প্রশ্নঃ ৯৪৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, Network marketing business করা কি যাবে নাকি যাবে না?,
২১ অক্টোবর, ২০২১
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নেটওয়ার্ক বিজনেস সম্পর্কে শরঈ হুকুম:
অধুনা আমাদের দেশে কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি এক বিশেষ পদ্ধতিতে নতুন ধরনের ব্যবসা চালু করেছে। তন্মধ্যে ডেস্টিনি -২০০০ প্রা: লি: এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার প্লান ও কানাডা কেন্দ্রিক জিজিএন বা গ্লোবাল গার্ডিয়াল নেটওয়ার্ক লি: এবং রিচ বিজনেস কোম্পানি লি: অন্যতম।
তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির নাম হল- মাল্টিলেভেল মার্কেটিং সিস্টেম (এমএলএম) বা নেটওয়ার্ক বিজনেস সিস্টেম।
সেই পদ্ধতির সার সংক্ষেপ হল- তারা পণ্য-দ্রব্য এভাবে সরবরাহ করে থাকে যে, যে কেউ এ পণ্য তাদের দেয়া শর্তমাফিক ক্রয় করবে, সে কোম্পানীর একজন ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটর তথা প্রতিনিধি হয়ে যাবে। এর ডকুমেন্ট তাকে দেয়া হবে এবং সাথে সাথে তার মাধ্যমে কোম্পানীর একটি গ্রাহক প্লাস ডিলারের জাল সূচিত হবে। সে জালে মূল ডিলারের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ প্রচেষ্টায় একের পর এক গ্রাহক জড়াতে থাকবে -যাদের থেকে নির্দিষ্ট হারে উপরস্থ ডিলারগণ নির্ধারিত পয়েন্টের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান হারে কমিশন পেতে থাকবেন।
প্রশ্ন হল, ইসলামী শরীয়ত এ ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে কি বলে? এ ব্যবসা কি বৈধ? এবং এ পদ্ধতিতে ব্যবসা করে কমিশন ভোগ করা জায়িয হবে কি?
বর্ণিত পদ্ধতিতে ব্যবসার শরয়ী হুকুম সম্পর্কে বেশ কিছুদিন যাবত মুফতীয়ানে কেরামের নিকট প্রশ্ন করা হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে তাঁরা বর্ণিত ব্যবসাটি সম্পর্কে প্রথমতঃ ভালভাবে আদ্যপান্ত জেনে নেন।
অতঃপর এ ব্যাপারে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা, ঢাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের শীর্ষস্থানীয় মুফতীগণের সমন্বয়ে একটি গবেষণা বৈঠক হয়। সে বৈঠকে বিস্তারিত পর্যালোচনার পর উক্ত ব্যবসা পদ্ধতি 'অবৈধ' ঘোষণা করা হয়!
অনুরূপভাবে জাতীয় কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড - বেফাকের অধীনে মুফতীবোর্ডের পর্যায়ক্রমে বহুবার গবেষণা মজলিস হয়। সেখানে এ বিষয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা ও হুকুম বিশ্লেষণ করা হয়।
সেই বিশ্লেষণে এ ফলাফল বেরিয়েছে যে, এ ব্যবসাটি বহু দিক দিয়ে শরীয়তের নীতিমালার পরিপন্থী হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ নাজায়িয।
ফলতঃ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে উল্লেখিত পদ্ধতি তথা নেটওয়ার্ক বিজনেস বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং সিস্টেমকে দু'ভাবেই ব্যাখ্যা করা যেতে পারে:
(এক) এটা মূলতঃ আকদে বাই' তথা বেচা-কেনা, যার সাথে সম্পৃক্ত আছে আকদে ইজারা তথা ব্রোকার নিয়োগ।
উল্লেখ্য যে, এখানে কোম্পানীর মূল উদ্দেশ্য পণ্য বিক্রি করা হলেও গ্রাহকের মূল উদ্দেশ্য ডিলারশীপ। কোম্পানীর ম্যানুফেক্টও ডিলারশীপকে লক্ষ্য করেই তৈরী করা হয়েছে। তাহলে একথা সুস্পষ্ট যে, একজন ক্রেতার নির্দিষ্ট পণ্যটিকে কেনার অর্থ এটাই দাঁড়ায় যে, পণ্য কেনার সাথে সাথে নীতি অনুযায়ী আমি ডিলারশীপও চাই।
সুতরাং ডিলারশীপটি উক্ত বেচা-কেনায় ক্রেতার পক্ষ হতে একটি অপরিহার্য চাহিদা বা শর্ত বলে বিবেচিত হবে।
(দুই) এটাকে মূলতঃ আকদে ইজারা তথা ব্রোকারীও বলা যায়- যার সাথে শর্ত করা আছে আকদে বাই' তথা বেচা-কেনা।
এভাবে উক্ত ব্যাবসাটির উল্লেখিত ব্যাখ্যাদ্বয়ের যে ব্যাখ্যাই করা হোক না কেন, সর্বাবস্থায় ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে উক্ত ব্যবসা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম পরিগণিত হবে।
প্রথমোক্ত ব্যাখ্যানুযায়ী শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবসাটি হারাম হওয়ার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ নিম্নরূপ -
(ক) যেহেতু এখানে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কোম্পানীর নির্ধারিত পণ্য কেনার সাথে সাথেই ক্রেতার ডিলারশীপের চুক্তিটিও সম্পন্ন হয়ে যায়- যার জন্য আগে বা পরে পৃথক আকদ করতে হয় না, সুতরাং শরীয়তের পরিভাষা অনুযায়ী এখানে صَفْقَتَيْنِ فِىْ صَفْقَةٍ
"একই আকদের মধ্যে দুই আকদের সমাবেশ " পাওয়া যাচ্ছে। হাদীস শরীফে এরকম আক্দ স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-
نهى رسول الله صلى الله عليه و سلم عن صفقتين فى صفقة
"রাসূলুল্লাহ সা: এক আকদের মধ্যে দুই আকদের সমাবেশ ঘটাতে নিষেধ করেছেন। " (দলীল : মুসনাদে আহমাদ ১/৩৯৮. বাইহাকী ৪/৮৪. সহিহ ইবনে খুযাইমা ১৭৬ পৃ:)
তেমনিভাবে হযরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন -
نهى رسول الله صلى الله عليه و سلم عن بيعتين فى بيعة
"রাসূলুল্লাহ সা: এক লেন-দেনের মধ্যে দুই লেন-দেনকে জমা করতে নিষেধ করেছেন।" (দলীল: তিরমিযী শরীফ ২/২৩৩)
(খ) আরেক তা'বীরে বলা যায় - এখানে ক্রেতার পক্ষ হতে পণ্য ক্রয়ের সাথে ডিলারশীপও শর্ত করা হয়েছে।
আর শরীয়তের দৃষ্টিতে লেন-দেনের ক্ষেত্রে এ ধরনের শর্ত আরোপ সম্পূর্ণ নাজায়িয।
এ সম্বন্ধে হযরত আমর বিন শুঅাইব তার পিতা এবং তিনি তার দাদা সূত্রে রিওয়ায়াত করেছন, তিনি বলেন
نهى رسول الله صلى الله عليه و سلم عن بيع و شرط
"রাসূলুল্লাহ সা: শর্তের সহিত বেচা-কেনাকে নিষিদ্ধ করেছেন।" (দলীল :তাবরানী মাজমাউল বাহরাইন ৩/২৬৭)
বস্তুতঃ এজাতীয় শর্ত দ্বারা আকদ সম্পূর্ণ ফাসিদ বা বাতিল হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে হিদায়া কিতাবে বলা হয়েছে-
كل شرط لا يقتضيه العقد وفيه منفعة لأحد المتعاقدين او للمعقود عليه .....يفسده
"এমন সব শর্ত- যাকে আকদ তাকাযা করে না আর এর মধ্যে ক্রেতা, বিক্রেতা অথবা আকদকৃতের কোনরূপ লাভ রয়েছে- এ শর্ত বেচা-কেনাকে বাতিল করে দেয়।" (দলীল: হিদায়া ৩য় খন্ড বাইয়ে ফাসিদ অধ্যায় ৫৯ পৃষ্ঠা)
(গ) এ ধরনের লেন-দেন প্রকারান্তরে সূদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, এখানে বেচাকেনার স্বাভাবিক লেনদেনের পাশাপাশি ক্রেতার জন্য অতিরিক্ত এমন কিছু লাভ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে- যে লাভ বিনিময়হীন। আর এ ধরনের বিনিময়হীন অতিরিক্ত লাভ শরীয়তের বিধানমতে সূদ বলে গণ্য হয়। এ সম্পর্কে হিদায়া কিতাবে রয়েছে-
لأن فيه زيادة عارية عن العوض فيؤدى الى الربوا
"অবাঞ্ছিত শর্ত বেচাকেনাকে এ জন্য ফাসিদ করে দেয় যে, এতে এমন কিছু অতিরিক্ত লাভের ব্যবস্থা হয়- যা ই'ওয়াজ (বিনিময়) বিহীন। সুতরাং তা সূদের পর্যায়ে পৌঁছে যায়।" (দলিল: হিদায়া ৩/৫৯)
অনুরূপভাবে একই আকদের মধ্যে একাধিক আকদের সংমিশ্রণকেও হাদীস শরীফে সূদের লেন-দেন গন্য করা হয়েছে।
এ মর্মে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন -
صفقتان فى صفقة ربا
"একই আকদের মধ্যে একাধিক আক্দ জুড়ে দেয়া সূদী লেনদেনের অন্তর্ভুক্ত।" (দলীল: ইবনে হিব্বান ৩/৩৩১)
(ঘ) উক্ত বিজনেস পদ্ধতিতে ক্রেতা নির্দিষ্ট অংকের দ্রব্য ক্রয় করার মাধ্যমে কোম্পানীর সদস্যপদ লাভ করে এবং পয়েন্ট চক্রের অধিকারী হয়। অতঃপর সে যাকে ক্রেতা-সদস্য বানাবে, তার থেকেও নির্ধারিত হারে সে পয়েন্টের অধিকারী হবে এবং এমনিভাবে এই দ্বিতীয় ব্যক্তি যাকে ক্রেতা-সদস্য বানাবে, তার থেকেও নির্ধারিত হারে সে নিজে পয়েন্ট পাবে, আবার প্রথম ব্যক্তিও তার দ্বারা পয়েন্ট লাভ করবে। এরপর এ ৩য় ব্যক্তি যাকে ক্রেতা-সদস্য বানাবে, এর পয়েন্ট ৩য় ব্যক্তি নিজে যেমন পাবে, তেমনি নির্ধারিত হারে সেই প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তিও এর দ্বারা বিনা প্রয়াসে নির্ধারিত পয়েন্ট লাভ করবে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে এ পয়েন্ট চক্র চলতে থাকবে লভিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত।
অথচ এ ক্ষেত্রে ৩য়, ৪র্থ বা এর পরের কোন ক্রেতা-সদস্যদের লেন-দেনে ১ম ব্যক্তির কোনরূপ প্রত্যক্ষ ভূমিকা বা দায়-দায়িত্বের বালাই নেই। তথাপি সে তাদের দ্বারা নির্ধারিত পয়েন্ট লাভ করে লাভবান হচ্ছে- যা দায়হীন লাভ গন্য।
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে এ ধরনের দায়হীন লাভ গ্রহন করা হালাল নয়। এ প্রসঙ্গে তিরমীযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী শরীফে হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন-
لا يحل ربح ما لم يضمن
"সে সবের লাভ হালাল হবে না - যার দায় সে বহন করে না।"
সুতরাং প্রথম ব্যাখ্যা অনুযায়ী নেটওয়ার্ক (এমএলএম) বিজনেসে উল্লেখিত নিষিদ্ধতার কারণসমূহ বিদ্যমান থাকায় উক্ত ব্যবসাটি জায়িয হওয়ার কোন সূরত নেই। বরং তা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম এবং বাইয়ে ফাসিদ গণ্য হবে।
আর দ্বিতীয় ব্যাখ্যাতেও এখানে (ক) একটি আকদের মধ্যে দু'টি আকদের সমাবেশ পাওয়া যাচ্ছে- যা স্পষ্টভাবে হাদীসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
(খ) এতে ঐচ্ছিক শর্তের সাথে বেচাকেনা করা হচ্ছে- যা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়িয। এর বিস্তারিত বিবরণ উপরে বর্ণিত হয়েছে।
মোটকথা, কোনরূপে উক্ত ব্যবসা (এমএলএম) জায়িয হওয়ার কোন সূরত নেই। বরং সকল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণেই তা নাজায়িয ও হারাম গণ্য হয়।
বস্তুতঃ এ জন্যই দেশের শীর্ষস্থানীয় মুফতীগণের সর্বসম্মতিক্রমে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনায় এ পদ্ধতির ব্যবসা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম ঘোষিত হয়েছে। তাই কোনক্রমেই মুসলমানদের জন্য এ ব্যবসায় জড়িত হওয়া এবং এর লভ্যাংশ ভোগ করা জায়িয হবে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন, হারাম থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৮১৭৯৯
অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
নামবিহীন রাস্তা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
৯০৩৯৭
সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সার্জারী করে স্তন করা ছোট করা যাবে কি?
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ON M৩C ১A২

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
৬৯৪২৮
সন্দেহযুক্ত/ হারাম টাকায় নির্মিত মসজিদে নামাযের বিধান কি?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
৭৩২৮৯
মসজিদের অপ্রয়োজনী মালামাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করার বিধান
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
রামপাল

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে