আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭০১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুমপ্রশ্ন ১***কুরবানির গোসতের কোন কোন অংশগুলো ভাগ করা জরুরি না? চর্বি, মাথা, মগজ, পায়া, ভুড়ি,, এগুলোও কি ৩ ভাগ করতে হবে??প্রশ্ন ২* * গরীব দুস্থদের ভাগটা কি মসজিদে দেওয়া যাবে।? আমাদের এলাকায় মসজিদ থেকে মাংস বিলি করা হয়। প্রশ্ন ৩** গরীব প্রতিবেশিদেরকে যে গোসত দেয়া হয় সেটা কোন ভাগ থেকে দিবো?? (৩ ভাগ=নিজের, আত্মীয়, গরীব-দুস্থ)।প্রশ্ন ৪*** আত্মীয়দের ভাগটা নিয়ে করণিয় কি?? এটা নিজের কাছেই রাখা হয় আত্মীয়দের দাওয়াত খাওয়ানোর জন্য। সেই ক্ষেত্রে তো অই ভাগে সব গোসত আত্মীয়রা খায়না। নিজেদেরও খাওয়া হয়। এইক্ষেত্রে কি করা উচিত?প্রশ্ন ৫*** মাঝে মধ্যে বিতর নামায ১ রাকাত নিয়ত করি। কিন্তু দেখা যায় দোয়া কুনুত না পড়েই সেজদায় চলে যাই। সেইক্ষেত্রে করণীয় কি? অই নামাযের ৩ রাকাত পড়বো নাকি নতুন করে শুরু করবো।??দয়া করে আমাকে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে পরিষ্কার করবেন। ধন্যবাদ

৫ জুলাই, ২০২১
৪৬XW+C৫২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






১. কুরবানীর গোশত ভাগ করার দুটি পর্যায় রয়েছে।
একটি হলো অংশীদারির ভিত্তিতে কুরবানী করা হল। সেখানে কুরবানীর পশু পরিপূর্ন ভাবে ভাগ করে সকল অংশীদারদেরকে তার অংশ বুঝিয়ে দেয়া। এই বন্টন ওয়াজিব।
ভাগ করার দ্বিতীয় পর্যায় হলো, আপনি একাই যে কুরবানি দিলেন অথবা অংশীদারের কুরবানী দেওয়ার পর আপনার ভাগে যায় এসেছে সেগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা।
একভাগ নিজের, দ্বিতীয় ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের, তৃতীয় ভাগ গরীব-দুস্থদের। এই বন্টন ওয়াজিব নয়। বরং মুস্তাহাব। আপনি সব গোশত খেতে অসুবিধা নেই। সব গোশত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে দিয়ে দিলেও অসুবিধা নেই। আবার পুরো গোশত সদাকাহ করে দিলেও অসুবিধা নেই।
সুতরাং যেহেতু মেহমানদারী ও সাদাকাহ এর ক্ষেত্রে গোশতটাই মুখ্য। এজন্য গোশত বন্টন করলেই যথেষ্ট হবে। চর্বি, মগজ, ভুড়ি ও হাড় বন্টন করতে হবে না।

২. এলাকার সব কুরবানীদাতাদের গোশতের একাংশ মসজিদে জমা করা অতঃপর সেখান থেকে বন্টন করা এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। কেননা এখানে সামাজিকতা ও চক্ষু লজ্জার কারনে গোশত দান করতে বাধ্য হয়। অথচ এই দান তার জন্য ওয়াজিব ছিল না।
তার নিজের পরিবারের প্রয়োজন বেশি হলে পুরো গোশত রেখে দিতে হতো। কিন্তু চক্ষু লজ্জার কারনে মসজিদে দিতে হচ্ছে। এজন্য এই পদ্ধতি বিলুপ্ত করা জরুরি।

৩. সদাকাহ এর অংশ থেকে।

৪. আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব ও মেহমানদের জন্য যা রান্না করা হয় সেখান থেকে নিজেরা খেতে অসুবিধা নেই।

৫. ইশা সালাতের পর বিতির নামায তিন রাকাআত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম বিতির নামায তিন রাকাআত পড়েছেন। সকল মাযহাবে বিতির নামায তিন রাকাআত।

বিতির নামাযে দোয়া কুনুত পড়তে ভুলে গেলে নামায শেষে সাজদাহ সাহূ করতে হবে। সাজদাহ সাহূ করতেও ভুলে গেলে পরবর্তীতে সুবহে সাদিকের আগে আগে মনে আসলে এই বিতির নামায পুনরায় পড়ে নেবেন।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন