা সবকিছুকে পিষ্ট করে দেয়, সেটা আল্লাহর অগ্নি, যা (আল্লাহর আদেশে ) প্রজ্বলিত, (আল্লাহর অগ্নি, বলার মধ্যে ইঙ্গিত আছে যে, সেই অগ্নি অত্যন্ত কঠোর ও ভয়াবহ হবে) যা ( শরীরে লাগা মাত্রই ) হাড় পর্যন্ত পৌঁছবে। সেই অগ্নি- তাদের উপর আবদ্ধ করে দেওয়া হবে (এভাবে যে, তারা অগ্নির বড় লম্বা লম্বি স্তস্তে( পরিবেষ্টিত থাকৰে যেমন কাউকে অগ্নির সিন্দুকে পুরে দেওইয়া হয়।

১২.

শত্রুর ভয় হলে

share dua
details icon

اللّٰهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيْعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللّٰهُمَّ اهزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ * اللّٰهُمَّ اكْفِنَاهُمْ بِمَا شِئْتَ وَ كَيْفَ شِئْتَ

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন। হে আল্লাহ! আপনার যেভাবে ইচ্ছে, যা দ্বারা ইচ্ছে আপনি এদের মোকাবিলায় আমাদের জন্য যথেষ্ট হোন।

১৩.

সূরা বাকারা ( আয়াত নং - ২৪৮ )

share dua
details icon

وَقَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ اِنَّ اٰیَۃَ مُلۡکِہٖۤ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ التَّابُوۡتُ فِیۡہِ سَکِیۡنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَبَقِیَّۃٌ مِّمَّا تَرَکَ اٰلُ مُوۡسٰی وَاٰلُ ہٰرُوۡنَ تَحۡمِلُہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ٪ [البقرة: 248]

উচ্চারণঃ ওয়াকা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্না আ-য়াতা মুলকিহী আই ইয়া’তিয়াকুমুত্তা-বূতু ফীহি ছাকীনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া বাকিইইয়াতুম মিম্মা-তারাকা আ-লুমূছা-ওয়া আ-লু হা-রূনা তাহমিলুহুমুল মালাইকাতু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।

অর্থঃ আর তাদের নবী তাদের বলেছিল, ‘তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট সেই তাবূত আসবে যাতে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে চিত্ত-প্রশান্তি এবং মূসা ও হারূন-বংশীয়গণ যা পরিত্যাগ করেছে তার অবশিষ্টাংশ থাকবে; ফিরিশতাগণ তা বহন করে আনবে। তোমরা যদি মু’মিন হও তবে অবশ্যই তোমাদের জন্যে এতে নিদর্শন আছে।’

১৪.

সূরা আত তাওবাহ্ ( আয়াত নং - ২৬ )

share dua
details icon

{ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَنْزَلَ جُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَذَٰلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ (26)} [التوبة: 26]

উচ্চারণঃ ছু ম্মা আনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া ‘আলাল মু’মিনীনা ওয়া আনঝালা জুনূদাল লাম তারাওহা- ওয়া ‘আযযাবাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া যা-লিকা জাঝাউল কা-ফিরীন।

অর্থঃ অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট হতে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাও নাই আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।

১৫.

সূরা আত তাওবাহ্ ( আয়াত নং - ৪০ )

share dua
details icon

{ إِلَّا تَنْصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ (40) } [التوبة: 40]

উচ্চারণঃ ইল্লা-তানসুরূহু ফাকাদ নাসারাহুল্লা-হু ইযআখরাজাহুল্লাযীনা কাফারূ ছা-নিয়াছনাইনি ইযহুমা-ফিল গা-রি ইযইয়াকূলুলিসা-হিবিহী লা-তাহঝান ইন্নাল্লা-হা মা‘আনা- ফাআনাঝাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলাইহি ওয়া আইইয়াদাহূবিজুনূদিল লাম তারাওহা-ওয়া জা‘আলা কালিমাতাল্লাযীনা কাফারুছছুফলা- ওয়া কালিমাতুল্লা-হি হিয়াল ‘ঊলইয়া- ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।

অর্থঃ যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল আর সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল ; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘বিষণ্ণ হয়ো না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ এরপর আল্লাহ্ তাঁর ওপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে যা তোমরা দেখ নাই; আর তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহ্ র কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

১৬.

সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ৪ )

share dua
details icon

ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ لِیَزْدَادُوۡۤا اِیۡمَانًا مَّعَ اِیۡمَانِہِمْ ؕ وَ لِلہِ جُنُوۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ کَانَ اللہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ۙ﴿۴﴾

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযীআনঝালাছ ছাকীনাতা ফী কুলূবিল মু’মিনীনা লিইয়াঝদা-দূ ঈমা-নাম মা‘আ ঈমা-নিহিম ওয়া লিল্লা-হি জনূদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হাকীমা-।

অর্থঃ তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করে নেয়, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্ র ই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

১৭.

সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ১৮ )

share dua
details icon

لَقَدْ رَضِیَ اللہُ عَنِ الْمُؤْمِنِیۡنَ اِذْ یُبَایِعُوۡنَکَ تَحْتَ الشَّجَرَۃِ فَعَلِمَ مَا فِیۡ قُلُوۡبِہِمْ فَاَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ عَلَیۡہِمْ وَ اَثَابَہُمْ فَتْحًا قَرِیۡبًا ﴿ۙ۱۸﴾

উচ্চারণঃ লাকাদ রাদিয়াল্লা-হু ‘আনিল মু’মিনীনা ইযইউবা-ই‘ঊনাকা তাহতাশশাজারাতি ফা‘আলিমা মা-ফী কুলূবিহিম ফাআনঝালাছ ছাকীনাতা ‘আলাইহিম ওয়া আছা-বাহুম ফাতহান কারীবা-।

অর্থঃ আল্লাহ্ তো মু’মিনগণের ওপর সন্তুষ্ট হলেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন; তাদেরকে তিনি দান করলেন প্রশান্তি এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়

১৮.

সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ২৬ )

share dua
details icon

إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَى وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا (26)

উচ্চারণঃ ইযজা‘আলাল্লাযীনা কাফারূফী কুলূবিহিমুল হামিইইয়াতা হামিইয়াতালজা-হিলিইইয়াতি ফাআনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া আলাল মু’মিনীনা ওয়া আলঝামাহুম কালিমাতাততাকওয়া-ওয়া কা-নূআহাক্কা বিহা-ওয়া আহ লাহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।

অর্থঃ যখন কাফিররা তাদের অন্তরে পোষণ করত গোত্রীয় অহমিকা-অজ্ঞতার যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ্ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদেরকে স্বীয় প্রশান্তি দান করলেন ; আর তাদেরকে তাক্ওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করলেন, এবং তারাই ছিল এটার অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ ্ সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

১৯.

সংক্ষিপ্ত দরূদ

share dua
details icon

ْصَلَّى اللهُ (تَعَالٰى) عَلَيْهِ وَسَلَّم

উচ্চারণঃ সাল্লাল্লাহু (তা'আলা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম

২০.

সাহরী খাওয়া

share dua
details icon

সাহরী খাওয়া সুন্নত

উচ্চারণঃ null

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy