দু’আ

মোট দু’আ - ৬২৪ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা আল আ'রাফ ( আয়াত নং ১১৭ - ১২২ )

share dua
details icon

وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ ۚفَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْن﴿۱۱۷﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾

উচ্চারণঃ ওয়া আওহাইনাইলা-মূছাআন আলকি‘আসা-কা ফাইযা-হিয়া তালকাফুমাইয়া’ফিকূন। ফাওয়াকা‘আল হাক্কুওয়া বাতালা মা-কা-নূইয়া‘মালূন। ফাগুলিবূহুনা-লিকা ওয়ান কালাবূসা-গিরীন। ওয়া উলকিয়াছছাহারাতুছা-জিদীন। কা-লূআ-মান্না-বিরাব্বিল ‘আ-লামীন। রাব্বি মূছা-ওয়া হা-রূন।

অর্থঃ (117) তখন আমি মূসাকে আদেশ দিলাম যে, তুমি তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো; আর অমনি তা তাদের বানানো বস্তুগুলোকে গিলে ফেলতে লাগল। (118) ফলে সত্য প্রমাণিত হল আর তাদের কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে গেল। (119) এভাবে তারা সেখানে পরাভূত হল এবং লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে গেল। (120) যাদুকরেরা সেজদায় পড়ে গেল। (121) তারা বলল, “আমরা বিশ্বপ্রভুর প্রতি ঈমান এনেছি; (122) যিনি মূসা ও হারূনের প্রভু।”

.

সূরা ইউনুস ( আয়াত নং ৮১-৮২ )

share dua
details icon

{(80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (82)} [يونس: 80 - 82]

উচ্চারণঃ ফালাম্মাআলকাও কা-লা মূছা- মা-জি’তুম বিহিছছিহরু ইন্নাল্লা-হা ছাইউবতিলুহূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউসলিহু‘আমালাল মুফছিদীন। ওয়া ইউহিক্কুল্লা-হুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন।

অর্থঃ (81) অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন মূসা বলল, “তোমরা যা এনেছো তা যাদু। অচিরেই আল্লাহ তা নস্যাৎ করে দেবেন। আল্লাহ তো অনর্থ সৃষ্টিকারীদের কর্ম ঠিক রাখেন না। (82) এবং অপরাধীরা পছন্দ না করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকেন।”

.

সূরা ত্বা-হা ( আয়াত নং - ৬৯ )

share dua
details icon

وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾

উচ্চারণঃ ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।

অর্থঃ তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”

.

সূরা আল আহ্‌ক্বাফ ( আয়াত নং ২৯ - ৩২ )

share dua
details icon

{وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ (29) قَالُوا يَاقَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ (30) يَاقَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (31) وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءُ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (32)} [الأحقاف: 29 - 32]

উচ্চারণঃ ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন। কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম। ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম। ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।

অর্থঃ স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল। যখন এরা তার নিকট উপস্থিত হল, এরা বলল, ‘চুপ করে শোনে কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল এরা এদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শুনেছি যা অবতীর্ণ হয়েছে মূসার পরে, এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। ‘হে আমাদের সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হতে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন।’ কেউ যদি আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

.

সূরা আর রহমান ( আয়াত নং ৩৩ - ৩৬ )

share dua
details icon

یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙوَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾

উচ্চারণঃ (৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।

অর্থঃ (৩৩) হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? (৩৫) ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না। (৩৬) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

.

সূরা আল জ্বিন ( আয়াত নং ১ - ৯ )

share dua
details icon

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ﴿۱﴾ یَّہْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ﴿۲﴾ وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّ لَا وَلَدًا ﴿۳﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ﴿۴﴾ وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿۵﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ﴿۶﴾ وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ﴿۷﴾ وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِهَابًا رَّصَدًا﴿۹﴾

উচ্চারণঃ (১)কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- । (৫) ওয়া আন্না- জানান্নাআল্লান তাকূলাল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাল্লা-হি কাযিবা- । (৬) ওয়া আন্নাহূকা-না রিজা-লুম মিনাল ইনছি ইয়া‘ঊযূনা বিরিজা-লিম মিনাল জিন্নি ফাঝা-দূহুম রাহাকা- । (৭) ওয়া আন্নাহুম জান্নুকামা-জানানতুম আল্লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা- হু আহাদা- । (৮) ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। (৯) ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।

অর্থঃ (1) বল, “আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, একদল জ্বিন কান পেতে (কোরআন) শুনেছে আর বলেছে, “আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, (2) যা (সকলকে) সৎপথ প্রদর্শন করে; তাই আমরা তা বিশ্বাস করেছি। আমরা আমাদের প্রভুর সাথে কাউকে শরীক করব না। (3) উচ্চ হোক আমাদের প্রভুর মর্যাদা! তিনি কোন সঙ্গিনী কিংবা কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি।” (4) “আমাদের নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে অসংযত মিথ্যা বলত; (5) অথচ আমরা মনে করেছিলাম যে, মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলবে না।” (6) “কতক মানুষ ছিল, যারা কতক জ্বিনের কাছে আশ্রয় নিত; ফলে এই জ্বিনেরা ঐ মানুষগুলোর পাপ ও অন্যায় আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। (7) তারা মনে করেছিল, যেমন তোমরাও মনে করো যে, আল্লাহ কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।” (8) “আমরা আসমানে গিয়ে তার (আসমানের) তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাকে কঠোর প্রহরা ও উল্কায় পরিপূর্ণ দেখতে পেয়েছি। (9) আমরা আসমানের বিভিন্ন স্থানে (সেখানকার কথাবার্তা) শোনার জন্য বসতাম, কিন্তু এখন কেউ (তা) শুনতে চাইলে সে তার জন্য প্রস্তুত-রাখা উল্কা দেখতে পাবে।”

.

সুরা ইখলাস

share dua
details icon

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ﴿۱﴾ اللّٰهُ الصَّمَدُ ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۙوَ لَمْ یُوْلَدْ ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّہٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ (1) বল, “আল্লাহ এক ও একমাত্র। (2) আল্লাহ চিরন্তন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। (3) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। (4) আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।”

.

সুরা ফালাক্ব

share dua
details icon

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ (1) বল, “আমি প্রভাতের প্রভুর আশ্রয় চাই (2) তাঁর সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, (3) অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা নেমে আসে, (4) সেই রমণীদের অনিষ্ট থেকে যারা (যাদু করার জন্য) গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, (5) এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।”

.

সুরা নাস

share dua
details icon

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۙالْخَنَّاسِ ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ ﴿۶﴾

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ (1) বল, “আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রভুর, (2) মানুষের অধিপতির, (3) মানুষের উপাস্যের; (4) আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, (5) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়, (6) (এই কুমন্ত্রণাদাতা হতে পারে) জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে।”

১০.

রুকইয়ার দোয়া # ১

share dua
details icon

اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا (৩ বার) أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহি মিনাশ–শায়তানির রাজীমি মিন নাফাখিহি ওয়া নাফাসিহি ওয়া হামাযিহ।

১১.

রুকইয়ার দোয়া # ২

share dua
details icon

بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ (৩বার)

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ আল্লাহ্‌র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।”

১২.

বদনজরের দোয়া # ২

share dua
details icon

بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ইয়ুবরিকা, ওয়ামিন কুল্লি দাঈন য়াশফীকা, ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদা, ওয়া শাররি কুল্লি যি আইনিন।

অর্থঃ আল্লাহর নামে, তিনি আপনাকে (রোগ) মুক্ত করুন, সব রোগ হতে আপনাকে নিরাময় করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট হাত-যখন সে হিংসা করে আর সব বদ নযরওয়ালার অনিষ্ট হতে।

১৩.

রুকইয়ার দোয়া # ৪

share dua
details icon

اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا (৩বার)

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে।

১৪.

রুকইয়া # ৮

share dua
details icon

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهٖ وَنَفْخِهٖ وَنَفْثِهٖ

উচ্চারণঃ “আউযুবিল্লাহিস সামীইল–আযীম মীনাস শাইতানের রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি”

অর্থঃ আমি পানাহ চাই আল্লাহর যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ অভিশপ্ত শয়তান ও তাঁর ওয়াসওয়াসা, দম্ভ ও যাদু টোনা থেকে।

১৫.

রুকইয়া # ৭

share dua
details icon

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا ، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِى الْأَرْضِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ، وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمٰنُ

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!

১৬.

রুকইয়ার দোয়া # ৫

share dua
details icon

اَللّٰهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا ، أَوْ يَمْشِيْ لَكَ إِلٰى صَلَاةٍ

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাকে রোগমুক্ত করুন, যে আপনার দুশমনকে যখম করবে এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোন (মৃতের) জানাযার সাথে চলবে।

১৭.

#বিভিন্ন মুসিবত হতে নিরাপত্তার দো'আ #অপমৃত্যু হতে বাচাঁর দো'আ

share dua
details icon

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ ، اَللّٰهُمَ اسْتُرْ عَوْرَتِيْ ، وَآمِنْ رَوْعَتِيْ ، وَاحْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে

১৮.

রুকইয়ার দোয়া # ৩

share dua
details icon

رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،

উচ্চারণঃ “রাব্বুনাল্লাহু আল্লাজী ফিস সামায়ে তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামায়ে ওয়াল আরদে, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ে, ফাজআল রাহমাতাকা ফিল আরদে ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়েকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।″

অর্থঃ “আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্বু! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ হইতে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ হইতে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি,”

১৯.

বদনজরের দোয়া # ৩

share dua
details icon

اَللّٰهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيْمِ، ذَا الْمَنِّ الْقَدِيْمِ، وَذَا الْوَجْهِ الْكَرِيْمِ ، وَلِيِّ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ ، عَافِنَا مِنْ أَنْفُسِ الْجِنِّ ، وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ হযরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবীজি (সা) এর পেরেশান অবস্থায় জিবরাইল আ. আসলেন। তিনি জিগ্যেস করেন হে মুহাম্মাদ! আপনি চিন্তিত কেন? আপনার চিন্তার ফুটেজ চেহারায় ভেসে উঠেছে? তিনি বলেন হাসান ও হুসাইনের বদ নজর লেগেছে। সে (জিবরাইল) বলে আপনি বদ নজর সম্পর্কে সত্য বলেছেন। কারণ নজর লাগা সত্য। জিবরাইল বলে আমি কি আপনাকে এমন কিছু কালিমা শিক্ষা দিব না? যার মাধ্যমে তাদের আরোগ্য লাভ করা সম্ভব? তিনি (সা) বললেন সেগুলো কি? সে (জিবরাইল) বলে তা হলো, اللَّهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيمِ , ذَا الْمَنِّ الْقَدِيمِ , ذَا الْوَجْهِ الْكَرِيمِ , وَلِيَ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ , عَافِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ مِنْ نَفْسِ الْجِنِّ وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ ফলে উভয়ে সুস্থ হয়ে নবীজির সামনে খেলা করেন। নবীজি সা এর মাধ্যমে উম্মতকে শিফা লাভের আদেশ দেন।

২০.

রুকইয়ার দোয়া # ৬

share dua
details icon

أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهُ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ ، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তােমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সােজা পথেই ।

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy