আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রসুল( সঃ) হাফসা (রাঃএর অবর্তমানে তার ঘরে, তার দিনে মারিয়া রাঃ সাথে সময় কাটিয়েছিলেন’’ এই ঘটনাটা কি সত্য?

প্রশ্নঃ ৭৭১২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম আমি প্রিয়তমা ব‌ইতে পড়েছি রসুল( সঃ) হাফসা (রাঃএর অবর্তমানে তার ঘরে , তার দিনে মারিয়া রাঃ সাথে সময় কাটিয়েছিলেন,এই ঘটনাটা কি সত্য? এই ঘটনা পড়ার পর থেকে শয়তান আমাকে অনেক ধোঁকা দিচ্ছে , যদি এমন কিছু বলতেন যাতে রসুল ( সঃ)প্রতি আমার মহব্বত বৃদ্ধি পেতো তাহলে অনেক উপকৃত হইতাম।,

২৪ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই! আল্লাহ তা‘আলা আপনার অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করেদিন। আমীন। আপনি যে বইটি পড়ে প্রশ্ন করেছেন তাতেই আপনার প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। (৩৪৬ নং পৃষ্ঠায় লিখা হয়: জান্নাতুল বাকির কঠিন মৃত্তিকাপাষাণে শুয়ে আছেন রাসূলের প্রিয়তমা উম্মুল মু‘মিনীন মারিয়া কিবতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা) আপনার মনে ধোঁকা আসার মতো কোন কারণ নেই। কারণ, ২৪১ পৃষ্ঠায় যে কথাগুলো লিখা হয়েছে তাতেই বলা আছে তিনি নবীজীর (ﷺ) দাসী। আর ততকালীন দাসীর প্রথা ও বৈধতা উভয়টিই ছিলো। সুতরাং সংশয়ের কোন কারণ নেই। ‘‘‘‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাফসার অবর্তমানে তাঁর ঘরে রাসুলের মিসরীয় ক্রীতদাসী মারিয়াকে নিয়ে সময় কাটিয়েছিলেন। এ বিষয়টি হাফসা জানতে পেরে যারপরনাই রাগান্বিত হন। তখন রাসুল হাফসাকে প্রবোধ দিতে প্রতিজ্ঞা করেন-আর কখনো তিনি মারিয়ার সঙ্গে উপগত হবেন না। তবে মারিয়ার সঙ্গে আর উপগত না হওয়ার প্রতিজ্ঞাটি যেন হাফসা গোপন রাখেন। যদিও এটা দোষণীয় কিছু ছিল না, তবু প্রকাশিত হলে নানাজনে নানা কথা বলার সুযোগ পেত। যার দরুন রাসুল এটিকে গোপন রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু হাফসা বিষয়টি গোপন না রেখে আয়েশার কাছে বলে দেন। স্ত্রীর সম্মান রক্ষার জন্য যখন রাসুল একটি হালাল বিষয়কে নিজের জন্য হারাম বলে প্রতিজ্ঞা করেন (ক্রীতদাসী মারিয়ার সঙ্গে উপগত না হওয়ার প্রতিজ্ঞা), তখন আল্লাহ তায়ালা সুরা তাহরিমে রাসুলের স্ত্রীদের ভর্ৎসনা করেন এবং রাসুলকে হালাল বিষয় হারাম করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন।’’’ আপনি এই বইটির উম্মুল মু‘মিনিন মারিয়া কিবতিয়া শিরোনামের আলোকে পড়ে থাকলে সেখানে এটাও পাবেন যে, প্রথম অবস্থায় মারিয়া কিবতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহার কোন ঘর ছিলো না। সুতরাং ঘর না থাকা অবস্থায় যেকোন স্ত্রীর ঘরে বৈধ দাসীকে সময় দেয়া এতে দোষের কিছু না। তাছাড়া আপনি যেকথাটি লিখেছেন তার দিনে (তার পালার দিন) একথাটি সেখানে পাইনি।
হাদীসটি পড়ুন:
حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ فِي السَّاعَةِ الوَاحِدَةِ، مِنَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَهُنَّ إِحْدَى عَشْرَةَ» قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ أَوَكَانَ يُطِيقُهُ؟ قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ «أَنَّهُ أُعْطِيَ قُوَّةَ ثَلاَثِينَ»
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)–কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের* শক্তি দেওয়া হয়েছে।
সা’ঈদ (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযিঃ) তাঁদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (সহীহ বুখারী হাদীস নং: ২৬৬, আন্তর্জাতিক নং: ২৬৮)
* কোন কোন রিওয়ায়াতে, বেহেশতী চল্লিশজনের শক্তি দান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং তিরমিযীর বর্ণনায় একজন বেহেশতীর শক্তি একশ লোকের শক্তির সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হাশিয়া ৪, সহীহ বুখারী ৪১, আসাহহুল মাতাবি' দিল্লী)।
আল্লাহু আকবার কি পরিমাণ শক্তিমত্তার অধিকারী ছিলেন আমাদের নবী।

পরামর্শঃ
১- বিশেষত আল্লাহ, নবী ও সাহাবী ও ইসলামীক সেন্সেটিভ ইতিহাসগুলো পড়ার সময় মুরব্বী ও অভিজ্ঞ আলেমের ইতিহাস পড়ার চেষ্টা করবেন। যেকোন চটকদার বই দেখলেই তা কিনা বা পড়া শুরু করবেন না। বরং বড়দের পরামর্শ ভিত্তিক পড়বেন। কোন বইটি কি বিষয়ে পড়লে আপনার জন্য ভালো হবে তা বলে দিবে।
২- মনের সংশয় দূর করার জন্য আপনি আমাদের মুসলিম বাংলার দু‘আ সেকশন থেকে মনের সংশয় দূর করার দু‘আ শিরোনামে দেখে নিতে পারেন।
৩- মনে ওয়াসওয়াসা আসলে বেশি বেশি ‘‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’’ পড়বেন।
৪- সময় করে প্রবন্ধগুলো পড়ুন: https://shorturl.at/hfTFO https://shorturl.at/fp5cM
والله اعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৯৪৯৮

আদম আ. তাঁর হায়াত থেকে চল্লিশ বছর দাউদ আ. কে দান করেছেন


১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৭৭৭৩

পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান বলতে কি বোঝায়?


২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

১৪২২৪

পাঞ্জেগানা এবং জামে মসজিদে ফজিলতের পার্থক্য


২১ জানুয়ারী, ২০২৫

গুরুদাসপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

১০৮০১

কুরআনে পীর মুরিদী


২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy