و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

একজন মানুষের গ্রহণযোগ্যতার জন্য শর্ত হলো তার কাজ-কর্মসমূহ কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ অনুযায়ী হওয়া। তিনি সকলের বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকবেন, এটা জরুরী নয়, এমনকি এটা সম্ভবও নয়। কেননা কোন ব্যক্তি হক কথা বললে সেটা বাতিলের গায়ে লাগবে, আর তখন বাতিল তার সমালোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক, তাই বলে, বাতিলের এই সমালোচনার কারণে সমালোচিত ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে না।
ঠিক তেমনিভাবে আশরাফ আলী থানভী (রহ)এর অনেক সমালোচক রয়েছে। কিন্তু তারা কেউ'ই ইলম, আমল এবং ইজতিহাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আশরাফ আলী থানবী (রহঃএর থেকে অগ্রগামী নয়। এমনকি আশরাফ আলী থানবীর সমালোচনাকারীরা অধিকাংশই শরীয়তের মূলনীতি সম্পর্কেও অজ্ঞ। অধিকাংশ বিদ’আতিরাই আশরাফ আলী থানবী (রহঃ)এর সমালোচনা করে থাকেন। আর এটা এজন্যই যে, তিনি বিদ’আতের বিরুদ্ধে অনেক কঠোর ছিলেন। এমনিভাবে নামধারী সালাফিরাও আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহ-এর বিরুদ্ধে এমন কিছু সমালোচনা করে থাকেন, যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। সুতরাং তাদের সমালোচনার কারণে আশরাফ আলী থানবী (রহঃ)এর গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে না ।
বরং তার লিখিত ফতোয়া ও কিতাবাদি গ্রহণযোগ্য। কেননা ফতোয়া গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে শর্তসমূহ রয়েছে, তার সবগুলোই আশরাফ আলী থানবী(রহ.)এর মধ্যে ছিল। এরপরও তাঁর কোনো বিষয় যদি আপনার কাছে খটকা লাগে, তাহলে আপনি ভালো কোন আলেম থেকে বিষয়টা বুঝে নিতে পারেন।
আর দ্বীন শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনি প্রথমত: হক্কানী-রাব্বানী, সুন্নাতের উপর আমলকারী এমন একজন আলেমে দ্বীনকে নির্বাচন করুন, যার মধ্যে (স্বাদেক্বীন) অর্থাৎ সত্যবাদিতার গুণ রয়েছে, যিনি কোরআন-হাদিস সম্পর্কে পারদর্শী হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান যুগ সম্পর্কে সচেতন, যিনি উত্তম আখলাকের অধিকারি, যাকে দেখলে আপনার পরকালের কথা স্মরণ হয়। এমন একজন আলেমের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন, তার সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন, আপনার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো থেকে শুরু করে সব বিষয়গুলো তার সাথে শেয়ার করুন, তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন, তার পরামর্শানুযায়ি কাজ করুন, এতে করে অনেক ফায়দা হবে। ইনশাল্লাহ।
সূত্র: (সূরা তাওবা-১১৯, সূরা, হুজুরাত-১৩, তারীখে দিমাশক-৬/৩৬২পৃঃ)

والله اعلم بالصواب