আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৭১৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,ইসলামে কি কি খাওয়া হারাম?

১৭ জুন, ২০২১
কুমিল্লা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






আল্লাহ তা'আলা সকল নাপাকি হারাম করেছেন। সব ধরনের হিংস্র প্রাণী হারাম করেছেন। পাখির মধ্যে যেগুলোর হিংস্রতা আছে সেগুলো হারাম করেছেন। পাখির মধ্যে হিংস্রতা চেনার উপায় হলো, পায়ের নখের থাবা দিয়ে শিকার করে এবং পায়ে চেপে ধরে ঠোঁট দিয়ে খুঁটে খুঁটে খায়। এছাড়া সকল নেশা দ্রব্য মিশ্রীত খাদ্য হারাম করেছেন। অন্যের সম্পদ হারাম করেছেন। ঘৃণ্য ও তুচ্ছ পঁচা-দুর্গন্ধময় খাদ্য খাবার হারাম করেছেন।

পবিত্র কুরআনুল কারীমে এ বিষয়ে কিছু মূলনীতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃُ وَالدَّمُ وَلَحۡمُ الۡخِنۡزِیۡرِ وَمَاۤ اُہِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰہِ بِہٖ وَالۡمُنۡخَنِقَۃُ وَالۡمَوۡقُوۡذَۃُ وَالۡمُتَرَدِّیَۃُ وَالنَّطِیۡحَۃُ وَمَاۤ اَکَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَکَّیۡتُمۡ ۟ وَمَا ذُبِحَ عَلَی النُّصُبِ وَاَنۡ تَسۡتَقۡسِمُوۡا بِالۡاَزۡلَامِ ؕ ذٰلِکُمۡ فِسۡقٌ ؕ اَلۡیَوۡمَ یَئِسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ دِیۡنِکُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡہُمۡ وَاخۡشَوۡنِ ؕ اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَاَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَرَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত, সেই পশু যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নাম উচ্চারিত হয়েছে, শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, উপর হতে পতনে মৃত জন্তু, অন্য কোনও পশুর শিংয়ের আঘাতে মৃত জন্ত এবং হিংস্র পশুতে খেয়েছে এমন জন্তু, তবে (মরার আগে তোমরা) যা যবাহ করেছ তা ছাড়া এবং সেই জঘ্রও (হারাম), যাকে (প্রতিমার জন্য) নিবেদনস্থলে (বেদীতে) বলি দেওয়া হয়। এবং জুয়ার তীর দ্বারা (গোশত ইত্যাদি) বণ্টন করাও (তোমাদের জন্য হারাম) এসব বিষয় কঠিন গুনাহের কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দীনের (পরাস্ত হওয়ার) ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছে। সুতরাং তাদেরকে ভয় করো না। আমাকেই ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে ইসলামকে (চির দিনের জন্য) পছন্দ করে নিলাম। ৭ ' (সুতরাং এ দীনের বিধানাবলী পরিপূর্ণভাবে পালন করো)। হ্যা, কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে যায় এবং সে কারণে কোন হারাম বস্ত্র খেয়ে নেয়) আর গুনাহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে, তবে আল্লাহ নিশ্চয়ই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
—আল মায়িদাহ - ৩

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَاذَاۤ اُحِلَّ لَہُمۡ ؕ قُلۡ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ۙ وَمَا عَلَّمۡتُمۡ مِّنَ الۡجَوَارِحِ مُکَلِّبِیۡنَ تُعَلِّمُوۡنَہُنَّ مِمَّا عَلَّمَکُمُ اللّٰہُ ۫ فَکُلُوۡا مِمَّاۤ اَمۡسَکۡنَ عَلَیۡکُمۡ وَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلَیۡہِ ۪ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ

লোকে তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের জন্য কোন জিনিস হালাল। বলে দাও, তোমাদের জন্য সমস্ত উপাদেয় জিনিস হালাল করা হয়েছে। আর যেই শিকারী পশুকে তোমরা আল্লাহর শেখানো পন্থায় শিখিয়ে শিখিয়ে (শিকার করার জন্য) প্রশিক্ষিত করে তুলেছ, তারা যে জন্তু (শিকার করে) তোমাদের জন্য ধরে আনে, তা থেকে তোমরা খেতে পার। আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো ৮ এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
—আল মায়িদাহ - ৪

اَلۡیَوۡمَ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ؕ  وَطَعَامُ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ حِلٌّ لَّکُمۡ ۪  وَطَعَامُکُمۡ حِلٌّ لَّہُمۡ ۫  وَالۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الۡمُؤۡمِنٰتِ وَالۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ اِذَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ مُحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ وَلَا مُتَّخِذِیۡۤ اَخۡدَانٍ ؕ  وَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُہٗ ۫  وَہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ٪

আজ তোমাদের জন্য উপাদেয় বস্তুসমূহ হালাল করে দেওয়া হল এবং (তোমাদের পূর্বে) যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তাদের খাদ্যদ্রব্যও ৯ তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্যদ্রব্যও তাদের জন্য হালাল। আর মুমিনদের মধ্যকার সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যকার সচ্চরিত্রা নারীও (তোমাদের পক্ষে হালাল), ১০ যদি তোমরা তাদেরকে বিবাহের হেফাযতে আনার জন্য তাদের মাহর প্রদান কর, (বিবাহ ছাড়া) কেবল ইন্দ্রিয়-বাসনা চরিতার্থ করার বা গোপন প্রণয়িণী বানানোর ইচ্ছা না কর। যে-কেউ ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে, তার যাবতীয় কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে গণ্য হবে।
—আল মায়িদাহ - ৫

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন