আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

গ্যাসের ফি বিলম্বে দেয়া কি জায়েজ? নাকি সুদ?

প্রশ্নঃ ৭১৩২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুফতী সাহেব! আমরা সাধারণত ৩/৪ মাস পর গ্যাস বিল দেয়, এতে বকেয়া মাসগুলোর প্রতি মাসে ১০ টাকা জরিমানা নেই, অনেক সময় প্রতি মাসে আসা যাওয়া ভাড়া, কষ্ট এসব দিক লক্ষ করেই আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্ব করি। এতে আমাদের জরিমানা দেওয়া সুদের গুনাহ হবে? ও বিলম্ব করা বৈধ হবে?,

২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Nayakanda

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী হযরত! যথাসময়ে গ্যাস ব্যবহার যেমন আপনার অধিকার তেমনি গ্যাসের বিল যথাসময়ে পরিশোধ করা কর্তৃপক্ষের অধিকার। এ অধিকার লঙ্গনের দ্বারা ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত ভোগান্তি ও বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। এজন্য কষ্টকর হলেও যথা সময়ে গ্যাসের বিল অবশ্যই আদায় করা উচিত। কেননা সেটা আপনার জিম্মায় ঋণ সরূপ। আর নবীজী (ﷺ) বলেছেন
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ধনী ব্যক্তির ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা যুলুম। (সহীহ বুখারী হাদীস নং: ২১৪২ আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৭)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : যে ব্যক্তি অপর লোকের মাল (ঋণরূপে) গ্রহণ করে উহা পরিশোধ করার নিয়তের সহিত, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার ঋণ পরিশোধ করায় সাহায্য করিবেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং: ২৯১০) এ হাদীস থেকে বুঝা যায় চেষ্টা করলে আল্লাহ তা‘আলা সহজ করবেন। ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য মালি (টাকার) জরিমানা হানাফী মাযহাবে সতন্ত্রভাবে নাজায়েজ। (ক্ষেত্র বিশেষ জায়েজের অবকাশ আছে।) গ্যাস কর্তৃপক্ষ আপনার/গ্রাহক থেকে ততটুকুই আদায় করার অধিকার রাখে, যতটুকু কর্তৃপক্ষের অধিকার। অতিরিক্ত চার্জ ধার্য করা তাদের জন্য বৈধ নয়। যেহেতু অতিরিক্ত অংশ সুদের আওতাভুক্ত। যদি এমনটি করা হয় তাহলে যার থেকে নেওয়া হবে তাকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা উম্মতে ‍মুসলিমার জন্য শরঈ অনুযায়ী চলা সহজ করেদিক। আমীন।

শরঈ দলীলঃ
فقه البيوع: (1/546، ط: معارف القران، كراتشي)
إن زيادة الثمن من أجل الأجل، وإن كان جائزا عند بداية العقد، ولكن لا تجوز الزيادة عند التخلف في الأداء، فإنه ربا في معنى "أتقضي أم تربي"؟"، وذلك لأن الأجل، وإن كان منظورا عند تعيين الثمن في بداية العقد، ولكن لما تعين الثمن، فإن كله مقابل للمبيع، وليس مقابلا للأجل، ولذلك لا يجوز "ضع وتعجل" كما سيأتي تفصيله إن شاء الله تعالى. أما إذا زيد في الثمن عند التخلف في الأداء، فهو مقابل للأجل مباشرة لا غير، وهو الربا.

شرح المجلۃ "لایجوز لأحد أن یأخذ مال أحد بلا سبب شرعي". (1/264، مادۃ: 97، ط: رشیدیہ)
"وفي شرح الآثار: التعزير بالمال كان في ابتداء الإسلام ثم نسخ. والحاصل: أن المذهب عدم التعزير بأخذ المال".(5/41، فصل فی التعزیر، ط: سعید) فقط
."ولایکون التعزیر بأخذ المال من الجاني في المذهب". (مجمع الأنهر، کتاب الحدود / باب التعزیر ۱؍۶۰۹ بیروت)

."وفي شرح الآثار: التعزیر بأخذ المال کانت في ابتداء الإسلام ثم نسخ". (البحر الرائق /باب التعزیر41/5 )
."والحاصل أن المذهب عدم التعزیر بأخذ المال". (شامي، باب التعزیر، مطلب في التعزیر بأخذ المال،ج: ۴، ص: ۶۱)
."لایجوز لأحد من المسلمین أخذ مال أحد بغیر سبب شرعي". (شامي، باب التعزیر، مطلب في التعزیر بأخذ المال،ج: ۴، ص: ۶۱)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৭২৭৪

আনসার বাহিনীতে চাকুরিরত ব্যক্তির জন্য বিশেষ লোন নেওয়া কি জায়েয?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৬৫৮২১

ডিমের বিনিময়ে ডিম কম বেশি করে বিক্রি করার হুকুম


২ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ আবু সাঈদ

৭৭৭৮৭

জিমেইল ফেসবুক আইডি বিক্রি প্রসঙ্গ


২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

গাজীপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭১৪৮১

মানুষের কঙ্কাল বিক্রি করার বিধান


২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ ১৩৬১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy