আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৯১৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতি সাহেব গনের নিকট আমার জানার বিষয় হল আমাদের দেশে মোনাজাতের ভিতরে যে বলা হয় আমরা যে সুরা কালাম দোয়া-দুরুদ টুটাফাটা যা আমল করলাম এর হাদিয়া টুকু ওয়াকায় নামধার তাজেদারে মদিনা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারক এ পৌঁছিয়ে দিন কোন এক মুফতি সাহেবের নিকট থেকে শুনেছি এটা বলা নাকি বিদআত আসলেই কি তাই???

৩ অক্টোবর, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি দুইটিই চরমপন্থা। আমাদের জন্য উচিত হল মধ্যম পন্থা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ পড়া কুরআনুল কারীম এবং হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
ইমাম তাবারানী রাহিমাহুল্লাহ মু'জামুল আউসাত গ্রন্থে দুরুদ পড়ার একটি শব্দ এভাবে উল্লেখ করেছেন,

جزى الله عنا محمدا ما هو اهله

আল্লাহ তায়ালা আমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার উপযুক্ত জাযা ও সওয়াব দান করুক।

এই হাদীসটি উচ্চপর্যায়ের সহীহ না হলেও এই হাদীস দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যায়, আমাদের দেশে প্রচলিত দোয়ার যেই পন্থাটি আপনি উল্লেখ করেছেন, "হে আল্লাহ! আমাদের এই সব নেক আমলের সওয়াব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লামকে দান করো।"
এই দোয়াটি ঐ হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এমন দোয়াকে বিদআত বলা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
অবশ্য দুরুদ পড়ার জন্য হাদীস শরীফে যেসব বাক্যমালা শেখানো হয়েছে সেইসব শব্দে দরুদ পড়া সুন্নত। তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের জন্য সেসব দুরূদ শ্রেয়।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন