আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৬৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। আমি কিছুদিন আগে একটি মাহফিলে শুনেছিলাম যাদের দাড়ি বা গোফ কোনোটিই নেই তাদের দিকে তাকানো নাকি হারাম। কিন্তু যাদের গোফ আছে তাদের দিকে তাকানো যায়। আর যাদের দাড়ি আছে তাদের দিকে তো তাকানো যায়ই এটা সবার জানা। আমার প্রশ্ন হলো দাড়ি গোফ কোনোটিই না থাকা মানুষের দিকে তাকানো কি হারাম? আর যাদের গোফ আছে তাদের দিকে তাকানো যায়েজ না নাযায়েজ?,

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নওগাঁ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা জিনার কাছে যেতেও নিষেধ করেছেন। যেসব কার্যক্রম জিনার প্রতি উৎসাহী করে সেসব কাজ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

وَلَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَسَآءَ سَبِیۡلًا

এবং ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীলতা ও বিপথগামিতা।
—বনী-ইসরাঈল - ৩২

দাড়ি গোঁফ বিহীন নাবালক শিশুদের প্রতি যদি কারো কাম বাসনা জেগে ওঠে তবে এদের থেকেও অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
যেমনি ভাবে কখনো কখনো শারীরিক-মানসিক অবস্থার কারণে নিজের আপন মাহরাম আত্মীয় স্বজনদের প্রতিও কাম বাসনা জেগে উঠতে পারে, তখন তাদের থেকেও দৃষ্টি হেফাজত করা জরুরি।

ফুক্বাহায়ে কেরাম স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন একজন পর নারীর সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে যতটা সম্ভাবনাময় তারচেয়েও দাড়ি গোফ বিহীন সুশ্রী-সুদর্শন নাবালক বাচ্চার সঙ্গে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এই মাসআলাগুলো আজকের নতুন নয়। সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে এগুলো সিদ্ধান্ত কৃত।

মাহফিলের ঐ বক্তা সাহেব এই কথাগুলো ঠিকই বলেছেন।

وَقَدْ ذَكَرَ الْحَنَفِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّة أَنَّ الأَْمْرَدَ يَلْحَقُ بِالْمَرْأَةِ فِي النَّظَرِ إِنْ كَانَ بِشَهْوَةٍ، وَلَوْ مَعَ الشَّكِّ فِي وُجُودِهَا، وَحُرْمَةُ النَّظَرِ إِلَيْهِ بِشَهْوَةٍ أَعْظَمُ إِثْمًا، قَالُوا: لأَِنَّ خَشْيَةَ الْفِتْنَةِ بِهِ عِنْدَ بَعْضِ النَّاسِ أَعْظَمُ مِنْهَا. (2)
أَمَّا الْخَلْوَةُ بِالأَْمْرَدِ فَهِيَ كَالنَّظَرِ، بَل أَقْرَبُ إِلَى الْمَفْسَدَةِ (3) حَتَّى رَأَى الشَّافِعِيَّةُ حُرْمَةَ خَلْوَةِ الأَْمْرَدِ بِالأَْمْرَدِ وَإِنْ تَعَدَّدَ، أَوْ خَلْوَةُ الرَّجُل بِالأَْمْرَدِ وَإِنْ تَعَدَّدَ. نَعَمْ إِنْ لَمْ تَكُنْ هُنَاكَ رِيبَةٌ فَلاَ تَحْرُمُ كَشَارِعٍ وَمَسْجِدٍ مَطْرُوقٍ.

— আল মাওসূআ আল ফিকহিয়্যাহ

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৪০১৬৭

নামাজে উঠা বসার তাকবিরগুলো কখন আদায় করা উচিত?


১৬ অক্টোবর, ২০২৩

বরুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৬৫৬৪

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী কি স্বামীর মুখ দেখতে পারবে?


২১ জুলাই, ২০২৩

HF৪F+Q৩৩

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৯৭১৯

প্রচলিত একটি উক্তির তাহকীক


২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

৪০৫৮৫

রুকুতে কি উভয় পায়ের টাখনু মিলিয়ে রাখা সুন্নত?


১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy