মুরাকাবা ও মুহাসাবা: পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয়তা
প্রশ্নঃ ১০৩১৯৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুরাকাবা ও মুহাসাবা কাকে বলে? এগুলো কি জায়েজ? জায়েজ হলে কীভাবে করতে হয়?,
১৪ মে, ২০২৫
ঢাকা ১২০৭
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামের দৃষ্টিতে মুরাকাবা ও মুহাসাবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আত্মিক ও নৈতিক সাধনার অংশ। এ দুটি ধারণা ইহসান, তাযকিয়াতুন নফস (আত্মার পরিশুদ্ধি) ও আল্লাহভীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
১. মুরাকাবা (المراقبة):
অর্থ: মুরাকাবা অর্থ হলো “সবসময় আল্লাহর উপস্থিতি ও দৃষ্টি নিবদ্ধতার অনুভব রাখা।” অর্থাৎ, সচেতন থাকা যে, আল্লাহ দেখছেন, জানেন, শুনছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ
“তোমরা যেখানেই থাকো, তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সঙ্গে আছেন।”
(সূরা হাদীদ ৫৭:৪)
রাসূল (সা.) বলেন:
"أن تعبد الله كأنك تراه، فإن لم تكن تراه فإنه يراك"
“তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো, যেন তুমি তাঁকে দেখছো। যদি তুমি তাঁকে না দেখো, তিনি কিন্তু তোমাকে দেখছেন।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮)
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম বলেন:
“মুরাকাবা হল অন্তরে সবসময় এই অনুভূতি জাগরুক থাকা যে, আল্লাহ তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রতিটি কাজ ও চিন্তায় তা স্মরণ রাখা।”
(মাদারিজুস সালিকীন)
মুরাকাবার প্রয়োজনীয়তা
শরীআতের গণ্ডির ভেতর থাকার জন্য যেমন মুরাকাবা প্রয়োজন, তেমনি আমলে ইখলাস আনয়নের জন্যও মুরাকাবা জরুরি। পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকা ও নেক কাজকে ইখলাস ও নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করা, উভয়ের জন্যই মুরাকাবা দরকার। যখন যেই কথা ও কাজ সামনে আসে, তখন অন্তরে আল্লাহর ধ্যান থাকলে একদিকে এই চেষ্টা করা সম্ভব হয় যে, সে কথায় ও কাজে যাতে কোনও পাপ না হয়। সে কথা ও কাজটি পাপের হয়ে থাকলে আল্লাহর ভয়ই তাকে তা থেকে বিরত রাখে। এভাবে মুরাকাবা দ্বারা পাপ থেকে বাঁচা যায়। তেমনি যখন কোনও নেক কাজ করা হয়, তা নামায-রোযা, দান–সদাকা যাই হোক না কেন, মুরাকাবার সাথে করলে তা ইখলাসের সঙ্গে হয়। কারণ বান্দা যখন চিন্তা করবে, আমার নামায আল্লাহ তাআলা দেখছেন, যেমন জাহের দেখছেন তেমনি এর বাতেনও দেখছেন, তখন সে অন্তর থেকে রিয়া ও লোকদেখানোর মানসিকতা ঝেড়ে ফেলবে। কারণ মনের ভেতর রিয়া থাকলে তাও তো আল্লাহ দেখেন। এ অবস্থায় সে নামায আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। কাজেই আল্লাহর কাছে যাতে কবুল হয়, সেই লক্ষ্যে সে মানুষকে দেখানো ও সুনাম–সুখ্যাতি অর্জনের চিন্তা বাদ দিয়ে কেবল আল্লাহ তাআলাকে খুশি করার জন্যই নামায পড়বে। সেইসংগে নামায পড়বে পরম যত্নের সাথে, যাতে ফরয–ওয়াজিব তো অবশ্যই, সেইসংগে সুন্নত–মুস্তাহাবও যেন যথাযথভাবে আদায় হয়। সে ভাড়াহুড়া করবে না। দায়সারাগোছে নামায পড়বে না। বরং যথাসাধ্য সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নামায আদায়ের চেষ্টা করবে। এমনিভাবে অন্যান্য ইবাদতও সে ইখলাসের সঙ্গে সুন্নতসম্মতভাবে আঞ্জাম দেবে। এমনকি দুনিয়ারী কাজকর্মও সুন্নত তরিকায় করতে সচেষ্ট থাকবে। ফলে তার জাগতিক কাজকর্মও ইবাদতে পরিণত হয়ে যাবে। এটাই হলো মুরাকাবার সুফল যে, এর মাধ্যমে বান্দার গোটা জীবনই বন্দেগীর জীবন হয়ে যায়। তার বাহ্যিক ও আত্মিক এবং ব্যবহারিক ও নৈতিক সবরকম উৎকর্ষ এর মাধ্যমে সাধিত হয়।
কীভাবে মুরাকাবা করবেন?
