প্রশ্নঃ ৭১৯৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোরবানী প্রসঙ্গে :আমরা দু ভাই চাকুরী করি আমার বেতন প্রায় 40,000 হাজার ঈদ বোনাস সহ আরো কিছু বাড়ে, আর আমার ভাইয়ের বেতন 16000 হাজার টাকা+ঈদ বোনাস, এগুলো দিয়ে আমাদের সংসার চলে, খেতি জমি আছে 1 কানির মত অল্প কিছু করে, আরও কিছু পড়ে থাকে, বাবা খেতি বাড়ি করে, বাবা কিছু জমি আগে থেকেই আমাদের দু ভাইয়ের নামে লিখে রাখছেন,প্রতি বছর আমার বাবা এবং দু ভাইয়ের নামে 3 নামে কোরবানী দিয়ে থাকি **আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দু ভাই এবং বাবার উপর কোরবানী করা ওয়াজীব কিনা?**আমার আহলিয়ার 1.5 বরী সর্ন আছে, আমার শশুর মারা গেছেন তাদের সম্পদ এখনো বন্টন হয়নি (আদোও দিবে কিনা ঠিক নেই)আমার কাছে মোহর বাবৎ কিছু পাবে(সে বলছে লাগবে না আমি বলছি পরবর্তীতে সময় করে দিয়ে দিব) তার উপর কোরবানী ওয়াজীব কিনা? এবংআমার মায়ের 1 বরী সর্ন আছে তারও একই অবস্থা নানা মারা গেছেন সম্পদ বন্টন হয়নি - ওনার উপর কোরবানী ওয়াজীব কিনা? আমার বোনের (অবিবাহিতা) 1বরী চেয়ে কিছু কম সর্ন আছে, তার উপর কোরবানী ওয়াজীব কিনা?এই হলো আমাদের মোটামুটি সম্পদ।এছাড়াও আমরা দু ভাই আরও অনেকে 32 সদস্য মিলে ঢাকায় জামিন কিনে, ফ্ল্যাটের ব্যাপারে কাজ চলছে, সেখানে আমরা 2 লক্ষ টাকা দেনা আছি।এখন উপরে উল্লেখিত অবস্থার উপর ভিত্তি করে আমাদের কার কার উপর কোরবানী ওয়াজীব, জানালে খুবই উপকৃত হবো।বর্তমানে বাবার নামে, আমার নামে এবং ছোট ভাইয়ের নামে দিয়ে থাকি, আমাদের এই তিন জনের কার উপর ওয়াজীব না হলেও জানাবেন। মা, আহলিয়া, বোন এদের নামে দেওয়া হয় না, এদের উপর ওয়াজীব কিনা জানাবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য মূল মাসআলা হলো: চাকুরী থেকে প্রাপ্ত বেতনের টাকা অথবা ব্যবসার মুনাফা দিয়ে সংসার চলে। এর বাইরে নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে সম্পদ মালিকানাধীন রয়েছে, যেমন স্বর্ণ-রুপা, টাকা, ঘর, জমিজমা, অন্যান্য অলংকার, ফার্নিচার সহ আরো যা কিছু সব সময় প্রয়োজনে আসে না, এই সব কিছুর মূল্য সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রুপার মূল্য সমপরিমাণ হলে কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায়।
আপনার বর্ণনা থেকে যা বোঝা গেল আপনাদের দুই ভাইয়ের চাকরি থেকে প্রাপ্ত বেতন দিয়ে সংসার চলে। এর ভাই বাহিরেও আপনাদের মালিকানাধীন কিছু সমান পত্র জমিজমা আছে ফলে আপনাদের দুজনের উপর কুরবানী ওয়াজিব।
আপনাদেরকে দেয়ার পরেও আপনার বাবার নিজস্ব পর্যাপ্ত জমিজমা থাকলে যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার মূল্য সমপরিমাণ এবং তার মাসিক খরচাদি (ভরণপোষণ) আপনাদের উপর ন্যস্ত থাকলে আপনার বাবার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
আপনার আহলিয়া যেহেতু প্রাপ্য মোহরানার টাকা এখনো হাতে পাননি, ওদিকে তার কাছে স্থিত স্বর্ণ নিসাব পরিমাণও নয়। বিধায় তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। একই মাসআলা আপনার বোন ও মায়ের জন্যও প্রযোজ্য।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন