আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আমাদের সালাম কি সুন্নহসম্মত?

প্রশ্নঃ ৬৩৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা কিভাবে সালাম দিচ্ছি আর আল্লাহ কিভাবে শিক্ষা দিয়েছেন,আমরা কি আল্লাহর কিতাব মানছি। সালামের সঠিক বাক্য কিভাবে হবেকুরআনে আল্লাহ যেভাবে সালাম দিতে বলেছেনসালামুন আলাইকুম(সূরা নাহল / ৩২)সালামুন আলাইকুম(সূরা আয যুমার / ৭৩)সালামুন আলাইকুম(সূরা আল আরাফ /৪৬)সালামুন আলাইকুম(সূরা আর রাদ /২৪)সালামুন আলাইকুম(সূরা আল কাসাস/ ৫৫)সালামুন আলাইকুম(সূরা আনাম / ৫৪) কোরআনে আল্লাহ যেভাবে সালাম দিয়েছেন ছালামুন আলা-নূহিন ফিল আ-লামীন(সূরা আস সাফফাত /৭৯)ছালামুন আলাইবরা-হীম](সূরা আস সাফফাত /১০৯)ছালামুন আলা-মূছা-ওয়া হা-রূন(সূরা আস সাফফাত / ১২০)ছালামুন আলাইলইয়া-ছীন(সুরা আস সাফফাত / ১৩০)ওয়া-ছালামুন আলাল মুরছালীন(সূরা আস সাফফাত / ১৮১),

৯ অক্টোবর, ২০২৪

ঢাকা ১২০৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আমরা যেভাবে সালাম দিচ্ছি এভাবেই আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে শিখিয়েছেন। কুরআনুল কারীম যে নবীর উপর নাযিল হয়েছে তিনি আপনার চেয়ে কুরআন ভালো বুঝেছেন। যাদের সামনে তিনি কুরআন পাঠ করেছেন, যাদেরকে তিনি সরাসরি বুঝিয়েছেন, তারাও আপনার চেয়ে কুরআন ভালো বুঝেছেন। দেখুন তারা আল্লাহ তাআলার এই নির্দেশনাকে কীভাবে বাস্তবায়ন করেছেন? তারা সালাম এর জন্য কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন?

আপনি যদি কো
কুরআন কারীমের প্রতিটি শব্দ থেকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে চান, তাহলে নামাযের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা কীভাবে হবে? তার বর্ণনা দিন।
সালাত কীভাবে কায়েম করবেন? তার বর্ণনা দিন। হাদীসের সহায়তা ছাড়া এক রাকাআত নামায পড়ে দেখিয়ে দিন।
হাদীসের সহায়তা ছাড়া আপনি একটা কদম দিতে পারবেন না।
সুতরাং কুরআনুল কারীমের বর্ণনা বুঝার জন্য, বাস্তবায়নের জন্য রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাখ্যা, সাহাবায়ে কেরামের জীবনে সে সবের বাস্তবায়ন সামনে রাখতে হবে। এর বিকল্প কিছুই নেই।

আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত আয়াতগুলোর বাস্তব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন বুঝার জন্য নিম্নোক্ত হাদীসগুলো দেখুন।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ‏.‏ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَشْرٌ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ ‏"‏ عِشْرُونَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ‏.‏ فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ ‏"‏ ثَلاَثُونَ ‏"‏ ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললো, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম। তিনি তার জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃ দশ নেকি! এরপর আরেকজন এসে বললো, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুরূপ জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেন, বিশ নেকি! অতঃপর আরেকজন এসে বললো, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তারও জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃত্রিশ নেকি।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৯৫


حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتٍ فَقَالَ أَلِجُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَادِمِهِ ‏ "‏ اخْرُجْ إِلَى هَذَا فَعَلِّمْهُ الاِسْتِئْذَانَ فَقُلْ لَهُ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ ‏"‏ ‏.‏ فَسَمِعَهُ الرَّجُلُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ فَأَذِنَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ ‏.‏

রিবঈ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, বনী ‘আমিরের এক লোক আমাকে বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘরে অবস্থানকালে তাঁর নিকট অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি কি আসবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার খাদেম কে বললেন, তুমি বের হয়ে তার নিকট গিয়ে তাকে অনুমতি নেয়ার নিয়ম শিখিয়ে দাও। তুমি তাকে বলো, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? লোকটি এ কথা শুনে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে ভেতরে প্রবেশ করলো।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৭৭

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى بَابَ قَوْمٍ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْبَابَ مِنْ تِلْقَاءِ وَجْهِهِ وَلَكِنْ مِنْ رُكْنِهِ الأَيْمَنِ أَوِ الأَيْسَرِ وَيَقُولُ ‏ "‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ أَنَّ الدُّورَ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ سُتُورٌ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু বুস্‌র রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কওমের দরবারে এলে সরাসরি দরজায় মুখ করে দাঁড়াতেন না, বরং দরজার বাম বা ডান পাশে সরে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ ‘ আস্‌সালামু ‘আলাইকুম, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম ’। কারণ সে যুগে দরজায় পর্দা টানানো থাকতো না।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৮৬


حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ المَلاَئِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ، فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَقَالُوا: السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ [ص: 132] ، فَزَادُوهُ: وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (‘আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ সেটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (‘আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু ‘আলাইকুম”। ফেরেশতামন্ডলী তার উত্তরে “আস্‌সালামু ‘আলাইকা ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (‘আঃ)–এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে। (৬২২৭, মুসলিম ৫১/১১ হাঃ ২৮৪১, আহমাদ ৮১৭৭) (আ.প্র. ৩০৮০, ই.ফা. ৩০৮৮)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ المَلاَئِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ، فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَقَالُوا: السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ [ص: 132] ، فَزَادُوهُ: وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ "

আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
নবী‎ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (‘আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ সেটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (‘আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু ‘আলাইকুম”। ফেরেশতামন্ডলী তার উত্তরে “আস্‌সালামু ‘আলাইকা ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (‘আঃ)–এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩২৬

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا {وَلَا تَقُوْلُوْا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا} قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : كَانَ رَجُلٌ فِيْ غُنَيْمَةٍ لَهُ فَلَحِقَهُ الْمُسْلِمُوْنَ فَقَالَ : السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَتَلُوْهُ، وَأَخَذُوْا غُنَيْمَتَهُ فَأَنْزَلَ اللهُ فِيْ ذَلِكَ إِلَى قَوْلِهِ : {عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا} تِلْكَ الْغُنَيْمَةُ. قَالَ : قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ السَّلَامَ.

ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেছেন যে,
وَلاَتَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمْ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
আয়াতের ঘটনা হচ্ছে এই যে, এক ব্যক্তির কিছু ছাগল ছিল, মুসলিমদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হলে সে তাঁদেরকে বলল “আস্সালামু আলাইকুম”, মুসলিমরা তাকে হত্যা করল এবং তার ছাগলগুলো নিয়ে নিল, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا পার্থিব সম্পদের লালসায়আর সে সম্পদ হচ্ছে এ ছাগল পাল।
‘আত্বা (রহ.) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) السَّلاَمَ পড়েছেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৫৯১


حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ الْقِبْطِيَّةِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَانِبَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلاَمَ تُومِئُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِنَّمَا يَكْفِي أَحَدَكُمْ أَنْ يَضَعَ يَدَهُ عَلَى فَخِذِهِ ثُمَّ يُسَلِّمُ عَلَى أَخِيهِ مَنْ عَلَى يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ ‏"‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতাম তখন, 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' বলে নামায শেষ করতাম। তিনি (জাবির) হাত দিয়ে উভয় দিকে ইশারা করে দেখালেন। (অর্থাৎ- সালামের সাথে সাথে হাতে ইশারাও করা হত)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা (সালামের সময়) দুষ্ট ঘোড়ার লেজ ঘুরানোর মতো দু'হাত দিয়ে ইশারা করো কেন? তোমরা উরুর উপর হাত রেখে ডানে-বায়ে মুখ ফিরিয়ে তোমাদের ভাইদের সালাম দিবে। এরূপ করাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৮৫২, ই.সে. ৮৬৫) ১০৩


ফুটনোটঃ
টীকা১০৩ ঃ আমাদের সমাজে এ কথা প্রচলিত রয়েছে, রফউল ইয়াদাঈন করাটা ঘোড়ার লেজ নড়াবার মতো, যা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। কিন্তু উপরোক্ত হাদীস প্রমাণ করে যে, ঘোড়ার লেজের উক্তিটি সালাম ফিরানোর সাথে সম্পৃক্ত, নামাযের ভিতরে রফউল ইয়াদাঈনের সাথে নয়।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৫৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ الْقِبْطِيَّةِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَانِبَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلاَمَ تُومِئُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِنَّمَا يَكْفِي أَحَدَكُمْ أَنْ يَضَعَ يَدَهُ عَلَى فَخِذِهِ ثُمَّ يُسَلِّمُ عَلَى أَخِيهِ مَنْ عَلَى يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ ‏"‏ ‏.‏

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, আমরা যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সাথে সলাত আদায় করতাম তখন, 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' 'আস্‌সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' বলে নামায শেষ করতাম। তিনি (জাবির) হাত দিয়ে উভয় দিকে ইশারা করে দেখালেন। (অর্থাৎ- সালামের সাথে সাথে হাতে ইশারাও করা হত)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা (সালামের সময়) দুষ্ট ঘোড়ার লেজ ঘুরানোর মতো দু'হাত দিয়ে ইশারা করো কেন? তোমরা উরুর উপর হাত রেখে ডানে-বায়ে মুখ ফিরিয়ে তোমাদের ভাইদের সালাম দিবে। এরূপ করাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৫৬

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا طَلْحَةُ بْنُ، يَحْيَى عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ جَاءَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ ‏.‏ فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا أَبُو مُوسَى السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا الأَشْعَرِيُّ ‏.‏ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ رُدُّوا عَلَىَّ رُدُّوا عَلَىَّ ‏.‏ فَجَاءَ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى مَا رَدَّكَ كُنَّا فِي شُغْلٍ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ الاِسْتِئْذَانُ ثَلاَثٌ فَإِنْ أُذِنَ لَكَ وَإِلاَّ فَارْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِبَيِّنَةٍ وَإِلاَّ فَعَلْتُ وَفَعَلْتُ ‏.‏ فَذَهَبَ أَبُو مُوسَى قَالَ عُمَرُ إِنْ وَجَدَ بَيِّنَةً تَجِدُوهُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ عَشِيَّةً وَإِنْ لَمْ يَجِدْ بَيِّنَةً فَلَمْ تَجِدُوهُ ‏.‏ فَلَمَّا أَنْ جَاءَ بِالْعَشِيِّ وَجَدُوهُ قَالَ يَا أَبَا مُوسَى مَا تَقُولُ أَقَدْ وَجَدْتَ قَالَ نَعَمْ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ عَدْلٌ ‏.‏ قَالَ يَا أَبَا الطُّفَيْلِ مَا يَقُولُ هَذَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ فَلاَ تَكُونَنَّ عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا سَمِعْتُ شَيْئًا فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَتَثَبَّتَ ‏.‏

আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আবূ বুরদাহ্‌ (রাঃ) এর সানাদে আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্নিত। আবূ বুরদাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট এসে বললেন, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ (আমি) ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স। তবে তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন না। তখন (পুনরায়) বললেন, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ যে, আবূ মূসা। আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ যে আশ‘আরী। তারপর (উত্তর না পেয়ে) চলে গেলেন।

সে সময় ‘উমার (রাঃ) বললেন, (তাকে) আমার নিকট ডেকে নিয়ে আসো। আমার নিকট ফিরিয়ে নিয়ে আসো। প্রত্যাবর্তন শেষে তিনি বললেন, কিসে তোমাকে ফিরিয়ে দিল, হে আবূ মূসা? আমরা কোন্‌ কর্মে মশগুল ছিলাম। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছি- ‘অনুমতি প্রার্থনা তিনবার’। এতে তোমাকে অনুমতি দেয়া হলে ভাল, নতুবা ফিরে যাবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এ ব্যাপারে অবশ্যই তুমি আমার নিকট প্রমাণাদি নিয়ে আসবে। নতুবা আমি এমন করব, তেমন করব, (সাজা দিব)। তখন আবূ মূসা (রাঃ) ফিরে গেলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, প্রমান যোগাড় করতে পারলে, বিকালে তাকে তোমরা মিম্বারের নিকট দেখতে পাবে, আর যদি প্রমান না পায়, তাহলে তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে না। বিকালে তিনি এলে তাঁরা তাঁকে (মিম্বারের নিকট দেখতে) পেল। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আবূ মূসা! কি বলছ? প্রমান পেয়েছ? তিনি বললেন, হাঁ- উবাই ইবনু কা‘ব! তিনি বললেন, ইনি ন্যায়পরায়ণ! তারপর উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন- হে আবূ তুফায়ল![২৩} ইনি কী বলেন? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এমন বলতে আমি শুনেছি- হে ইবনুল খাত্তাব! আপনি কখনো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবীগণের জন্য শাস্তি স্বরূপ হয়ে পরবেন না। তিনি বললেন, সুব্‌হানাল্লাহ্‌! (আমি তা কখনো চাই না)। আমি তো একটি বিষয় শোনার পর সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত হতে আমার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। (ই.ফা. ৫৪৪৮, ই.সে. ৫৪৭০)


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا طَلْحَةُ بْنُ، يَحْيَى عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ جَاءَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ ‏.‏ فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا أَبُو مُوسَى السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ هَذَا الأَشْعَرِيُّ ‏.‏ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ رُدُّوا عَلَىَّ رُدُّوا عَلَىَّ ‏.‏ فَجَاءَ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى مَا رَدَّكَ كُنَّا فِي شُغْلٍ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ الاِسْتِئْذَانُ ثَلاَثٌ فَإِنْ أُذِنَ لَكَ وَإِلاَّ فَارْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِبَيِّنَةٍ وَإِلاَّ فَعَلْتُ وَفَعَلْتُ ‏.‏ فَذَهَبَ أَبُو مُوسَى قَالَ عُمَرُ إِنْ وَجَدَ بَيِّنَةً تَجِدُوهُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ عَشِيَّةً وَإِنْ لَمْ يَجِدْ بَيِّنَةً فَلَمْ تَجِدُوهُ ‏.‏ فَلَمَّا أَنْ جَاءَ بِالْعَشِيِّ وَجَدُوهُ قَالَ يَا أَبَا مُوسَى مَا تَقُولُ أَقَدْ وَجَدْتَ قَالَ نَعَمْ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ عَدْلٌ ‏.‏ قَالَ يَا أَبَا الطُّفَيْلِ مَا يَقُولُ هَذَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ فَلاَ تَكُونَنَّ عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا سَمِعْتُ شَيْئًا فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَتَثَبَّتَ ‏.‏

আবূ মূসা আশ‘আরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
আবূ বুরদাহ্‌ (রাঃ) এর সানাদে আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্নিত। আবূ বুরদাহ্‌ (রহঃ) বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট এসে বললেন, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ (আমি) ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স। তবে তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন না। তখন (পুনরায়) বললেন, আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ যে, আবূ মূসা। আস্‌সালামু ‘আলাইকুম- এ যে আশ‘আরী। তারপর (উত্তর না পেয়ে) চলে গেলেন।

সে সময় ‘উমার (রাঃ) বললেন, (তাকে) আমার নিকট ডেকে নিয়ে আসো। আমার নিকট ফিরিয়ে নিয়ে আসো। প্রত্যাবর্তন শেষে তিনি বললেন, কিসে তোমাকে ফিরিয়ে দিল, হে আবূ মূসা? আমরা কোন্‌ কর্মে মশগুল ছিলাম। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছি- ‘অনুমতি প্রার্থনা তিনবার’। এতে তোমাকে অনুমতি দেয়া হলে ভাল, নতুবা ফিরে যাবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এ ব্যাপারে অবশ্যই তুমি আমার নিকট প্রমাণাদি নিয়ে আসবে। নতুবা আমি এমন করব, তেমন করব, (সাজা দিব)। তখন আবূ মূসা (রাঃ) ফিরে গেলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, প্রমান যোগাড় করতে পারলে, বিকালে তাকে তোমরা মিম্বারের নিকট দেখতে পাবে, আর যদি প্রমান না পায়, তাহলে তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে না। বিকালে তিনি এলে তাঁরা তাঁকে (মিম্বারের নিকট দেখতে) পেল। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আবূ মূসা! কি বলছ? প্রমান পেয়েছ? তিনি বললেন, হাঁ- উবাই ইবনু কা‘ব! তিনি বললেন, ইনি ন্যায়পরায়ণ! তারপর উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন- হে আবূ তুফায়ল![২৩} ইনি কী বলেন? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এমন বলতে আমি শুনেছি- হে ইবনুল খাত্তাব! আপনি কখনো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবীগণের জন্য শাস্তি স্বরূপ হয়ে পরবেন না। তিনি বললেন, সুব্‌হানাল্লাহ্‌! (আমি তা কখনো চাই না)। আমি তো একটি বিষয় শোনার পর সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত হতে আমার আগ্রহ প্রকাশ করেছি।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫২৬

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৮৫৩৫

মুসলিম বাংলা অ্যাপে আরবি তারিখ কেন দুইটি দেখায়?


১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

১৮২২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০২৩৩

তোমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় ঘরে আটকিয়ে রাখ এবং কিছু সময়ের পর ছেড়ে দিও এটা কোরান বা হাদীসের কোথাও কি আছে?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৯০৫১৯

মেসেঞ্জারে বিবাহ করলে‌ কি তা হয়


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Gazirchat

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০৪৯৮

ইমামের সাথে একজন /দুইজন মুকতাদী কিভাবে দাড়াবে?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Bethua

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy