আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮০৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আজকে ফজরের নামাজ পরতে উঠতে পারি নাই।। এমন কোন আমল আছে যেটা করলে কোনো দিন ফজরের নামাজ মিস হবে না।। এখন মিস হইয়া গেছে আমি কি করবো?,

১৬ আগস্ট, ২০২১

Barisal 8200

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



ফজরে উঠার জন্য শর্ত হলো, রাত্রে ঘুমানোর সময় ফজরে উঠার জন্য পাকা নিয়ত করে শোয়া এবং আল্লাহর নিকট সময়মতো ফজরে উঠার তাওফীক চেয়ে শোয়া...।।

এব্যপারে কুরআনে হাদীসে নির্দিষ্ট ভাবে কোন দোয়া বর্ণিত হয়নি।
এখানে বুজুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত / আহরিত কিছু আমল উল্লেখ করছি, আপনি পড়ে দেখুন। আল্লাহ চাহেত ফজরে উঠা সহজ হয়ে যাবে।

১- সুরা কাহফের শেষ এ কয়টি আয়াত তিলাওয়াত করে ঘুমানঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا (107) خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا (108) قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَنْ تَنْفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا (109) قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا (110)

১০৭) ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা তি কা-নাত্ লাহুম্ জান্নাতুল ফিরদাওছি নুঝুলা।
১০৮) খা লিদীনা ফীহা- লা-ইয়াবগূনা ‘আনহা-হি ওয়ালা।
১০৯) কু'ল লাও কা-নাল বাহ'রু মিদা-দাল লিকালিমা-তি রাব্বী লানাফিদাল বাহরু কাবলা আং তাংফাদা কালিমা-তু রাব্বী ওয়ালাও জিনা- বিমিছ লিহী মাদাদা।
১১০) কুল ইন্নামা আনা-বাশারুম মিছ লুকুম ইউহা- ইলাইইয়া আন্নামা- ইলা-হুকুম ইলা হুওঁ ওয়া হিদুং ফামাং কা-না ইয়ারজু লিকা-আ রাব্বিহী ফালইয়া মাল ‘আমালাং সা-লিহাওঁ ওয়ালা-ইউশরিক বি'ইবা দাতি রাব্বিহী- আহাদা।

অর্থঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্যে আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করতে চাইবে না।বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও।বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সুরা কাহফ আয়াতঃ ১০৭-১১০।

২-সুরা বাকারার ১২৫ নং আয়াত তিলাওয়াত করে ঘুমানঃ

وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْنًا وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ۖ وَعَهِدْنَا إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ

ওয়াইয জা‘আলনাল বাইতা মাছা-বাতাল লিন্না-ছি ওয়াআমনাওঁ ওয়াত্তাখিযূ মিম্মাকা-মি ইবরা-হীমা মুসাল্লাওঁ ওয়া‘আহিদনা ইলা ইবরা-হীমা ওয়াইছমা-‘ঈলা আন তাহহিরা বাইতিয়া লিত্তাইফীনা ওয়াল ‘আ-কিফীনা ওয়াররুক্কা‘ইছছুজূদ।

যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।

৩- প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠতে কুরআনের ২২ নং পারার ২ নং পৃষ্ঠার ৩৯ নং আয়াত থেকে ৪২ নং আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করে ঘুমাতে যান। নিয়মিত এ আমলটি করতে থাকুন। দেখবেন, আপনি ঠিকই ভোর রাতে ফজরের সালাত বা তাহাজ্জুদের জন্য জেগে উঠছেন।

الَّذِينَ يُبَلِّغُونَ رِسَالَاتِ اللَّهِ وَيَخْشَوْنَهُ وَلَا يَخْشَوْنَ أَحَدًا إِلَّا اللَّهَ وَكَفَى بِاللَّهِ حَسِيبًا (39) مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا (40) يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا (41) وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫৫৫০৭

রোজা রেখে ইঞ্জেকশন, টিকা, ইনসুলিন নেওয়া


১২ মার্চ, ২০২৪

চান্দিনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৮৮৪৬৫

দুআ কবুল হওয়ার বিশেষ কিছু মুহূর্ত


৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

করিমগাঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৭৭১২৩

রসুল( সঃ) হাফসা (রাঃএর অবর্তমানে তার ঘরে, তার দিনে মারিয়া রাঃ সাথে সময় কাটিয়েছিলেন’’ এই ঘটনাটা কি সত্য?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৫৫৮০৬

তারাবি নামাযের বিধান


১৩ মার্চ, ২০২৪

Chattogram

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy