আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৭৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, খুশিতে ছেলে মাকে কিংবা মা ছেলেকে আলিঙ্গন,চুম্বন করতে পারবে?,

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঢাকা ১২০৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






ইসলাম সবকিছুতেই সীমারেখা টেনে দিয়েছে। হাসি আনন্দ প্রকাশের ক্ষেত্রেও ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি আদর্শ রয়েছে।

বাবা তার মেয়েকে, ভাই তার বোনকে, ছেলে তার মাকে আনন্দ প্রকাশের জন্য আলিঙ্গন ও (কপালে) চুম্বন করা হারাম নয়। কিন্তু যে লোকটি তাকওয়া পরহেযগারী এবং আল্লাহ ভীরুতায় উত্তীর্ণ নয়। পরনারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া, পরনারীর প্রতি আসক্তি ইত্যাদি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে না, সে নিজের মা-বোন-কন্যাকে জড়িয়ে ধরে শয়তান ও নফসের যাবতীয় কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারার আস্থা কোথায় খুঁজে পাবে?

(আল্লাহ মাফ করুক!) মাকে জড়িয়ে ধরার সময় যদি তার মনে কোন ধরনের ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়, তাহলে তার বাবা-মায়ের দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে চিরস্থায়ী বিপত্তি নেমে আসবে। যা কোনদিন মুছে দেয়া যাবে না।

ঘনিষ্ঠ মাহরাম যেমন মা, খালা, দাদী, নানী, ফুপি, কন্যা বোন এদের মাথায় অথবা কপালে চুম্বন করা ৪ শর্তে জায়েয আছে।

১. যে চুম্বনটি স্নেহ, করুণা এবং সহানুভূতির অর্থে হবে। রসিকতা বা কামনা চরিতার্থ করার জন্য নয়।

২. চুম্বনটি কিছুতেই ঠোঁটে দেয়া যাবে না।
উত্তম হলো মাথায় চুম্বন করা কিংবা কপালে। অবশ্য ক্ষেত্রবিশেষে গালে চুম্বন করাও প্রমাণিত রয়েছে।

৩. যুবক ছেলে চুম্বন দেয়া থেকে দূরে থাকবে। এমনিভাবে যুবতী কন্যাকে চুম্বনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যদি তার মাঝে দ্বীনদারী কম থাকে, তার পরহেযগারী না থাকে, এই চুম্বনের কারণে সে অপরাধের মাঝে নিমজ্জিত হতে পারে, তবে অবশ্যই এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকতে হবে।

৪. যে মহিলাকে চুম্বন করতে চাচ্ছে সে বংশের দিক দিয়ে মাহরাম হতে হবে। যেমন মা, মেয়ে, বোন।
رضاعي রিদায়ী তথা দুধের সম্পর্কিত মা-বোনকে কিংবা বৈবাহিক কারণে যাদের সাথে মাহরামের সম্পর্ক যেমন পুত্রবধূ, স্ত্রীর পূর্বের ঘরের কন্যা, শাশুড়ি এদেরকে চুম্বন করা থেকে বিরত থাকবে।

উল্লেখ্য, স্ত্রীকে নিঃশর্তভাবে (ঠোঁট বা শরীরের অন্যত্র) চুম্বন করা শুধু জায়েয নয় বরং সওয়াবের কাজ।
ফিতনায় লিপ্ত হওয়ার আশংকা না হলে ছোট শিশুদের গালে চুম্বন করা যাবে।

অতএব উপরোক্ত চারটি শর্তসহ তাকওয়া পরহেজগারীর চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে না পারলে আনন্দ প্রকাশের জন্য মা-বোন-কন্যাকে জড়িয়ে ধরা বা চুম্বন করার এই স্পর্শকাতর পদক্ষেপ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

تقبيل المحارم - كالأم ، والبنت ، والأخت ، والعمة ، والخالة ، ونحوهن - لا بأس فيه ، وذلك بشروط أربعة :
1- أن يكون التقبيل على جهة المودة والرحمة والشفقة ، وليس على جهة المزاح ولا الملاعبة ، فضلا عن التقبيل بشهوة .
2- أن يكون التقبيل على الوجه ويفضل على الجبهة ، والأولى من ذلك كله على الرأس ، ولا يجوز أن يكون التقبيل على الفم .
3- أن تُؤمَنَ الفتنة ، فإذا خشي الشاب أن تؤثر قبلته لإحدى محارمه في نفسه أو في نفسها ، أو كانت الفتاة لا تأمن ذلك المَحْرم لسوء خلقه أو قلة دينه ، فلا يجوز التقبيل حينئذ.
4- أن تكون المحرمية بينهما محرمية نسب : كالأم والبنت والأخت ونحوهن ، أما محرمية الرضاع ، أو المصاهرة كزوجة الابن ، وأم الزوجة ، وبنت الزوجة ، فالأولى عدم تقبيلها ، لضعف الوازع عن وقوع الشهوة في مثل هذه العلاقات .
فإذا توفرت هذه الشروط فلا حرج حينئذ في تقبيل المحارم ؛ وقد روت عائشة رضي الله عنها في بيان مكانة فاطمة رضي الله عنها من النبي صلى الله عليه وسلم قالت : (كَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا) رواه الترمذي (3872) وصححه الألباني في صحيح الترمذي .
وروى البخاري (3918) عن الْبَرَاء بن عازب رضي الله عنه قال : (دَخَلْتُ مَعَ أَبِى بَكْرٍ عَلَى أَهْلِهِ ، فَإِذَا عَائِشَةُ ابْنَتُهُ مُضْطَجِعَةٌ ، قَدْ أَصَابَتْهَا حُمَّى ، فَرَأَيْتُ أَبَاهَا فَقَبَّلَ خَدَّهَا ، وَقَالَ : كَيْفَ أَنْتِ يَا بُنَيَّةُ؟) .
وهذه بعض نصوص بعض العلماء في ذلك :
قال ابن حجر الهيتمي رحمه الله :
" ولا بأس بتقبيل وجه طفل رحمة ومودة .. ومحرم كذلك ; لأن أبا بكر قبل خد عائشة لِحُمَّى أصابتها " انتهى .
"تحفة المحتاج" (9/229) .
وقال ابن مفلح رحمه الله :
"قال ابن منصور لأبي عبد الله [يعني : الإمام أحمد] : يقبل الرجل ذات محرم منه ؟ قال : إذا قدم من سفر ولم يَخَفْ على نفسه , ولكن لا يفعله على الفم أبدا , الجبهة أو الرأس.
وقال بكر بن محمد عن أبيه عن أبي عبد الله وسئل عن الرجل يقبل أخته ؟ قال : قد قبل خالد بن الوليد أخته" انتهى .
"الآداب الشرعية" (2/266)
وقال الشيخ ابن عثيمين رحمه الله :
"تقبيل المحارم فإن كانت الأم، أو الأخت الكبيرة أو الجدة ، أو البنت ، فهذا لا بأس به ، وقد قبل أبو بكر ابنته عائشة رضي الله عنها على خدها .
وأما غيرهن من المحارم غير الأصول والفروع ، فالأولى ألا يقبلها إلا إذا كانت أختاً كبيرة ، فهنا يقبلها على جبهتها ، أو على رأسها ، أما يقبل أخته الشابة ، فالشيطان يجري من ابن آدم مجرى الدم، فليتجنب هذا ، لا يقبلها، وأبلغ من ذلك في التحذير منه : أن يقبل محارمه من الرضاع ؛ لأن المحارم من الرضاع أقل هيبة عند الإنسان من المحارم من النسب ، ولهذا يجب الحذر من أختك من الرضاع أن تقبلها ، لاسيما إن كانت شابة جميلة ، فإن الشيطان يجري من ابن آدم مجرى الدم .
الخلاصة : تقبيل الزوجة مطلوب ، وتقبيل غيرها من المحارم إن كان من الأصول أو الفروع فلا بأس به ، وإن كان من غيرهن فالحذر من ذلك أولى " انتهى .
"لقاءات الباب المفتوح" (رقم/146، سؤال رقم 6).

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫০৩০৫

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়


৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৯৩১৮৬

রমজান মাসে কারা ক্ষমা পাবে না?


৫ মার্চ, ২০২৫

বগুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৭৩৫১

আল্লাহ কেন অমুসলিমদেরকে এমন অনেক বিষয় দান করেন যা অনেক সময় মুসলিমরা পায়না?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বগুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৪৫২৬৯

সুদখোর বা সুদদাতাকে ঋণ দেওয়ার বিধান


২৮ নভেম্বর, ২০২৩

নামুজা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy