আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৩৪৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম আমার প্রশ্ন হলো আমরা মুরুব্বিদের কাছে ছোটবেলা থেকে শুনেছি আসরের নামাজের পর মাগরিবের কিছু সময় আগে নাকি আপন কেউ যদি মারা যায় ওদের না কি খাবার দেয় তাই আমরা যদি কিছু খাই তাহলে নাকি ওদের খাবার তুলে নেওয়া হয়।অর্থাৎ মাগরিবের আগে নাকি খাবার খাওয়া ঠিক না। এটা কতটুকু সত্য জানাবেন

২৯ মে, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




বিষয়টি হলো মাগরিবের আগ মুহূর্তে আমাদের এই সমাজে সাধারণত খাবার-দাবারের সময় নয় বলে বিবেচনা করা হয়। এই বিষয়টিকে বোঝাতে গিয়ে এই ধরনের উদ্ভট কথাবার্তা বলা এবং একটি কুসংস্কারে পরিণত করা কতটা মূর্খতাপূর্ণ?
এ বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এটি সামাজিক কুসংস্কার। খাবারের প্রয়োজন যখন হবে তখন হালাল খাবার খেতে পারবেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে সাহাবীদের মধ্যে কেউ কেউ সন্ধ্যার পূর্বেই রাতের খাবার খেয়ে নিতেন। আর কেউ কেউ মাগরিবের পর ইশার নামাযের পূর্বে খেয়ে নিতেন। ইশার পরে খাবার-দাবারে কোন নিয়ম সাহাবীদের যুগে ছিল না।

অবশ্য কিছু কিছু সময় আছে যখন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিতে উচিত নয়। যেমন রাতে ইশার পর থেকে নিয়ে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কল্যাণকর নয়। সন্ধ্যারাতের মধ্যেই খাবার শেষ করা উচিত।
শরীয়তের দৃষ্টিতে সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ বা ঝড়-তুফান ইত্যাদি সময় আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু হওয়া, কান্নাকাটিতে রত থাকা, সালাতুল খুসুফ ও সালাতুল কুসুফ আদায়ে লিপ্ত থাকা শরীয়তের পক্ষ থেকে উত্সাহিত করা হয়েছে। সেই সময় এই আমলগুলো না করে খাবার দাবারে ব্যস্ত থাকাটা ভালো নয়।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন