আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৩৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম,হুজুর, আল্লাহর রহমতে ইসলামের হুকুম মানার চেষ্টা করি,এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।কিন্তুু বর্তমানে চারিদেকে শুধু খারাপ কাজ, কাজ।আমি এখন নবম শ্রেনীতে পড়ি।প্রশ্নঃ আমার বাড়ির বাসে একজন মহিলা সে, আমরা যে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি সে রাস্তায় কাপড় রোদ দেয়। সে তার গোপনীয় কাপড় রোদ দেয় যা সরাসরি দেখা যায়, এতে করে রাস্তা দিয়ে চলার সময় সেখানে নজর চরে যায় এবং খারাপ ধারনা আসে, লজ্জাস্থান ''''' এবং বাড়ির আসে পাসে মহিলারা বেপরোয়া ভাবে চলে।আমি আমার চোখ কিভাবে যে চোখ চলে যায় তা আমি নিজেও জানিনা।হুজুর কাওকে দিয়ে যে বলবো সে রকম পরিস্থিতিতিও নাই।হুজুর এরকম থেকে বাচার কোন দোয়া আছে।।

১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়ালাইকুমুস সালাম,
সূরা নূর- এর ২৯ নং আয়াতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
উক্ত আয়াতের হুকুম সব সময় আপনার দিলে স্থির রাখুন, এটা ভাবতে থাকুন যে, আমি যাই করছি, যাই দেখছি, যাই ভাবছি সবকিছু সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা অবগত আছেন। এটাকে বারবার মনে করতে থাকুন, যখনই কোনো নাজায়েজ বিষয়ের দিকে চোখ যায় তখনই উক্ত আয়াত খেয়াল করুন এবং ভাবতে থাকুন যে, আল্লাহ তা'আলা এখন’ই এই বিষয়ে আমাকে নজর হেফাজত করতে আদেশ দিয়ে এই আয়াত নাজিল করছেন এবং আমাকে নজর হেফাজতের জন্য আদেশ দিচ্ছেন। সাথে সাথে হক্কানী-রাব্বানী, সুন্নাতের উপর আমলকারী এমন একজন আলেমে দ্বীনকে নির্বাচন করুন, যার মধ্যে (স্বাদেক্বীন) অর্থাৎ সত্যবাদিতার গুণ রয়েছে, যিনি কোরআন-হাদিস সম্পর্কে পারদর্শী হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান যুগ সম্পর্কে সচেতন, যিনি উত্তম আখলাকের অধিকারি, যাকে দেখলে আপনার পরকালের কথা স্মরণ হয়। এমন একজন আলেমের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন, তার সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন, আপনার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো থেকে শুরু করে সব বিষয়গুলো তার সাথে শেয়ার করুন, তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন, তার পরামর্শানুযায়ি কাজ করুন। এতে করে অনেক ফায়দা হবে। ইনশাল্লাহ ।

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৮৮৩৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার গ্রামের বাড়িতে নারী পুরুষ অবাধে পুকুরে গোসল করে৷ এমন কি এই পুকুরে কোন পর্দার ব্যবস্থাও নেই। পুকুরের পার দিয়ে সারাক্ষণই পুরুষের আনাগোনা থাকে। আমি কয়েকবার পুকুরে পর্দার ব্যবস্থা করার কথা বলছি৷ কিন্তু কেউ আমলেই নেয় নি। তাই আমি চাচ্ছি। ঐ পুকুরের কাছে একটা ছোট ব্যানার বা পোস্টার লাগানোর। যাতে লেখা থাকবে নারীদের বেপর্দায় গোসল করার পরিণতি ও নারী পুরুষ একসাথে গোসল করার পরিণতি। যা কোরআন ও হাদিসের আলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখা থাকবে। যা পুকুর গোসল করতে আসা নারী পুরুষের চোখে পড়বে এবং তারা সর্তক হবে।। এখন শাইখ আপনি যদি লিখে দেন তাহলে খুব উপকৃত হবো। আর আমি আমাদের মসজিদের খুদবার ইমাম কেউ এই বিষয় সর্তক করতে বলবো পাশাপাশি পোস্টারটি পুকুরের কাছে লাগিয়ে রাখবো যাতে তারা সর্তক হয় আর পর্দার ব্যবন্থা করে৷
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১ জুন, ২০২২
ঢাকা ১৩৬১