আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই

প্রশ্নঃ ৭৫৮৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উত্তম জাযা দান করুন,প্রশ্নঃ ইসলামে সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই

৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
ঝিকরগাছা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


জন্ম নিয়ন্ত্রণের দুটি পদ্ধতি।

১ স্থায়ী পদ্ধতি। স্থায়ীভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা জায়েয নয়, হারাম।

২ অস্থায়ী পদ্ধতি। জন্ম নিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ। যথাঃ

১. আক্বীদা বিশুদ্ধ রাখতে হবে, অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে যাকে পাঠাবেন তাকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। সে আসবেই।

২. সন্তান হলে তার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।

৩. মায়ের স্বাস্থ্যগত অপারগতা। এখন সন্তান হলে স্ত্রীর শারিরীক সমস্যা দেখা দেবে।

৪. কোলে দুগ্ধপানের বাচ্চা রয়েছে।

৫. মা সফর হালতে আছে।

৬. মা উদ্বাস্তু হয়ে বেড়াচ্ছে, বাসস্থানের কোন ব্যবস্থা নেই।

৭. স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছে না, সংসার বিচ্ছিন্ন করার ইরাদা রয়েছে ইত্যাদী।


قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيْزٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ قَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ وَقُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوْا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ

ইবনু মুহাইরীয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদা আমি মাসজিদে প্রবেশ করে আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবু সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বানূ মুসতালিকের যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। এ যূদ্ধে আরবের বহূ বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে আসক্তি জাগে এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্থা আমাদের জন্য কষ্টকর অনুভূত হয়। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করতে মনস্থ করলাম। তখন আমরা পরস্পর বলাবলি করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে আছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা না করলে তোমাদের কী ক্ষতি? ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১৩৮

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন