و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



স্বামী মারা যাওয়া মাত্রই স্ত্রী, সন্তান ও অন্যান্য ওয়ারিশরা স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির অধিকারী হয়ে যায়। স্বামীর সন্তান থাকলে তার রেখে যাওয়া সম্পদে স্ত্রী আট ভাগের এক ভাগের মালিক হয়। স্বামীর সন্তান না থাকলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে স্ত্রী চার ভাগের এক ভাগের মালিক হয়।
স্বামী মারা যাওয়ার পর ইদ্দত পালন পূর্বক স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ বসতে চাইলে শরীয়তের পক্ষ থেকে অনুমতি রয়েছে। অন্যত্র বিবাহ বসার কারণে স্বামীর সম্পত্তি থেকে স্ত্রী বঞ্চিত হবে না।

উত্তরাধিকারের সূত্র হল মৃত্যুকালীন কার সাথে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল।
স্বামীর মৃত্যুর সময় স্ত্রী যেহেতু তার বিবাহ বন্ধনে ছিল, অতএব স্ত্রী তাৎক্ষণিক স্বামীর উত্তরাধিকার হয়ে গেছে।

وَلَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ  فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ  وَلَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ  فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ  وَاِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ وَّلَہٗۤ اَخٌ اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ  فَاِنۡ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ  غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ  وَصِیَّۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ  وَاللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ؕ

তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্যে, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্যে তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; তাদের ওসিয়াত পালন এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্যে তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ, আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্যে তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-অষ্টমাংশ; তোমরা যা ওসিয়াত করবে তা দেওয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ বা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই বা ভগ্নী, তবে প্রত্যেকের জন্যে এক-ষষ্ঠাংশ। তারা এর অধিক হলে সকলে সমঅংশীদার হবে এক-তৃতীয়াংশে; এটা যা ওসিয়াত করা হয় তা দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর, যদি কারও জন্যে ক্ষতিকর না হয়। এটা আল্লাহ্ র নির্দেশ, আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
—আন নিসা - ১২

والله اعلم بالصواب