আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৬৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হলো, অনেক ধর্মের মানুষ বাস করে এমন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান যদি শরিয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করে, তবে অন্য ধর্মের মানুষেরা তা না মানতে পারে, এক্ষেত্রে তার কি করা? আর একজন মুসলিম নাগরিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যাবস্থা মেনে নিলে কি গুনাহগার হবে?

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






শরীয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে গেলে কারো পক্ষ থেকে কোনো বাধা আসবে না, কি করে কল্পনা করা যায়?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাতে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের উদ্যোগ নিয়ে তিনি যা করেছেন সেগুলো গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। মদীনা তাইয়্যেবাতে প্রথমদিকে ইয়াহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। নবীজি তাদের সঙ্গে সন্ধীতে আসলেন। এ সন্ধি উভয় পক্ষের জন্য কল্যাণকর ছিল।
ধীরে ধীরে বিধি-বিধান বাড়ছিল। ইয়াহুদীদের আপত্তি ও ষড়যন্ত্র কঠোর হচ্ছিল। পরিশেষে তাদের চুক্তি ভঙ্গের দরুন তাদেরকে উচ্ছেদ করে দিতে হয়েছে।
এখান থেকে শিক্ষনীয়, বিধর্মীরা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা মেনে না নিলে তাদেরকে দারুল হরব-এ (শত্রু রাষ্ট্রে) চলে যেতে বলা হবে। আমাদের এখানে থাকতে চাইলে কুরআন ও সুন্নাহর রাষ্ট্রব্যবস্থা মেনেই থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিধর্মীদেরকে সুযোগ-সুবিধা অনেকাংশেই বেশি দিয়েছে। যা তাদের কাফির রাষ্ট্রে গিয়ে পরিপূর্ণ পাবে না।

একজন মুসলিম প্রকৃতপক্ষেই ঈমানদার হলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারে না। বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে থাকতে পারে। কিন্তু দিল থেকে সমর্থন জানানোর কোন সুযোগ নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র মেনে নেওয়া ভিন্ন অর্থে কুরআনুল কারীমের বেশকিছু আয়াত অস্বীকার করা।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩১০৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় শাইখ আমি অনেক দিন হলে একটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করতাছি কিন্তু আমি এটার উত্তর এখনো বের করতে পাচ্ছি না তা হলো,
আমাদের দেশের কিছু সুন্নিরা বলে থাকে আমাদের নবী (সাঃ) গায়েব জানতেন কিন্তু এ ব্যাপ্যারে আমি কোরআন বা হাদিসে আস পর্যন্ত কোন দলিল পাই নাই। বরং কোরআন হাদিসে অন্য কথা বলা আছে।
যেমনঃ
মহান আল্লাহ বলেন,
(হে নবী) আপনে বলুন আসমান আর জমিনে যা কিছু আছে এর গায়েব এক মাত্র আল্লাহ জানেন...( সূরা নমল আয়াতঃ ৬৫)
এ ছাড়াও আরও বলা আছে ( সূরা আরাফ আয়াতঃ ১৮৮ এবং সূরা আহক্বাফ আয়াতঃ ৯) তা ছাড়াও সুন্নিদের এ কথা খ্রিষ্টানদের বাইবেলের বিরুদ্ধে যাই ( যে নবী (সাঃ) গায়েব জানতেন)
যেমনঃ ডঃ আহমেদ দিদাত, ডঃ জাকির নায়ক, ও ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার বাইবেলের একটা অনুছেদ ব্যাখ্যা করে খ্রিষ্টানদের বুঝাতে চেয়েছিলেন বা চাচ্ছেন তা হলো ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ অধ্যায় এর ১৮ নাংঃ অনুঃ... বলা হয়েছে আমি মূসার মতো/সদৃশ তার ভাইকে পাঠাবো ভাববাদী হিসাবে) এখন সুন্নিরা যদি বলে যে নবী সাঃ গায়েব জানতেন তা হলে এটা বাইবেলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারন খ্রিষ্টারা বলে এখানে যীশুর কথা বলা হয়েছে কিন্তু না কারন এ খানে বলা হয়েছে সে হবে মূসার সদৃশ আর মূসা আঃ সাধার মানুষ ছিলেন আর খ্রিষ্টনরা বলে যীশু/ঈসা আঃ ছিলেন ঈশ্বর তা হলে যীশু কখনোই মূসার মতো না বরং নবী সাঃ মূসার সদৃশ কারন তারা দুজনেই সাধারন মানুষ। কিন্তু সুন্নিরা যখনি বলতাছে নবী সাঃ গায়েব জানতেন তখনি এ কথা বাইবেলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে কারন মূসা আঃ গায়েব জানতেন না। এটা অনেক কাহিনি আমি ঐ দিকে যেতে চাচ্ছি না। আর যারা বলে যে নাবী সাঃ গায়েব জানতেন আমি আশা করি তারা শিরক করেছে সে যতই বড় আলেম হোক না কেন কারন
মহান আল্লাহ বলেন
( অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে.. সূরা ইউসুফ আয়াতঃ ১০৬)
আমার বিশ্বাস তারা যদি নতুন করে তাওবা করে ইমান না আনে তা হলে তারা মুশরেক অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে, এ ব্যাপ্যারে আপনার মতা মত জানাবেন প্রিয় শাইখ...........
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৯ জানুয়ারী, ২০২২
গাবতলী