সব সময় সর্বাবস্থায় ‘আল্লাহ আমার সঙ্গে আছেন’ এই কল্পনা ধরে রাখার চেষ্টা করুন। এই অবস্থা অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। এখানে একটি তুলে ধরা হলো।
প্রত্যেক নামাযের পর দৈনিক অন্তত পাঁচ বার কিছু সময়ের জন্য; দুই থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য আল্লাহর সান্নিধ্যের মোরাকাবা করলে ‘আল্লাহ আমার সঙ্গে আছেন’ এই অনুভূতি তৈরি হয়।
মোরাকাবা এভাবে করবেন : চোখ বন্ধ করবেন। তারপর ভাববেন, ‘আমি যেখানেই থাকি না কেন; আল্লাহ আমার সঙ্গে আছেন।’
অথবা এই আয়াতের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করবেন
هُوَ مَعَكُمْ اَيْنَمَا كُنْتُمْ
‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন; তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন।’
এভাবে নিয়মিত কিছুদিন করতে পারলে ধীরে ধীরে আল্লাহর সান্নিধ্যের সার্বক্ষণিক অনুভূতি অন্তরে বসে যাবে এবং চব্বিশ ঘণ্টা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
چوريا ں آنكهو ں كى اور سينو ں كى راز
جانتا ہے سب كو توا ے بے نياز
চোখের চুরি আর অন্তরের ভেদ,
হে অমুখাপেক্ষী আল্লাহ! তুমি জান সবকিছু।
২. মুহাসাবা (المحاسبة):
অর্থ: মুহাসাবা হলো আত্ম-জবাবদিহিতা, নিজের আমল, নিয়ত ও কর্ম সম্পর্কে নিয়মিত হিসাব নেওয়া। সাধারণত নিজের গোনাহ-অপরাধ এবং দোষ-ত্রুটি হিসাব করাকে মুহাসাবা বলে।
ইমাম মাওয়ার্দী রহিমাহুল্লাহ বলেন:
يتصفح الإنسان في ليله ما صدر من أفعال نهاره، فإن كان محمودًا أمضاه وأتبعه بما شاكله وضاهاه، وإن كان مذمومًا استدركه إن أمكن، وانتهى عن مثله في المستقبل،
মানুষের উচিত রাতের কোন সময়ে তার দিনের কাজগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা। যদি সেগুলি ভাল ও প্রশংসনীয় হয় তাহলে তা যথারীতি বহাল রাখবে এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ কাজ সামনে এলে তা করে যাবে। আর যদি তার কাজগুলো নিন্দনীয় হয় তাহলে যথাসম্ভব তার প্রতিকার করবে এবং ভবিষ্যতে ঐ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকবে।
বিশিষ্ট আলিমেদ্বীন খালিদ আবু শাদী বলেন:
قيام العقل على حراسة النفوس من الخيانة فيتفقد زيادتها ونقصانها، ويسأل عن كل فعل يفعله لمَ فعلته، ولمن فعلته؟ فإن كان لله مضى فيه، وإن كان لغير الله امتنع عنه، وأن يلوم نفسه على التقصير والخطأ، وإذا أمكن المعاقبة أو صرفها إلى الحسنات الماحية،
‘মুহাসাবা হ’ল, নফস যাতে আমানতের খিয়ানত না করে সেজন্য বিবেকের মাধ্যমে নফসের পাহারাদারি করা। নফস কোথায় বাড়াবাড়ি করছে এবং কোথায় ত্রুটি করছে বিবেক তা খতিয়ে দেখবে। সে তার প্রতিটি কাজ কেন করেছে, কার জন্য করছে তা তাকে জিজ্ঞেস করবে। যদি কাজগুলো ইখলাসের সাথে আল্লাহ তা‘আলার জন্য হয় তাহলে তা বহাল রাখবে। আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্যের উদ্দেশ্যে হয় তাহলে ভবিষ্যতে তা থেকে বিরত থাকবে। বর্তমান দোষ-ত্রুটির জন্য মনকে তিরস্কার করবে এবং ঐ দোষ-ত্রুটির প্রতিবিধান সম্ভব হলে কিংবা তা মোচনকারী কোন ছওয়াবের কাজ করতে পারলে তা করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ
“হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো, এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন ভেবে দেখে সে আগামী দিনের জন্য কী প্রেরণ করছে।”
(সূরা হাশর ৫৯:১৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
فَأَمَّا مَنْ طَغَى l وَآَثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا l فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَى l وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى l فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
অনন্তর যে সীমা লঙ্ঘন করে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয় জাহান্নামই হবে তার আবাস। পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে জান্নাতই হবে তার আবাস।-সূরা নাযিয়াত (৭৯) : ৩৭-৪১
হযরত উমর (রা.) বলেন:
"حاسبوا أنفسكم قبل أن تحاسبوا"
“আল্লাহর পক্ষ থেকে হিসাব গ্রহণের আগেই তোমরা তোমাদের নিজ নিজ আত্মার হিসাব নাও।”
(মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস: ৩৫৬০০)
মুহাসাবার প্রয়োজনীয়তা
মুহাসাবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। মুহাসাবা একজন মুমিনকে আত্মশুদ্ধির পথে পরিচালিত করে। আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রত্যেক মানুষকেই কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে নিজের সমস্ত কাজের হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لَا تَخْفَى مِنكُمْ خَافِيَةٌ
"সেদিন তোমরা উপস্থাপিত হবে, তোমাদের কোনো গোপন বিষয় গোপন থাকবে না।"
(সূরা হাক্কাহ: ১৮)
মুহাসাবা মানুষকে নিজের ভুল ও গুনাহ চিহ্নিত করে সংশোধন করার সুযোগ করে দেয়। যদি প্রতিদিন নিজেকে প্রশ্ন করা হয়: আজ আমি নামাজ ঠিকমতো পড়েছি কি? কারো প্রতি অন্যায় করেছি কি? গীবত, অহংকার, কৃপণতা, হিংসা করেছি কি? তাহলে গুনাহ থেকে বাঁচা সহজ হয়।
মুহাসাবা মানুষের আত্মমুগ্ধতা দূর করে এবং নিজের ভিতরে থাকা দোষত্রুটি সম্পর্কে সচেতন করে।
ইবনুল জাওযী রহিমাহুল্লাহ বলেন:
“মুহাসাবা এমন একটি আয়না, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভিতরের দাগগুলো দেখতে পায়।”
(সাইদুল খাতির)
নিয়মিত মুহাসাবা করলে মানুষ বুঝতে পারে কোন ভালো কাজগুলো সে করছে আর কোনগুলো অবহেলিত হচ্ছে। ফলে তার মাঝে আমলের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
মুহাসাবা (নিজের আত্মমূল্যায়ন) কীভাবে করবেন?
মুহাসাবা বিভিন্নভাবে হতে পারে। নিচে উদাহরণস্বরূপ একটি খসড়া তুলে ধরা হলো।
১. নিরিবিলি সময় ও স্থান নির্বাচন করুন। যেমন: রাতের বেলা ঘুমানোর আগে।
২. নিয়তের পর্যালোচনা করুন। আজকের সব কাজে আমার নিয়ত কী ছিল? আল্লাহর জন্য করেছি, না কি লোক দেখানোর জন্য?
৩. ফরজ ইবাদতের হিসাব নিন। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়েছি কিনা?
৪. গুনাহর তালিকা করুন। যেমন: আজ আমি কি গীবত করেছি? কাউকে হিংসা করেছি? কারো হক নষ্ট করেছি?
৫. সময়ের হিসাব নিন। আজ কতটুকু সময় ইবাদতে ব্যয় করেছি? কতটুকু ফালতু কাজে নষ্ট হয়েছে?
৬. মানুষ ও আল্লাহর হক আদায়ের হিসাব নিন। আল্লাহর হক কতটুকু আদায় করেছি? মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, প্রতিবেশীর হক কী পরিমাণ আদায় করেছি?
৭. তাওবা করে নিন ও সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। গুনাহ হয়ে থাকলে তাওবা করুন। কালকে যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন।
৮. ছোট ডায়েরি বা নোটে ২-৩ মিনিট সময় নিয়ে প্রতিদিন একটি সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন লিখতে পারেন।
ইসলাহ ও মুহাসাবার ক্ষেত্রে তারতীব
যখন মুহাসাবা করবেন, দেখবেন- নিজের মাঝে অনেক ত্রুটি। বর্জনীয় অনেক কিছুতে লিপ্ত এবং করণীয় অনেক কিছু নিজের মধ্যে নেই।
এই অবস্থা সংশোধন করতে হবে। যে করণীয়গুলো নিজের মধ্যে নেই সেগুলো আনতে হবে। বর্জনীয় যেগুলো আছে সেগুলো ছাড়তে হবে। কিন্তু সবকিছু সাধারণত একসাথে করা যায় না। আবার সকল বর্জনীয়ও একসাথে ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটা একটা বাস্তবতা। আল্লাহ তাআলাও এই বাস্তবতা এবং বান্দার এই কমযোরির কথা জানেন। সেজন্য আল্লাহর দেওয়া শরীয়তে এক্ষেত্রে তারতীব রক্ষা করা হয়েছে।
ইসলাহ ও মুহাসাবার ক্ষেত্রে তারতীব রক্ষা করা জরুরী। যদিও বাস্তব ইসলাহের ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায়ই তারতীবের অপেক্ষায় বসে থাকা জরুরী নয়। বরং যখন যেটা আমলে আনার সুযোগ হয় সেটা নিয়ে আসা এবং যখন যেটা ছেড়ে দেওয়ার বিষয় ছেড়ে দেওয়া, যেটা সহজ হয় সেটা ছেড়ে দেওয়াই উচিৎ।
আর ফিকির ও মুহাসাবার তারতীব এটা না। ফিকির হবে এমন যে, আমার তো এখনো অনেক ফরয বিধান আমলে আসেনি। যেমন, পর্দা একটা ফরয বিধান। আমি আমার বাড়িতে সেই বিধান যথাযথ পালন করতে পারি না। এমনিভাবে অনেক কবীরা গোনাহ এখনো আমি ছাড়তে পারিনি! এভাবে ফিকিরকে সজাগ রাখতে হবে এবং ধীরে ধীরে হলেও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এর সাথে সাথে পূর্ণ মুহাসাবাও জারি রাখতে হবে। আর সেটাই মুমিনের কর্তব্য। যাহেরের ইসলাহ করে বাতেন থেকে বেখবর হওয়া, এমনিভাবে অনুত্তম ও মাকরূহের ইসলাহ করে হারাম ও কবীরা গুনাহ থেকে বেখবর হওয়া মুমিনের শান নয়।
ইবাদাতের ইসলাহ করলাম কিন্তু আকীদা থেকে বেখবর, অথবা আকীদার ইসলাহ করলাম কিন্তু ইবাদাতের কোনো খবর নেই, ইবাদাতের খবর আছে কিন্তু বিদআতওয়ালা ইবাদাত, অন্যের ইসলাহের ফিকির করি কিন্তু নিজের ইসলাহের ফিকির নেই, উম্মতের ইসলাহের ফিকির আছে, কিন্তু আওলাদের ইসলাহের ফিকির নেই এমন হলে হবে না।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর কিতাব ‘যিকর ও ফিকর’ মূলত পাকিস্তানের দৈনিক ‘জঙ্গ’-এর সাপ্তাহিক কলামের সংকলন। একিতাবটি বারবার পড়া দরকার এবং মুহাসাবা ও বাস্তব ইসলাহের পদক্ষেপসহ আত্মস্থ করা দরকার। ৫৬ টি শিরোনাম আছে। শুধু সূচিপত্রটা যদি পড়া হয় তাহলেও দিল দেমাগে অনেক চিন্তা-চৈতন্য সৃষ্টি হবে এবং ইসলাহের ক্ষেত্রে অনেক অবহেলিত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি পড়বে। এই কিতাবটি সবার কাছে থাকা দরকার। ‘ইসলাম ও আমাদের জীবন’ নামে এর বাংলা অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এ কিতাব বা এ জাতীয় কিতাবের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসাবে কবুল করুন এবং আমাদের জীবনের সকল অঙ্গনে ঈমানের শান বজায় রেখে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন।
والله اعلم بالصواب
শিক্ষক, হাদীস ও ফিকহ বিভাগ
মারকাযুশ শরীয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৮৭৩৫১
আল্লাহ কেন অমুসলিমদেরকে এমন অনেক বিষয় দান করেন যা অনেক সময় মুসলিমরা পায়না?
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
বগুড়া

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে