প্রবন্ধ

একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৪৬তম পর্ব) – অল্পকথার সুন্নাত

লেখক:শাইখ মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ
৯ জুলাই, ২০২৪
৫৮২ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য

উত্তম চরিত্র কী? নানাজন নানা ব্যখ্যা দিবেন। চিন্তা ও রুচিভেদে বক্তব্যও ভিন্নতা পায়। আমাদের কাছে নবীজির বক্তব্য থাকতে অন্য কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই। নবীজি সা. বলে গেছেন:

إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاقًا، وَإِنَّ أَبْغَضَكُمْ إِلَيَّ وَأَبْعَدَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ وَالمُتَفَيْهِقُونَ

কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে তোমাদের মধ্যে সেরা উত্তম চরিত্রের অধিকারীরা।

কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে অপছন্দনীয় ব্যক্তি এবং আমার চেয়ে দূরে অবস্থান করবে, অধিক কথা বলা ব্যক্তিরা, অহংকারকারীরা (তিরমিযী)।


এতে কোনও সন্দেহ নেই, যে বেশি কথা বলে, তার ভুলও বেশি হয়। উমার রা. বলেছেন:

-যে বেশি কথা বলে, সে ভুলও বেশি করে!

ফুযাইল বিন আয়ায বলেছেন:

-মুমিন কথা কম বলে, কাজ বেশি করে। মুনাফিক কথা বেশি বলে, কাজ কম করে।


নবীজি সা. বলেছেন:

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ

যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন কল্যাণকর কথা বলে অথবা চুপ থাকে (বুখারী)।


কথা কম বলা মানে, অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। অহেতুক গল্পগুজব না করা, জরুরী কথা না বলে চুপ থাকা নয়।


বেশি কথা বললে আমল করার, ইবাদত-বন্দেগীর ইচ্ছাও হালকা হয়ে যায়। তিলাওয়াতের পরিমাণ কমে যায়। যিকিরে মতি আসে না। দুষ্ট মন শুধু কথা বলার সুযোগ খুঁজে বেড়ায়!


অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে থাকতে পারা অনেক বড় একটা গুণ। চমৎকার এক বৈশিষ্ট্য। সর্বোপরি এটা প্রিয় নবীজির অপূর্ব এক সুন্নাতও বটে।

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

চারটি মহৎ গুণ

...

শাঈখুল ইসলাম মুফতি তাকী উসমানী
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৩৫০৮ বার দেখা হয়েছে

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →

বিবিধ

মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ দাঃ

শাইখ মুহাম্মাদ আওয়ামা

মাওলানা ইমদাদুল হক

আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.

মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াসুদ্দীন হুসামী

আল্লামা মনযুর নোমানী রহঃ

মাওলানা শিব্বীর আহমদ

মাওলানা মাহমুদ বিন ইমরান

আল্লামা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দাঃ

মাওলানা ইনআমুল হাসান রহ.

মাওলানা যাইনুল আবিদীন

আবদুল্লাহ আল মাসউদ

শাইখুল ইসলাম আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.

মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

আল্লামা ইকবাল

হযরত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান

মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী

শাইখ আলী তানতাভী

মাওলানা আতাউল কারীম মাকসুদ