و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

و عليكم السلام ورحمة اله.
আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন -
ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُواْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব তোমাদের হাতের কামাই, তিনি তাহাদেরকে শাস্তি প্রদান করানোর জন্য,) যাতে করে তারা তাদের কৃতকর্ম হতে ফিরে আসে!( সূরা রুম আয়াত-41)
অন্য আরেক আয়াতে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন
وَّاَنِ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ ثُمَّ تُوۡبُوۡۤا اِلَیۡہِ یُمَتِّعۡکُمۡ مَّتَاعًا حَسَنًا اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی وَّیُؤۡتِ کُلَّ ذِیۡ فَضۡلٍ فَضۡلَہٗ ؕ وَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ عَذَابَ یَوۡمٍ کَبِیۡرٍ
তােমাদের প্রতিপালকের কাছে গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর অভিমুখী হও। তিনি তােমাদেরকে এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভােগ করতে দিবেন এবং যে - কেউ বেশি আমল করবে তাকে নিজের পক্ষ থেকে বেশি প্রতিদান দিবেন। আর তােমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তােমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করছি।( সুরা হুদ,আয়াত-৩)
উপরোক্ত প্রথম আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে দুনিয়াতে বান্দার উপর যত মুসিবত অসে সকল কিছু বান্দার কৃতকর্ম ও বান্দার গুনাহের কারণেই আসে! আর বান্দার উপর আসা মুসিবত সমূহের মধ্যে থেকে অন্যতম বড় মুসিবত হলো রিজিকের সংকীর্ণতা! আর দ্বিতীয় আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে বান্দা যখন তওবা ইস্তেগফার করবে, তখন আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তার সকল সমস্যা সমাধান করে দেবেন! বান্দাকে আল্লাহ তার নেয়ামত দান করবেন, তার রিজিকের সংকীর্ণতা দূর করে দিবেন! সুতরাং সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন এবং সকাল -বিকাল দুই দোয়ায়ে মাসনুন গুলা আদায় করুন ! বিশেষ করে ফজরের পরে সূরা ইয়াসিন, মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়ার আমল জারি রাখুন! ইনশাল্লাহ, আল্লাহ তাআলা রিজিকের সংকীর্ণতা দূর করে দিয়ে, প্রশস্ততা দান করবেন!

والله اعلم بالصواب