و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনি নিশ্চয়ই মাদরাসার তালিবুল ইলিম! বিষয়টি আপনার কোনো উস্তাদ থেকে বুঝে নিলে সহজ হতো। এজাতীয় ইলমি বিষয় আলোচনা করার সময় অনেক প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উঠে যেগুলো উস্তাদের আলোচনা/কিতাব মুতায়ালা থেকে হল্ হয়।

যাই হোক!
প্রশ্ন যখন করেছেন-ই চেষ্টা করবো আপনার উপকার করার।

الوطن الأصلي মানুষের স্থায়ী বাসস্থান।
وطن الإقامة বলা হয় এমন স্থান যেখানে কেউ ১৫ দিন অথবা তারচে বেশী সময় অবস্থানের নিয়ত করে। এটাকে الوطن الحادث এবং الوطن المستعار-ও বলে। আর وطن السكنى বলা হয় এমন স্থান যেখানে ১৫দিনের কম অবস্থানের নিয়ত করা হয়েছে।

নিচে বিনায়াহ্ শরহুল হিদায়াহ এর ইবারতটি দেখুন।

(ووطن الإقامة) ش: هو أن ينوي المسافر الإقامة في بلد خمسة عشر يوما فصاعدا، ويسمى أيضا الوطن الحادث والوطن المستعار م: (يبطل بمثله) ش: أي بمثل وطن الإقامة، وصورته خراساني قدم الكوفة فأقام بها وأتم الصلاة، ثم خرج إلى الحيرة، فوطن نفسه على الإقامة خمسة عشر يوما فأقام بالحيرة أياما على تلك النية ثم يريد خراسان ومر بالكوفة فإنه يقصر الصلاة؛ لأنه انتقض وطنه الحادث بالكوفة بوطنه الحادث بالحيرة، فإن لم ينو المقام بالحيرة خمسة عشر يوما إلا أنه كان بها يتم الصلاة، ثم خرج إلى خراسان فمر بالكوفة، فإنه يتم الصلاة، لأن وطن الإقامة لا يبطل بوطن السكنى.

কিতাবে যেই উদাহরণটি পেশ করা হয়েছে স্থান কিতাবে যেই উদাহরণটি পেশ করা হয়েছে তার সার সংক্ষেপ হলো,

খোরাসানের একজন অধিবাসী কুফায় এসে ১৫ দিন বা তারচে বেশী অবস্থান করলেন এবং সেখানে তিনি নামাজ ইতমাম করলেন। তারপর তিনি কুফা থেকে হায়রা চলে যান এবং পনের দিন থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তিনি হায়রা থেকে কুফা হয়ে খোরাসানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কুফা অতিক্রম করেন। এখন তিনি যদি কুফায় (১৫ দিন বা তারচে কম) অবস্থান করেন তাহলে তিনি নামাজ কসর করবেন। যেহেতু আগে কুফা তার وطن الإقامة ছিল কিন্তু সেখান থেকে হায়রা যাওয়ার ফলে এখন আর কুফায় কসর করার হুকুম বাকি থাকবে না। কেননা কুফা থেকে হায়রায় গিয়ে সেটাকে وطن الإقامة হিসেবে গ্রহন করার ফলে এখন কুফার وطن الإقامة এর বিধান রহিত হয়ে যাবে। কিন্তু তিনি যদি কুফাকে وطن الإقامة হিসেবে না নিয়ে বরং وطن السكنى হিসেবে গ্রহন করেন তাহলে কুফায় ফিরে আসলে তার কসর করার সুযোগ বহাল থাকবে। কেননা وطن السكنى এর কারণে وطن الإقامة এর বিধান রহিত হবে না।
আশ করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। আরো বুঝার থাকলে অবশ্যই উস্তাদের স্মরণাপন্ন হবেন। আমাদের ফতোয়া গ্রন্থসমূহের মধ্যে বাদায়েউস সানায়ে এবং আহসানুল ফতোয়া কিতাবে মুসাফিরের নামাজের বিষয়টিক অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দয়া করে কিছুটা সময় নিয়ে ধৈর্যের সাথে বিষয়টা অধ্যয়ন করুন। ইনশাআল্লাহ সারা জীবনের জন্য এক অনন্য পাথেয় হিসেবে কাজে আসবে। আল্লাহ আপনার খায়ের করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب