আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে ডাক্তারকে উপঢৌকন বা কমিশন দেয়া

প্রশ্নঃ ৬৯৪২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ঔষধ কোম্পানি তাদের প্রচারণার অংশ হিসেবে ডাক্তারদের বিভিন্ন কিছু দিয়ে থাকে। এগুলো গ্রহণ না করলেও রোগীরা তার ফায়দা পায় না,বরং কোম্পানি অধিক লাভবান হয়, এর স্বরুপ গুলো হলো ১. ঔষধের স্যাম্পল ২, বিভিন্ন গিফট সামগ্রী ৩. নগদ টাকা ৪. দেশে বিদেশে সেমিনার অংশগ্রহন এ সহায়তা ৫. নির্দিষ্ট ঔষধের উপর গিফট / টাকা,ইত্যাদি এগুলো গ্রহণ করা কী আমার জন্য জায়েজ হবে। ওয়াসিম আহমাদ, সহকারী অধ্যাপক ( মেডিসিন)

১৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা ১২৩০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি হল, একটি কাজের জন্য দুই পক্ষ থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বা সুবিধা ভোগ করা জায়েজ নয়।
কেননা এর কারণে ব্যক্তি ন্যায় নিষ্ঠা বজায় রাখতে পারে না। পক্ষপাতিত্বের দায়ে দুষ্ট হয়ে যায়।
ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহার উপঢৌকন ও সুবিধা পেয়ে ডাক্তার সাহেব কখনো রোগীর প্রয়োজন না থাকলেও তার কোম্পানির ঔষধ রোগীকে লিখে দেন। আবার কখনো ঔষধ মানসম্মত না হলেও জেনে বুঝে তা থেকে ভালো ঔষধ বাজারে থাকা সত্ত্বেও গুনগত মানহীন ঔষধ লিখে দেন। কখনো টার্গেট ফিলাপ করার জন্য অতিরিক্ত ঔষধ লিখতে থাকেন। অপরদিকে ডক্টরের চাহিদা পূরণ করার জন্য ঔষধ কোম্পানি ঔষধের বাজারের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য কম দামে ঔষধ বাজারে ছাড়ে অপরদিকে ব্যয় সংকোচনের জন্য ঔষধের মান খারাপ করে, যার ফলে রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কোনো রুগী যখন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা ফি প্রদানের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়, তখন যে কোম্পানির ঔষধ রোগীর জন্য উত্তম ও কল্যাণকর, সেই ঔষধ লিখে ব্যবস্থাপত্র দেয়া ডাক্তারের দায়িত্ব হয়ে যায়। এই দায়িত্বের বিনিময়েই মূলত ডাক্তাররা রোগী থেকে ফি নিয়ে থাকে। সুতরাং এ দায়িত্ব পালনের জন্য, ঔষধ কোম্পানি থেকে বিনিময় নেওয়া, তা যে নামেই হোক; ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। আর ঘুষ নেয়া যেমন হারাম, তেমনি ঘুষ দেয়াও জঘন্য রকমের হারাম।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত আবু দাউদ (৩৫৮০) এবং তিরমিজি শরীফের ১৩৩৭)
হাদিসে এসেছে,

لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشي والمرتشي. -رواه أبو داود (3580) الترمذي (1337) وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح.

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন