প্রবন্ধ
একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (১৮তম পর্ব) – ফজরের পর বসা
এখন রাতজাগা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেরী করে ঘুমুনো, দেরী করে ওঠা সামাজিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। যারা নিয়মিত নামায পড়েন, তাদের অনেকেও দেরী করে ঘুমুতে যান। ফলে ফজরর নামাযটা কেউ কেউ ঘুম ঘুম চোখে পড়েন।
.
ফজর নামায পড়ার পরইএকটা সুন্নাত আছে:
সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাযের জায়গায় বসে থাকা। জাবের বিন সামুরাহ রা. বলেছেন:
নবীজি সা. ফজর নামায পড়ার পর, জায়নামাযে বসে থাকতেন। ভালোভাবে সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম)।
ভালোভাবে সূর্যোদয় মানে, সূর্যোদয় হওয়ার পনের মিনিট পর পর্যন্ত। সুন্নাতটা পালন করতে চাইলে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে। না হলে ফজর পড়ে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।
যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজর পড়লো তারপর বসে বসে আল্লাহর যিকির করলো। সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত। তারপর দুই রাকাত নামায পড়লো, তার জন্যে একটা হজ ও একটা ওমরার সওয়াব লেখা হবে (তিরমিযী)।
প্রতিদিন সম্ভব না হলেও, সপ্তাহে একদিন অথবা পনেরদিনে একদিন অথবা মাসে একদিন তো আমলটা করার সাহস করা যেতেই পারে।
যাদের হজ্বে বা ওমরায় যাওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা আমলটা করার হিম্মত করতে পারি। বলা তো যায় না, আল্লাহ বান্দাহর আগ্রহ দেখলে, আসল হজ-ওমরার তাওফীকও দিয়ে দিতে পারেন! আর হাঁ, এই নামাযকে ‘ইশরাকের নামায’ বলা হয়। ইশরাক মানে: উদ্ভাসিত হওয়া। মানে সূর্য ওঠা:
-তাহলে বুঝি আমরা সূর্যপূজো করছি?
-নামাযটা কার জন্যে পড়ছি?
-আল্লাহর জন্যে!
-তাহলে সূর্যের কথা আসে কোত্থেকে?
আমার মতো যারা হজ-ওমরার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ বোধ করেন, কিন্তু কিন্তু….! তারা আমলটা করেই দেখতে পারি।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
ইসলামে শ্রমিকের অধিকার
ইসলাম একটি কালজয়ী অনবদ্য জীবন বিধান। বিশ্বসৃষ্টির শুরু থেকেই মহীয়ান- গরীয়ান ও সর্বশক্তিমান মহান আ...
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত ও আমল
জিলহজ্জের প্রথম দশদিন ইবাদতের মহান মৌসুম। আল্লাহ তাআলা বছরের অন্যসব দিনের উপর এ দিনগুলোকে মর্যাদা দি...
ইস্তিগফারের অফুরন্ত ফযীলত
[প্রদত্ত বয়ান থেকে সংগৃহীত] হামদ ও সালাতের পর... রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের...
সংঘাতময় পরিস্থিতি: উপেক্ষিত নববী আদর্শ
দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। সমতালে এর অধিবাসীরাও 'গরম' হয়ে উঠছে দিনকে দিন। সেই তাপ ও উত্তাপ ব...