আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭৩৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, Assalamu alaikum১. তাকবীরে তাশরিক কখন থেকে পড়তে হবে? প্রত্যেক ফরয নামাজের পর কয়বার করে তাকবীর দিতে হবে? জোরে পড়তে হবে নাকি মনে মনে পড়তে হবে? ২.অনেকে বলে রাতে পিঁয়াজ খেলে ফেরেস্তা আসেনা, এ ব্যাপার কতটুকু সত্য?৩. ছেলেদের কোন রংয়ের কাপড় পড়া ইসলামের দৃষ্টিতে নিষেধ?,

১৩ জুলাই, ২০২১

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়া আলাইকুমুস সালাম,
একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন এলে অসুবিধা হয়।
প্রশ্নের উত্তর বড় হয়ে যায়।
আমাদের প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হয়।
আপনি একই বিষয়ক একাধিক প্রশ্ন করুন। ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নাবলীর ধারাবাহিক উত্তরঃ

১- যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে। আইয়ামে তাশরীক-এর অন্যতম প্রধান আমল হল, আল্লাহর যিকির-তাকবীর।

তাকবীরে তাশরীকের পুরো বাক্যজুড়ে রয়েছে তাওহীদ, আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রশংসা-

اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ

৯ যিলহজ্ব ফজর হতে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে এবং ঐ কাযা এই দিনগুলোর ভিতরেই আদায় করলে সে কাযা নামাযের পরও তাকবীরে তাশরীক পড়বে। পুরুষগণ তাকবীর বলবে উচ্চ আওয়াজে আর নারীগণ নিম্নসরে।

তাকবীরে তাশরীক একবার পড়াই নিয়ম। তিনবার পড়া মুস্তাহাব-একথা বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী ঠিক নয়। অবশ্য এ নিয়ে ফিকহবিদগণের মাঝে মতানৈক্য আছে। তাই এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
৯ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ যিলহজ্ব আসরসহ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার তাকীবরে তাশরীক তথা-

الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد.

বলা ওয়াজিব। এই তাকবীর তিনবার বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। সাহাবায়ে কেরাম রা. কীভাবে তাশরীকের দিনগুলোতে তাকবীর বলতেন তা হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে একাধিকবার তাকবীরের কথা উল্লেখ নেই।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৮, ৫৬৯৯; আলআওসাত, হাদীস : ২১৯৮, ২২০০

তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, সাহাবায়ে কেরাম আরাফার দিন নামাযের পর উক্ত তাকবীর বলতেন।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৬

অবশ্য কোনো কোনো সাহাবী থেকে তাকবীরে তাশরীকের সাথে অন্য কিছু মিলিয়ে পড়ার বর্ণনাও পাওয়া যায়। যেমন হযরত ইবনে উমর রা. তাকবীরে তাশরীকের আগে তিনবার আল্লাহু আকবার বলতেন।-আলআওসাত, হাদীস : ২২০১

আর পূর্ণ তাকবীরে তাশরীক তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফিকহবিদগণও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেন না। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়।

-আলআওসাত, হাদীস : ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫ রদ্দুল মুহতার ২/১৭৮; মাজমাউল আনহুর ১/২৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫৩; তাহতাবী আলাল মারাকী ২৯৪; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৮৪

২- কথাটি সঠিক নয়। এরূপ কথার স্বপক্ষে কুরআন হাদীসে কোন দলিল নেই। অতএব, এরূপ কথা বলা ও বিশ্বাস করা যাবে না।

৩-
পুরুষের পোশাকের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

ক) নারীর পোশাক বা নারীর পোশকের মতো পোশাক না হওয়া।

হাদীস শরীফে এসেছে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐ পুরুষকে যে মহিলার পোশাক পরে এবং ঐ মহিলাকে যে পুরুষের পোশাক পরে। (সুনানে আবু দাউদ ৪০৯৮; মুসনাদে আহমদ ২/৩২৫)

সুতরাং পুরুষের জন্য মেয়েদের পোশাক পরিধান করা হারাম।

খ) রেশমের কাপড় পরিধান না করা। কেননা রেশমের কাপড় পুরুষের জন্য হারাম।

গ) জাফরানী রংয়ের কাপড় না হওয়া। এটা পুরুষের জন্য নাজায়েয।

ঘ) কুসুম রং কিংবা গাঢ় লাল রং না হওয়া। কেননা কুসুম রং মাকরূহ তাহরীমী। আর লাল রং মাকরূহ।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৪৮৩০

ভ্রু প্লাক করেছে এমন গর্ভবতী মায়ের প্রতি উপদেশ


১৪ জুন, ২০২৩

নারায়নগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৪৭৩৫৩

স্ত্রী কথা না শোনলেই কি স্বামী দাইয়্যূস হবে?


১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজীপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৬৪৯৬

মেয়েরা বাঁকা সিঁথি করতে পারবে কি?


১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬৫০৯

দাড়ি গজানো কিংবা ঘন হওয়ার নিয়তে সেভ করা


৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ফুলবাড়ীয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy