আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইভ্যালির চটকদারী ব্যবসা : ইসলাম কী বলে?

প্রশ্নঃ ৬৬৪০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, EVALY প্রসঙ্গে : বর্তমান সময়ে খুবই প্রচলিত একটা ব্যাবসা হচ্ছে "ই-ভেলি " এটা শরীয়ত সম্মত কিনা, এই ব্যবসার মূল পলিসি হল কম মূল্যে পন্য বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রেতা থেকে আগে থেকেই পন্যের টাকা নিয়ে 2/3 মাস বা তারও বেশি সময় নিয়ে পরে পন্য দেয়, পন্য গুলো হলো- মানুষের প্রয়োজনীয় যত পন্য আছে প্রায় সব গুলোই দিয়ে থাকে বিভিন্ন অফারে, যেমন 50%, 100 %, কোন কোনটা 150%ছাড়, যেমন : 25 হাজার টাকার ফ্রীজ - 12 হাজার টাকায় - ডেলিভারি দিবে 2/3 মাস পর, এভাবে মোবাইল, মটর সাইকেল, ইত্যাদি এভাবে খাবার সামগ্রীও এরকম। মানুষ এসব ছাড় দেখে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে আসবাব পত্র, এক কথায় প্রায় সব কিছু ই-ভেলি থেকে নিতে শুরু করেছে।*বি :দ্র : আবার অনেকে মনে করেন ই-ভেলি সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম অতটা জানে না, একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো হয়, *তারা বলেন আমরাতো টাকা দিয়ে পন্য কিনেছি নাজায়েজ হবে কেন ইত্যাদি, (উওর জানতে চাই) *ই-ভেলির কয়েকটি ফলিসি আছে সবগুলো ব্যাপারে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব,*এই প্রশ্ন গুলোর বিস্তারিত উত্তরে প্রত্যাশায় আমরা অনেকেই। আল্লাহ হযরতদের এই মেহনতকে মকবুল ফরমান আমিন।এর আগে একটা প্রশ্ন করছিলাম - উওর পেয়েছি, জাজাকাললাহ...,

২৬ মে, ২০২৪

সীতাকুন্ড

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ইভ্যালির চটকদারী ব্যবসা : ইসলাম কী বলে?
সম্প্রতি ‘ইভ্যালী ইকমার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আমাদের কাছেও অনেকে জানতে চেয়েছেন এবিষয়ে আলেমদের অভিমত কী।

আমাদের দেশে ইভ্যালী যখন তার কার্যক্রম শুরু করে তখন মানুষ আমাদের কাছে মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে জানতে চায়। মানুষ আমাদেরকে তাদের প্রতারণা সম্পর্কে যা বলে আমরা তাদের ওয়েব সাইটে এবং সাধারণভাবে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সেগুলোর কিছু কিছু অংশ না পেয়ে প্রশ্নকারীদেরকে পাল্টা জিজ্ঞেস করি, তাদের প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপনগুলো কোথায়। তারা আমাদেরকে তাদের ফেসবুকের লিঙ্ক দেন। আমরা সেখানে ইভ্যালীর চটকদার বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পাই। মানুষ সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার জন্যে ওয়েবসাইটে ঢুকে। ইকমার্সগুলোর পরিচয় ওয়েবসাইটে থাকে। তো ইভ্যালী তার কিছু পরিচয় ওয়েব সাইটে দিল আর ফেসবুকে দিল তার আরো কিছু চটকদার পরিচয়- এ থেকে বোঝা যায় যে তারা কিছু জিনিস কিছু মানুষ থেকে লুকাতে চায়। এটা শরীয়া পড়াশোনা করা ছাত্র কেন যে কোনো বিবেকবান মানুষই বুঝতে পারার কথা যে, দাল মে কুছ কালা হ্যাঁয়।

সাধারণত আমাদের দেশের ইকমার্সগুলোর পদ্ধতি, গ্রাহক পণ্য কেনার পর মূল্য পরিশোধ করবে। আগে থেকে তাদের কাছে গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা রাখার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে ইভ্যালী বিভিন্ন সময় গ্রাহকদেরকে চটকদার অফার করে প্রলোভন দেখায় এবং ইভ্যালীর নিকট অগ্রিম টাকা জমা রাখতে বলে।

এর দৃষ্টান্ত হল এমন যে, আপনি একটা দোকানে কোনো কিছু কিনতে যাবেন। দোকানদার আপনাকে বলল, আমার এখানে পণ্য কিনতে হলে আমার কাছে আগে আপনার টাকা জমা রাখতে হবে। সেই জমা টাকা থেকে আপনি অমুক তারিখে অত দিন পরে আমার মাধ্যমে পণ্য এই এই সুবিধাসহ ভোগ করবেন। বলা বাহুল্য, এমন কারবার সাধারণভাবে কেউ মেনে নিবে না। কিন্তু আশ্চর্য ইভ্যালী এই কাজটিই দেশে প্রকাশ্যে দিনের পর দিন করে যাচ্ছে। মাত্র ৫০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে কিভাবে একজন মানুষ দেশের লক্ষ লক্ষ জনগণের কোটি কোটি টাকা জমা করছে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রণালয়-অর্থমন্ত্রণালয়সহ এত এত নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নাকের ডগায় এটি ক্ষতিয়ে দেখার অবশ্যই প্রয়োজন আছে।

শরীয়তে জায়েজ কি নাজায়েজ সেই প্রশ্ন পরে। যে প্রতিষ্ঠান প্রথমেই একথা বলে, পণ্য কেনার আগে এত টাকা দিন। পরে পণ্য দিব। সেই কোম্পানি পরিষ্কার এক ধাপ্পাবাজ কোম্পানি। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এ কোম্পানির পদ্ধতি ভুল। শরীয়তও কখনো এজাতীয় কোম্পানির কারবারকে বৈধ বলে না। এই কোম্পানির সাথে লেনদেনকারী ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে, কোম্পানির অ্যাপ, ওয়েব সাইট, বিজ্ঞাপন পড়ে আমাদের কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়েছে যে, এই কোম্পানির কার্যক্রম শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো ব্যবসার মধ্যে পড়ে না। এ কথা আমরা আরো এক বছর আগেই বলেছি।

কি কারণে ইভ্যালীর কার্যক্রমকে শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয বলা হবে ?
ইভ্যালীর অনেক কারবারেই রিবা তথা সুদ বিদ্যমান। অনেক ক্ষেত্রে তারা বলে, আমাদের কাছে টাকা জমা রাখার এত দিন পর অমুক কোম্পানির পণ্য খরিদে আপনি এত টাকা ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পাবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্রিম টাকা জমা নেয়ার এ কৌশল কেন? সাধারণ অর্থনীতির দৃষ্টিতে অনেকে এখানে প্রতারণার ফাঁক খুঁজে পাবেন। আর শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা এক প্রকার রিবা (সুদ)ও বটে। কারণ মানুষের টাকা নিজের কাছে ধার নিয়ে এর জন্য অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার চুক্তি করা হচ্ছে, যা সুস্পষ্ট নাজায়েয। তাদের কাজকর্মের প্রতারণার কথা যদি আপনি বাদও দেন তারপরও এখানে এই সুদ পাওয়া যাচ্ছে।

এই জাতীয় কারবার নাজায়েয হওয়ার আরো দলীল রয়েছে। যেমন, ইসলাম চায় কেনাবেচার সময় ক্রেতা বিক্রেতা মূল্য ও পণ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে একে অপর থেকে স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু ইভ্যালী জাতীয় প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতারণাপূর্ণ অফারগুলোর মাধ্যমে ক্রেতাকে স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে চায়। তারা এত এত পার্সেন্ট ক্যাশব্যাক ঘোষণা করে কিন্তু সেই ক্যাশব্যাকের টাকা গ্রাহকের হাতে তুলে দেয় না। বরং নিজেদের কাছে জমা রেখে অনেক দিন পর তার অংশ বিশেষের মাধ্যমে বিভিন্ন শর্তে বিভিন্ন জিনিস খরিদ করতে বলে। এধরণের শর্ত ও কৌশল ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

আমাদের দেশে অনেক কোম্পানি বিশাল বিশাল ক্যাশব্যাকের কথা বলে। যেমন, ৫০% ক্যাশব্যাক, ১০০% ক্যাশব্যাক। এসব ক্যাশব্যাক সম্পর্কেও অনেকে জানতে চান। আসলে এসব বড় বড় ক্যাশব্যাকগুলো এক ধরণের প্রতারণা। তবে মানুষ সেগুলো মনে করে এটা তার ভাগ্য পরীক্ষা। স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে ক্যাশব্যাক পেতে পারে আবার নাও পেতে পারে। এসব ক্ষেত্রেও প্রশ্ন থেকে যায়, একটা কোম্পানি একজন গ্রাহককে কেন ভাগ্যপরীক্ষায় নিপতিত করবে? সে তো সরাসরি গ্রাহককে ডিসকাউন্ট দিতে পারে। যত টাকা সে লটারির মাধ্যমে দিত তত টাকা ভাগ করে সকল গ্রাহককে ডিসকাউন্ট দিক। এতে ভোক্তা সমাজ বেশী উপকৃত হবে।

ইভ্যালীর ক্যাশব্যাক কতটা শরীয়ত সম্মত?
ইভ্যালী তো অনেক আগেই প্রতারণার সকল স্তর অতিক্রম করে গেছে। তারা যখন নিশ্চিত ১০০% ১৫০% ক্যাশব্যাক অফার দিয়েছে তখনই তো গণমাধ্যম এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নড়েচড়ে বসা উচিত ছিল। এ কথা কি কেউ বুঝে না ১০০% ক্যাশব্যাকের অর্থ আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে পণ্য কিনলেন আর সেই এক লাখ টাকা বিক্রেতা আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। আর দেড় শ পার্সেন্ট ক্যাশব্যাক দেয়ার মানে হল আপনার এক লাখ টাকার সাথে আরো ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত পাবেন। এ অংশকে ক্যাশব্যাক নাম দেয়া হলেও ব্যাক হচ্ছে না, বরং নিজের থেকে দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হল, ইভ্যালী কি কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান না গ্রাহকদের সাথে তার নিকটাত্মীয়তা আছে? আর তাদের পূর্বপুরুষরা কি বিলিয়নিয়ার ছিল ? তাদের তো কয়েক বছর ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার কথা না যে গ্রাহককে ফ্রিতে লাখ লাখ টাকা বিলিয়ে দিবে? এখানেই আমাদের আক্ষেপ যে এক শ্রেণীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এ ধরণের জঘন্য কর্মকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-অর্থমন্ত্রণালয় সজাগ থাকে না কেন? যাই হোক, ইসলামের দৃষ্টিতে নিশ্চিত ১০০% ক্যাশব্যাক বা তার চেয়ে বেশী ক্যাশব্যাকের কথা বললে এটা কোনো বেঁচাকেনাই হয় না। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা হিবা তথা ফ্রিতে বিনা পয়সায় দানের আওতায় পড়ে। কিন্তু বিভিন্ন শর্তের কারণে সেটাও বৈধ হয় না।

যদি আপনি ১০০ পার্সেন্ট ১৫০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দেন তার মানে আপনি মূল পুরো টাকা বা তার চেয়ে বেশী ফেরত দিলেন। তো টাকা নেওয়ারই দরকার কী ছিল, শুরুতেই পণ্যটা তাকে দিয়ে দিতেন। আপনার যদি পুঁজি থাকে, আপনি যদি পুঁজি থেকে ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকেন তাহলে শুরুতে টাকাটা নাই নিতেন। আপনি এমনি দিয়ে দিতেন। আপনার প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না হয়ে দানের প্রতিষ্ঠান হত। নাম দিলেন বেচাকেনা কিন্তু এখানে কাজ হল উল্টা। আপনি পণ্যও দিচ্ছেন আবার মূল্যও ফেরত দিচ্ছেন।

এমন অস্বাভাবিক পদ্ধতিতে লাভ দেয়ার কি কি ক্ষতি?
আমরা এককভাবে শুধু ইভ্যালী সম্পর্কেই বলছি না বরং এজাতীয় যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কথাই বলছি। দেশে ব্যবসার নাম দিয়ে এ জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের থাকা উচিত নয়। এতে করে সমাজের মূলধারার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলধারার ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে এবং তাদের বিশাল কর্মীদের রক্ষা করতে দেশের দায়িত্বশীলদেরকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।

ইভ্যালিসহ এ জাতীয় যেসব ব্যবসা মানুষকে অস্বাভাবিক অফারের প্রলোভন দেয় তাদের সবকটিকেই গোড়াতেই থামিয়ে দেওয়া উচিত। উচিত এ জাতীয় ভিত্তিহীন চটকদার ব্যবসাকে আইন করে নিষিদ্ধ করা। আমাদের দেশের অনেক মানুষ স্বল্প শিক্ষিত ও কিছুটা হুজুগ দ্বারা আক্রান্ত। প্রলোভন সৃষ্টিকারী ব্যবসার কর্তারা এটাকেই বড় রকম সুযোগ ও সুযোগের ক্ষেত্র মনে করে। তাই আইন করে ও গোঁড়া থেকে সরকারিভাবে সতর্কীকরণের পদক্ষেপ চালু থাকা দরকার। এক্ষেত্রে কঠোর নীতি প্রয়োগে গড়িমসি করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় লাখ লাখ সাধারণ পর্যায়ের গ্রাহকদের। দেশে আইন করে বিজ্ঞাপনের ভাষার সীমা নির্ধারণ দিতে হবে। এবং আইন কঠোরভাবে পালন করাতে হবে। ঠিক করে দিতে হবে কতটুকু দেওয়া যাবে কতটুকু দেওয়া যাবে না কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করা যাবে। নয়তো এ ধরণের বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে সাধারণ মানুষ একদিকে যেমন প্রতারিত হবে অপরদিকে নাজায়েয কারবারে জড়িয়ে পড়বে। কিনবে হালাল পণ্য নিজের হালাল অর্থ দিয়ে কিন্তু পদ্ধতি ভুল হওয়ার কারণে গোনাহে লিপ্ত হয়ে যাবে।

সার কথা
এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কারবারে কোনো ক্ষেত্রে রিবা তথা সুদ পাওয়া যায়, কোথাও কিমার তথা জুয়া ও প্রতারণা পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে এখানে হাদীসে নিষিদ্ধ ‘বাইউন ও শরতুন’ ( ক্রয়বিক্রয় চুক্তির সাথে অপ্রাসঙ্গিক শর্ত) পাওয়া যায়। এসব কারণে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করা নাজায়েয।

অনেক বিশেষজ্ঞ ইভ্যালীর কার্যক্রমকে এমএলএমের মত মনে করছেন। ইভ্যালী ও এমএলএমের মধ্যে পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে। তবে গ্রাহক প্রতারণার দিক থেকে এটা আরো জঘন্য।

সবশেষে একটা কথাই, ইসলাম হচ্ছে স্বাভাবিক কল্যাণকর দ্বীন। ব্যবসা বা কারবার যুগ যুগ থেকে চালু ছিল। ইসলাম আসার আগে থেকেই ব্যবসা চলে আসছে। ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঐসব নীতি ও বিধান বহাল রেখেছে যা কল্যাণকর। সাথে সাথে আরো বহু এমন নিয়ম নীতিও ইসলাম আরোপ করেছে, যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইসলাম অনেক বিধিনিষেধও আরোপ করেছে, যেগুলোর সবটাই ক্রেতা অথবা বিক্রেতা এবং ক্ষেত্র-বিশেষে উভয়ের স্বার্থপরিপন্থী। সুতরাং মুসলমানদেরকে তাদের দৈনন্দিন কারবারে ইসলামী শরীয়ার নীতি অনুসরণ করতে হবে। তাতেই তারা এ জাতীয় ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবে।

আল্লাহ আমাদের বোঝার ও আমল করবার তাউফিক দিন। আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।

-লেখক
মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
পরিচালক, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৪২৮৪৬

কিস্তিতে ক্রয় বিক্রয় এবং ঋণের কিস্তি উভয়টি কি একই?


১২ অক্টোবর, ২০২৩

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৮০৮৯

ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে জমির মালিক পুনরায় জমি ভাড়া নেওয়া


২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

শ্রীপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪২৪৩১

পার্সেন্ট হিসেবে কর্মচারীর বেতন দেওয়া


১২ অক্টোবর, ২০২৩

ফেনী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

৮৮৪৩৯

ভাড়াটিয়ার দায়


৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ফুলতলা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy